Ajker Patrika

নীলফামারীতে মশার কয়েলের আগুনে ১১টি ঘর পুড়ে ছাই

নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীতে মশার কয়েলের আগুনে ১১টি ঘর পুড়ে ছাই

নীলফামারীতে মশা তাড়ানোর কয়েলের আগুনে পাঁচ পরিবারের ১১টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা সদরের খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের হেলাবট দোলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শী শারমিন আক্তার জানান, হবিবর রহমানের বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত। দ্রুত আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে হবিবর রহমানসহ প্রতিবেশী গোলাম কিবরিয়া, জহুরুল ইসলাম, নুরুল হক, মজিবর রহমানের টিনশেড বসতঘর ও ঘরে রক্ষিত মালামাল পুড়ে ছাই হয় যায়। এ সময় দুটি গরুও অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। খবর পেয়ে নীলফামারী দমকল বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

নীলফামারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মিয়ারাজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হই। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলমান।’ 

খোকশাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত রায় বলেন, ‘গ্রামের হবিবর রহমানের বাড়ির শোয়ার ঘরে মশা তাড়ানোর কয়েলের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। গ্রামের পাঁচ পরিবারের ১১টি টিনশেড ঘর ও মালামাল পুড়ে গেছে। আগুনে সর্বস্ব হারানো পরিবারগুলো নিম্নআয়ের মানুষ। তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সরকারি সহায়তার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ 

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ জানান, বিকেলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ ও ইউএনও জেসমিন নাহার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে দুই হাজার টাকা এবং দু’টি করে কম্বল দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তালিকা পেলে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত