Ajker Patrika

সূর্যের দেখা নেই ৭ দিন, কনকনে শীতে কাবু চিলমারীর বাসিন্দারা

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫: ১৪
সূর্যের দেখা নেই ৭ দিন, কনকনে শীতে কাবু চিলমারীর বাসিন্দারা

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে গোটা উপজেলা। কনকনে ঠান্ডায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবন। তীব্র ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। সময়মতো কাজে বের হতে পারছেন না তাঁরা। বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে কুয়াশা। শীতকষ্টে পড়েছে শিক্ষার্থীরাও। 

আজ সোমবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠান্ডায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী শতাধিক মানুষ। শীত নিবারণের জন্য তাঁরা খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন। মাঠে কাজ করতে গিয়ে দুর্ভোগ বেড়েছে কৃষকদের।

এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে  বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও সর্দি-কাশি। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।  

থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোছা. আয়রিন খাতুন বলে, ঠান্ডার কারণে স্কুলে যেতে কষ্ট হচ্ছে। 

থানাহাট ইউনিয়নের গাবের তল এলাকার রিকশাচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন থেকে খুব ঠান্ডা। মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। শহরে লোকজনও অনেক কম, রিকশার যাত্রী হচ্ছে না। শীতের কারণে আমরাও বিপদে পড়ছি।’ 

থানাহাট বাজারের ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া বলেন, ‘আজ ৬-৭ দিন থেকে ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে বাজারে লোক সমাগম অনেক কমে গেছে। আমাদের বিক্রিও অনেক কমে গেছে। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বাহির হচ্ছে না।’ 

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, তাপমাত্রা আরও কয়েক দিন এমন থাকবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা কম। তবে এ মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত