Ajker Patrika

‘ঠান্ডার জন্যে সারা রাত ঘুম ধরে না’

ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫: ৪৮
‘ঠান্ডার জন্যে সারা রাত ঘুম ধরে না’

‘এক বেলা না খায়া থাকা যায়, কিনতু এমন ঠান্ডার মোধ্যে থাকা যায় না। এ রকম ঠান্ডা দেখোম নাই। ঠান্ডার জন্যে সারা রাত ঘুম ধরে না। আজ কমবোলখান পায়া খুব খুশি নাগছে। এখন যদিল একটু ঘুমবার পাই’—এভাবেই হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যে কাঁপতে কাঁপতে কথাগুলো বলছিলেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের পূর্ব ছালুয়া গ্রামের বৃদ্ধা মমিনা বেগম (৭২)।

আজ মঙ্গলবার সকালে কালীর বাজারের প্রশিকা ফুলছড়ি উন্নয়ন কার্যালয়ে শীতার্ত দুস্থ পরিবারের মধ্যে কম্বল বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি। 

বৃদ্ধা মমিনা বেগম ওই গ্রামের মৃত বুদা শেখের স্ত্রী। 

একই কথা বলেন ধলী বেগম (৬৫), আলেকজান (৫০), ওসনা বেগমসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে কম্বল নিতে আসা লোকজন। 

কম্বল বিতরণের বিষয়ে প্রশিকার কর্মকর্তারা জানান, ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশের দরিদ্র লোকজনের অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে প্রশিকা। এ বছর গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকায় ৮০০ কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। 

প্রশিকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় কম্বল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান। 

প্রশিকা গাইবান্ধা জোনের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আনন্দ মোহনের সভাপতিত্বে বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওছার আলী; প্রশিকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচির উপপরিচালক এবং বিভাগ প্রধান নুরুল ইসলাম রেনু; গাইবান্ধার এলাকা ব্যবস্থাপক রিপন খান, ফুলছড়ি উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শামসুল আলম, শাখা ব্যবস্থাপক আলতাফ হোসেন, মোশারফ হোসেন, সুরেশ চন্দ্র রায় প্রমুখ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত