Ajker Patrika

বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে এক বোনের মৃত্যু, সংকটাপন্ন আরেকজন

রংপুর ও নীলফামারী প্রতিনিধি
দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দুই বোনকে। ছবি: আজকের পত্রিকা
দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দুই বোনকে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নীলফামারীতে রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ইপিজেডের এক নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ভোরে নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের হাজীপাড়া মসজিদসংলগ্ন একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আরও এক নারী দগ্ধ হন। সম্পর্কে তাঁরা দুই বোন।

মারা যাওয়া নারীর নাম সুইটি আক্তার (২২)। দগ্ধ তাসফিয়া আক্তার (১৯) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁদের বাড়ি নালফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নে। বাবার নাম বাবুল হোসেন। দুজনেই উত্তরা ইপিজেডের সেকশন সেভেন কোম্পানির কর্মী। তারা বাসাটি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।

স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বাবার অভাবের সংসারে দারিদ্র্য ঘোচাতে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে কাজ নিয়েছিলেন ওই দুই বোন। প্রতিদিনের মতো আজও কাজে যাওয়ার জন্য ভোরে উঠে গ্যাসের চুলায় রান্না উঠান। রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো রান্না ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় মুহূর্তেই অগ্নিদগ্ধ হন দুই বোন। পরে প্রতিবেশীরা বাসার দেয়াল ভেঙে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে সকাল ৯টার দিকে রংপুর মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়। দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুইটি।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে বার্ন ইউনিট। চিকিৎসক নার্সেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন রোগীর চিকিৎসায়।

হাসপাতালে কথা হলে বাসা মালিক রেজাউল ইসলাম বলেন, ভোরে তাসফিয়াদের রান্না ঘরে আগুন জ্বলে উঠে। পুরো ঘরে আগুন লেগে যায়। এ সময় প্রথমে এক বোনের গায়ে আগুন লাগে, পরে তাকে বাঁচাতে গিয়ে অন্য বোনও পুড়ে যায়। বাসার গেট বন্ধ থাকায় দেয়াল ভেঙে প্রতিবেশীরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। সম্ভবত গ্যাস লিকেজ ছিল আগে থেকেই, আগুন জ্বালানোর সময় পুরো রান্না ঘরে আগুন লেগে যায়।

বাবা বাবুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আগুন আমার মেয়ে দুইটাকে শেষ করি দিল। আমি এখন কি নিয়ে বাঁচব। ইপিজেডে কাজ করায় পাশে ভাড়া থাকত। সকালে অফিস যেতে হয় তাই রান্না করছিল। গ্যাসের আগুনে মেয়ে দুইটাকে পুড়ে মারল।’

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন, প্লাস্টিক ও কসমেটিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. শাহীন শাহ বলেন, ‘তাদের শরীর শতভাগ পুড়ে গেছে। দুজনের মধ্যে সুইটি নামের একজন মারা গেছে। অন্যজনের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাই তাকে ঢাকায় পাঠানোর চেষ্টা করছি না। আমাদের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত