পঞ্চগড় প্রতিনিধি
স্বামীর ঘরেই অবস্থান করছেন রোহিনী চন্দ্র বর্মণের দুই স্ত্রী ইতি রাণী ও মমতা রাণী। মা-বাবাসহ আত্মীয়স্বজনদের ছেড়ে এলেও শ্বশুর-শাশুড়ির ভালোবাসায় আপ্লুত তাঁরা।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় রোহিনীর পরিবারের সঙ্গে। রোহিনীর বাবা যামিনী চন্দ্র রায় বলেন, ‘এত দিন আমার দুই ছেলে-মেয়ে ছিল, এখন থেকে চার ছেলে-মেয়ের বাবা আমি। ছেলে হয়তো ভুল করেছে, তার বয়স এবং আবেগের কারণে, তাই বলে কি আমি তাকে ফেলে দিব? ঘটনার সন্তোষজনক পরিসমাপ্তি ঘটানো যেতো, আমরা চেষ্টা করেছিও, কিন্তু পারিনি। সুবিধাবাদী একটি মহলের কারণে আজ আমাদের এই পরিস্থিতি। ভগবান একজন আছেন তিনি দেখবেন, আমি নিরাশ হইনি। আমার দুই পুত্রবধূ এখন আমার ঘরের লক্ষ্মী।’
গত ২০ এপ্রিল পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদুয়ার গ্রামে দুই প্রেমিকাকে এক বৈঠকে বিয়ে করেছেন রোহিনী চন্দ্র বর্মণ (২৫)। এই বিয়ের ছবি-ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ব্যতিক্রম এই ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর থেকেই রোহিনীর বাড়িতে জোড়া বউ দেখতে ভিড় করছেন মানুষ।
জানা গেছে, রোহিনী চন্দ্র বর্মণ জেলার আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদ্বার এলাকার যামিনী চন্দ্র বর্মণের ছেলে। রোহিনী প্রথম স্ত্রী ইতি রাণী একই ইউনিয়নের গাঠিশাপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে। আরেক স্ত্রী মমতা রাণী একই ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীদ্বার এলাকার টনোকিশোর রায়ের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বলরামপুর ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি রাণীর সঙ্গে রোহিনীর দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কয়েক মাসে আগে দুজনে মন্দির গিয়ে বিয়ে করেন এবং সে কথা গোপন রাখেন। এর মধ্যে রোহিনী মমতা রাণী সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যান। গত ১২ এপ্রিল রাতে মমতার সঙ্গে দেখা করতে যান রোহিনী। সেখানে বাড়ির লোকজন রোহিনীকে আটকে রাখেন। পরদিন তাঁদের বিয়ে দেন। রোহিনীর বিয়ের খবর শুনে গত বুধবার সকালে তাঁর বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন ইতি রাণী। রাতে তিন পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ইতি ও মমতার সঙ্গে রোহিনীর বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এ বিষয়ে আজ শুক্রবার সরেজমিনে রোহিনী বর্মণের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। রোহিনী বলেন, ‘আমরা দুই ভাই-বোন। আমার বাবা-মা অনেক কষ্ট করেই এই অজপাড়াগাঁয়ে আমাদের পড়ালেখা শিখিয়েছে। আমি মেকানিক্যালে ডিপ্লোমা করে বিএসসিতে ভর্তি হয়েছি। চাকরির চেষ্টা করছি। আমার বোন প্রিয়াঙ্কা বীথি রাণী কলেজে পড়ে।
দুই জনের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে রোহিনী বলেন, ‘মনের অজান্তে কখন যে ভালোবাসা হয়ে গেল যার পরিণতি এমন হবে ভাবতেই পারিনি। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে চিনতে পেরেছি— কে আপন আর কে পর। আমার বাবা-মা আমাদের গ্রহণ করেছে, আর কিছু চাই না।’
কথা হয় রোহিনীর জ্যেঠা সুধীর চন্দ্র বর্মণের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা অতি সাধারণ মানুষ। সন্তানের ভুলের কারণে সম্মান হারিয়ে গ্লানি বহন করতে হচ্ছে। সমাজপতিরা পারত সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানে এগিয়ে আসতে। কিন্তু তা তারা করেনি। আমরা আমাদের পুত্রবধূদের মেনে নিয়েছি। তারা ভালোভাবে জীবনযাপন করুক, সেটাই চাই।’
স্বামীর ঘরেই অবস্থান করছেন রোহিনী চন্দ্র বর্মণের দুই স্ত্রী ইতি রাণী ও মমতা রাণী। মা-বাবাসহ আত্মীয়স্বজনদের ছেড়ে এলেও শ্বশুর-শাশুড়ির ভালোবাসায় আপ্লুত তাঁরা।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় রোহিনীর পরিবারের সঙ্গে। রোহিনীর বাবা যামিনী চন্দ্র রায় বলেন, ‘এত দিন আমার দুই ছেলে-মেয়ে ছিল, এখন থেকে চার ছেলে-মেয়ের বাবা আমি। ছেলে হয়তো ভুল করেছে, তার বয়স এবং আবেগের কারণে, তাই বলে কি আমি তাকে ফেলে দিব? ঘটনার সন্তোষজনক পরিসমাপ্তি ঘটানো যেতো, আমরা চেষ্টা করেছিও, কিন্তু পারিনি। সুবিধাবাদী একটি মহলের কারণে আজ আমাদের এই পরিস্থিতি। ভগবান একজন আছেন তিনি দেখবেন, আমি নিরাশ হইনি। আমার দুই পুত্রবধূ এখন আমার ঘরের লক্ষ্মী।’
গত ২০ এপ্রিল পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদুয়ার গ্রামে দুই প্রেমিকাকে এক বৈঠকে বিয়ে করেছেন রোহিনী চন্দ্র বর্মণ (২৫)। এই বিয়ের ছবি-ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ব্যতিক্রম এই ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর থেকেই রোহিনীর বাড়িতে জোড়া বউ দেখতে ভিড় করছেন মানুষ।
জানা গেছে, রোহিনী চন্দ্র বর্মণ জেলার আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদ্বার এলাকার যামিনী চন্দ্র বর্মণের ছেলে। রোহিনী প্রথম স্ত্রী ইতি রাণী একই ইউনিয়নের গাঠিশাপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে। আরেক স্ত্রী মমতা রাণী একই ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীদ্বার এলাকার টনোকিশোর রায়ের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বলরামপুর ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি রাণীর সঙ্গে রোহিনীর দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কয়েক মাসে আগে দুজনে মন্দির গিয়ে বিয়ে করেন এবং সে কথা গোপন রাখেন। এর মধ্যে রোহিনী মমতা রাণী সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যান। গত ১২ এপ্রিল রাতে মমতার সঙ্গে দেখা করতে যান রোহিনী। সেখানে বাড়ির লোকজন রোহিনীকে আটকে রাখেন। পরদিন তাঁদের বিয়ে দেন। রোহিনীর বিয়ের খবর শুনে গত বুধবার সকালে তাঁর বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন ইতি রাণী। রাতে তিন পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ইতি ও মমতার সঙ্গে রোহিনীর বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এ বিষয়ে আজ শুক্রবার সরেজমিনে রোহিনী বর্মণের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। রোহিনী বলেন, ‘আমরা দুই ভাই-বোন। আমার বাবা-মা অনেক কষ্ট করেই এই অজপাড়াগাঁয়ে আমাদের পড়ালেখা শিখিয়েছে। আমি মেকানিক্যালে ডিপ্লোমা করে বিএসসিতে ভর্তি হয়েছি। চাকরির চেষ্টা করছি। আমার বোন প্রিয়াঙ্কা বীথি রাণী কলেজে পড়ে।
দুই জনের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে রোহিনী বলেন, ‘মনের অজান্তে কখন যে ভালোবাসা হয়ে গেল যার পরিণতি এমন হবে ভাবতেই পারিনি। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে চিনতে পেরেছি— কে আপন আর কে পর। আমার বাবা-মা আমাদের গ্রহণ করেছে, আর কিছু চাই না।’
কথা হয় রোহিনীর জ্যেঠা সুধীর চন্দ্র বর্মণের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা অতি সাধারণ মানুষ। সন্তানের ভুলের কারণে সম্মান হারিয়ে গ্লানি বহন করতে হচ্ছে। সমাজপতিরা পারত সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানে এগিয়ে আসতে। কিন্তু তা তারা করেনি। আমরা আমাদের পুত্রবধূদের মেনে নিয়েছি। তারা ভালোভাবে জীবনযাপন করুক, সেটাই চাই।’
পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা
৫ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নাজুক অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে পৌরবাসীর। নাগরিকদের অভিযোগ, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বাড়েনি সেবার মান। তাই রাস্তা ও ড্রেনগুলো দ্রুত সংস্ক
৫ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫ কোটির বেশি টাকায় নেওয়া শতাধিক প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আড়াল করতে প্রকল্পের কাগজপত্র
৫ ঘণ্টা আগে