Ajker Patrika

ঈদে বিয়ে, ধুমধাম করে নেপালি কনের গায়ে হলুদ করলেন সহপাঠীরা

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২২, ১৩: ০৬
Thumbnail image

গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যাওয়া হবে না বন্ধুদের, তাই ক্যাম্পাসেই গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করলেন সহপাঠীরা। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে হয়ে গেল এমনই এক অনুষ্ঠান।

নেপালের মেয়ে সৃজানা বি সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ ব্যাচের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী। গত শুক্রবার ক্যাম্পাসের কৃষি বনায়ন রিসার্চ ফিল্ডের পাশে বাঙালি সংস্কৃতি অনুযায়ী সৃজানার গায়ে হলুদের আয়োজন করেন কৃষি অনুষদের কয়েকজন শিক্ষার্থী।

অনুষ্ঠানে ছিল কনের আইবুড়ো ভাত, কনেকে আলতা দেওয়া এবং সবশেষে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন—কৃষি অনুষদের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার প্রামাণিক, ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মাসুমা পারভেজ। আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য নেপালি শিক্ষার্থীরা।

সৃজানার সহপাঠী সিয়াম-উল-হক রাসেল বলেন, ‘নেপালে সাধারণত বাঙালিদের মতো গায়ে হলুদ হয় না। তাই সৃজানার খুব ইচ্ছে ছিল আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির মতো করে যেন ওর গায়ে হলুদের আয়োজন করি। ঈদের ছুটিতে আমাদের বান্ধবীর বিয়ে। আমাদের পক্ষে নেপালে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই প্রিয় বান্ধবীর গায়ে হলুদের আয়োজন করে ফেলেছি নিজেরাই। নুসরাত নওরীন অর্পা, সুমাইয়া বিন্তি, আফসানা মুবাশ্বেরা সূচনাসহ বন্ধু-বান্ধবীরা মিলে এই আয়োজন করেছি।’

সৃজানার বান্ধবী নুসরাত নওরীন অর্পা বলেন, ‘ক্যাম্পাস জীবন শেষে কে কোথায় থাকব সেটা বলা যায় না। কারও বিয়েতে যাওয়ার সৌভাগ্য হবে কি না ঠিক নেই। সৃজানার বাসায় যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বান্ধবীর গায়ে হলুদের দিনটাকে স্মরণীয় করার চেষ্টা করা আরকি। আর সব মিলিয়ে অনেক ভালো লাগছে, যতটুকু আশা করেছি তার চেয়েও ভালো হয়েছে। ক্ষুদ্র পরিসরে আয়োজন হলেও অনেক ভালো একটা দিন কেটেছে।’

কনে সৃজানা উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, ‘নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আমি কখনোই ভাবিনি যে আমার বন্ধু-বান্ধবীরা আমার গায়ে হলুদের আয়োজন এভাবে করবে। আমাদের নেপালের সংস্কৃতি এমনটা নয়। বাংলাদেশি সংস্কৃতিতে আমার এই গায়ে হলুদ আমার জীবনে বিশেষ স্মৃতি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত