ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলকায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মূল ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে বিভিন্ন দাবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন হাতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে খনি গেটের সামনে সমবেত হন।
এ সময় বক্তব্য দেন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায়ে একাধিকবার লিখিতভাবে জানালেও কর্তৃপক্ষ কোনো তোয়াক্কা করেননি। এতে খনি কর্তৃপক্ষের কাছে ঘর-বাড়ি সার্ভের মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘বৈগ্রাম-কাশিয়া ডাঙ্গা, মোবারকপুর, জব্বরপাড়া, দক্ষিণ রসুলপুর (বড়), দক্ষিণ রসুলপুর (ছোট), পূর্ব জ্জবরপাড়া, চক মহেশপুর, হামিদপুর, উত্তর চৌহাটি, চৌহাটি, সাহাগ্রাম, দুর্গাপুরসহ খনি এলাকার ১৩টি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতি কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। সে কারণে আমরা বারবার আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছি। আগামী ২০ দিনের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে খনি ঘেরাও করা হবে।’
৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. খনি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবার থেকে চাকরি দিতে হবে।
২. ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ১৩টি গ্রামের যেসব ঘরবাড়িতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে, তাদেরকে দ্রুত পুনর্বাসন করতে হবে।
৩. ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ভূমিহীন প্রতিটি পরিবারকে মাইনিং সিটি অথবা উন্নতমানের বাসস্থান তৈরি করে দিতে হবে।
৪. ক্ষতিগ্রস্তদের এককালীন অবশিষ্ট ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে হবে।
৫. ক্ষতিগ্রস্তদের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও রাস্তা পুনর্নিমার্ণ করে দিতে হবে।
৬. ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যাদের জমি থেকে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে, তাদের কয়লা উৎপাদন বোনাস ৫ শতাংশ দিতে হবে।
চৌহাটি গ্রামের মোছা. মোসলেমা বেগম, মালেকা বেগম বলেন, ‘খনির ভূগর্ভে মাইন বিস্ফোরণের সময় কম্পন সৃষ্টি হয়ে আমাদের বাড়িঘরে ফাটল ধরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। রাতে ঘুমাতে পারি না। কর্তৃপক্ষ আমাদের ক্ষতিপূরণ দেবে বলে আশ্বাস দিলেও এখন আর দিচ্ছে না। এভাবে আমরা কীভাবে বাস করব?’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আল বিরোনী, রবিউল ইসলাম, মো. আব্দুর রহমান, মো. আলী হোসেন, মো. রবিউল ইসলাম মন্ডল, আল বেরনী, সাতার ইকবার নয়ন, আবেদ আলী, সাইদুল ইসলাম, মনিরম্নজ্জামান, সাইফুল ইসলাম, গোলাম রব্বানী প্রমুখ।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম সরকারের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলকায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মূল ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে বিভিন্ন দাবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন হাতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে খনি গেটের সামনে সমবেত হন।
এ সময় বক্তব্য দেন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায়ে একাধিকবার লিখিতভাবে জানালেও কর্তৃপক্ষ কোনো তোয়াক্কা করেননি। এতে খনি কর্তৃপক্ষের কাছে ঘর-বাড়ি সার্ভের মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘বৈগ্রাম-কাশিয়া ডাঙ্গা, মোবারকপুর, জব্বরপাড়া, দক্ষিণ রসুলপুর (বড়), দক্ষিণ রসুলপুর (ছোট), পূর্ব জ্জবরপাড়া, চক মহেশপুর, হামিদপুর, উত্তর চৌহাটি, চৌহাটি, সাহাগ্রাম, দুর্গাপুরসহ খনি এলাকার ১৩টি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতি কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। সে কারণে আমরা বারবার আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছি। আগামী ২০ দিনের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে খনি ঘেরাও করা হবে।’
৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. খনি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবার থেকে চাকরি দিতে হবে।
২. ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ১৩টি গ্রামের যেসব ঘরবাড়িতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে, তাদেরকে দ্রুত পুনর্বাসন করতে হবে।
৩. ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ভূমিহীন প্রতিটি পরিবারকে মাইনিং সিটি অথবা উন্নতমানের বাসস্থান তৈরি করে দিতে হবে।
৪. ক্ষতিগ্রস্তদের এককালীন অবশিষ্ট ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে হবে।
৫. ক্ষতিগ্রস্তদের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও রাস্তা পুনর্নিমার্ণ করে দিতে হবে।
৬. ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যাদের জমি থেকে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে, তাদের কয়লা উৎপাদন বোনাস ৫ শতাংশ দিতে হবে।
চৌহাটি গ্রামের মোছা. মোসলেমা বেগম, মালেকা বেগম বলেন, ‘খনির ভূগর্ভে মাইন বিস্ফোরণের সময় কম্পন সৃষ্টি হয়ে আমাদের বাড়িঘরে ফাটল ধরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। রাতে ঘুমাতে পারি না। কর্তৃপক্ষ আমাদের ক্ষতিপূরণ দেবে বলে আশ্বাস দিলেও এখন আর দিচ্ছে না। এভাবে আমরা কীভাবে বাস করব?’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আল বিরোনী, রবিউল ইসলাম, মো. আব্দুর রহমান, মো. আলী হোসেন, মো. রবিউল ইসলাম মন্ডল, আল বেরনী, সাতার ইকবার নয়ন, আবেদ আলী, সাইদুল ইসলাম, মনিরম্নজ্জামান, সাইফুল ইসলাম, গোলাম রব্বানী প্রমুখ।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম সরকারের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
রাজধানীতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তার জন্য অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে ৪২৬ জন ‘সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রশিক্ষণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের অনেকে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জানেন না।
৫ ঘণ্টা আগেনতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আজ সোমবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৩৬টি খাল ঘিরে বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা বরাদ্দে শুরু করা এ প্রকল্পের আকার এখন ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা।
৫ ঘণ্টা আগেসরকার পতনের পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়রকে অপসারণ ও কাউন্সিলদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তবে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পর এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, রাস্তা মেরামত, পরিচ্ছন্নতা, মশক নিয়ন্ত্রণসহ
৫ ঘণ্টা আগে