Ajker Patrika

উত্তর নলবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়

প্রভাবশালীর আলু শ্রেণিকক্ষে, ব্যাহত পাঠদান

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩: ০৮
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার উত্তর নলবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে মজুত রাখা প্রভাবশালীর আলু।	ছবি: আজকের পত্রিকা
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার উত্তর নলবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে মজুত রাখা প্রভাবশালীর আলু। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার উত্তর নলবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়। গোয়ালডিহি ইউনিয়নে অবস্থিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুটি শ্রেণিকক্ষে আলু মজুত করে রেখেছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। বসার জায়গার অভাবে ক্লাস না করেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় মাঠসংলগ্ন টিনশেডে ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির দুটি কক্ষে মেঝেজুড়ে আলু রাখা হয়েছে। বারান্দাতেও রাখা হয়েছে বস্তাভর্তি আলু। শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চগুলো এক পাশে সরিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে কক্ষগুলো ক্লাসের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষে ক্লাস করতে এসে শুধু হাজিরা দিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে। এমনিতে পাঠ্যবই দেরিতে পেয়েছি। এখন শ্রেণিকক্ষের এই অবস্থায় আমাদের পড়াশোনায় বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির সময়ে তোফাজ্জল হোসেন শাহ নামের এক স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি শ্রেণিকক্ষ দুটি তালাবদ্ধ করে সেখানে আলু সংরক্ষণ করেন। ছুটি শেষে বিদ্যালয় খোলার পরও আলুগুলো না সরানোয় নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

অভিযুক্ত তোফাজ্জল হোসেন শাহ আলু রাখার বিষয়টি স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় ওই দুই রুমে আলু রেখেছিলাম। দ্রুত আলু সরানোর ব্যবস্থা করব।’

প্রভাব খাটিয়ে এভাবে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে আলু রাখার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। সচেতন অভিভাবক ও এলাকাবাসীর দাবি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মহসিন আলী বলেন, ‘স্কুল বন্ধের সময় তিনি (প্রভাবশালী ব্যক্তি) শ্রেণিকক্ষে আলু রেখেছেন। তাঁকে একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও আলু সরাননি। পুনরায় অনুরোধ জানাব, তাতেও কাজ না হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।’

বিষয়টি নিয়ে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে আলু মজুত করে পাঠদান ব্যাহত করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি একধরনের অপরাধ। দ্রুত শ্রেণিকক্ষ ক্লাস উপযোগী করতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত