Ajker Patrika

রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল নির্মাণ, ১০ দিন ধরে ঘরে বন্দী পরিবার

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
Thumbnail image

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় রাস্তায় দেয়াল দেওয়ায় দীর্ঘ ১০ দিন ধরে বন্দী আছে রমজান আলীর পরিবার। ঘর থেকে বের হতে না পারায় ভোগান্তিতে রয়েছেন তাঁরা। এর প্রতিকার চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার রমজান আলী নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালাল পাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের একই গ্রামের মোক্তার আলী (৫৫), সুমন (২৮) ও আলমগীর (২৫)।

পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, রমজান আলী ও অভিযুক্ত মোক্তার আলী প্রতিবেশী। তাঁদের আবাদি জমিও পাশাপাশি। রমজান আলী বেশ কিছুদিন আগে মোক্তার আলীর আবাদি জমি ঘেঁষে তাঁর জমিতে বাঁশ ঝাড় ও কিছু গাছ লাগান। এতে মোক্তার আলীর ফসলের ক্ষতি হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। এর জেরে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রমজান আলীর বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তায় মোক্তার আলী দেয়াল তৈরি করে রাস্তা বন্ধ করে দেন। এতে তাঁদের বাড়ি থেকে বাইরে বের হওয়া, পরিবারের শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

আজ বুধবার দুপুরে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগী রমজান আলীর বাড়ির চলাচলের রাস্তার মূল ফটকের সামনে ১০ ফুট উচ্চতার একটি দেয়াল নির্মাণ করে চলাচলের পথ অবরুদ্ধ করা হয়েছে। পরিবারটি গত ১০ দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে আছে। 

ভুক্তভোগী রমজান আলী বলেন, ‘বাড়ি থেকে চলাচলের একটিই রাস্তা। কিন্তু মোক্তার আলী পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার বাড়ির সামনের রাস্তায় দেয়াল তৈরি করেছে। এতে আমাদের পরিবারের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আমার তিন সন্তানের কেউ স্কুলে যেতে পারে না।’ 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোক্তার আলী বলেন, ‘ওরা (রমজান আলী) আমার জমির পাশে গাছ ও বাঁশ লাগিয়েছে। এতে আমর ফসল নষ্ট হয়ে যায়। ওরা বাঁশ ও গাছ কেটে ফেলুক তাহলে আমি রাস্তা খুলে দেব।’

ফকির পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন আজকের পত্রিকা বলেন, তাঁদের মধ্যে অনেক আগে থেকেই দ্বন্দ্ব। এ নিয়ে অনেক বার সালিশি বৈঠক হলেও কেউ মানেনি। চলাচলের রাস্তা বন্ধ হওয়া দুঃখজনক।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন বলেন এ বিষয়টি তিনি জানেন। খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত