সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
মোছা. তানজিনা বেগম (২০)। পেশায় পোশাকশ্রমিক। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে এসেছিলেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পিনুর মোড় এলাকায়। কর্মস্থলে ফিরতে টিকিট কাটতে গতকাল সোমবার রাতে আসেন উপজেলার পূর্ব বাইপাস মোড়ের বাস কাউন্টারে। সঙ্গে ছিলেন পোশাকশ্রমিক স্বামী মো. ছাইদুর রহমান। কোলের শিশুসন্তানকে নিয়ে স্বামীসহ ছুটছেন এক কাউন্টার থেকে আরেক কাউন্টারে। কথা হলে তানজিনা বেগম বলেন, ‘১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। তবু আজ ও আগামীকালের কোনো টিকিট নেই।’
তানজিনার স্বামী বলেন, ‘অন্য সময় একজনের জন্য টিকিটের দাম নেওয়া হতো ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। ঈদ শেষ হয়েছে পাঁচ দিন আগে। এত বেশি ভাড়া! বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। কিন্তু করার কিছুই নেই। চাকরি হারানোর ভয় আছে। সে কারণে ঢাকায় যেতেই হবে।’
টিকিট না পেয়ে একটি কাউন্টার থেকে বের হচ্ছিলেন টেক্সটাইল কর্মী মো. আবদুল কুদ্দুস মিয়া (১৮)। উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চর খোর্দা গ্রামে তাঁর বাড়ি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন চার বন্ধু। টিকিট দরকার পাঁচটি। পেয়েছেন একটি। আসন পেছনের সারিতে। টিকিট না পাওয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা।
আবদুল কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘সোনালী পরিবহন, মিথিল পরিবহন, জান্নাত পরিবহন, অর্পণ স্পেশালসহ সবগুলো কাউন্টারে গিয়েছিলাম। আজকের টিকিট কোথাও নেই। দুই দিন পরে নিতে হবে। ভাড়া রাতে ১ হাজার ৩০০ টাকা আর দিনে ১ হাজার ৪০০ টাকা। এর কমে কেউ টিকিট বিক্রি করছেন না।’
দহবন্দ ইউনিয়নের ঢাকাগামী যাত্রী মো. মনির হোসেন (২৫)। তিনি বলেন, ‘বেতন পেয়েছি ১০ হাজার টাকা। যাতায়াত করতে প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দ করতে এসেছিলাম। কিছুই তো হলো না। যাতায়াত করতেই টাকা প্রায় শেষ। বাস ভাড়ায় এ রকম নৈরাজ্য থাকলে আগামী ঈদে বাড়িতে না-ও আসতে পারি।’
গার্মেন্টস কর্মী মোছা. মনজিলা বেগম বলেন, ‘টিকিট পেয়েছি। চৌদ্দ শ টাকা নিয়েছে। বলেছিলাম এত বেশি ক্যান। হ্যায় আমারে বলে, “নিলে নেন, না নিলে নাই গা”। জোরজুলুম করে বেশি টাকা নিচ্ছে। আমরা নিরুপায়।’
যাত্রী সেজে গতকাল রাতে কথা হয় জান্নাত পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মশিউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল-সন্ধ্যা কোনো টিকিট নেই। পরের দিন দিতে পারব।’ ভাড়ার পরিমাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তেরো-চৌদ্দ শ করে বিক্রি করছি। কমে দিতে পারব না।’ ভাড়া বেশি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি একাই বেশি নিচ্ছি না। সবাই নিচ্ছেন। আর ঈদের কারণে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। চাপ কমলে আবারও ৪০০-৫০০ টাকায় নেমে আসবে।’
বাস, মাইক্রোবাস ও কোচ শ্রমিক সংগঠনের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মো. রেজাউল আলম সরকার রেজা বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয় আমার জানা নেই। এটি চরম অন্যায়। খোঁজ নিচ্ছি। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানা ছিল না। আপনার মাধ্যমে জানলাম। লোক পাঠিয়ে খোঁজ নেব। সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাউন্টারের আশপাশের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এই নৈরাজ্য আজকের নয়। অনেক বছরের। ঈদ বা পূজা এলেই বাসমালিকেরা এক হয়ে এ ধরনের সিন্ডিকেট তৈরি করেন। দেখার কেউ থাকে না। সে কারণে যাত্রীরা নিরুপায়। বাধ্য হয়ে তিন গুণ দামে টিকিট কিনেন যাত্রীরা।’ বাসমালিকদের নৈরাজ্য বন্ধে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপও চেয়েছেন তিনি।
মোছা. তানজিনা বেগম (২০)। পেশায় পোশাকশ্রমিক। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে এসেছিলেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পিনুর মোড় এলাকায়। কর্মস্থলে ফিরতে টিকিট কাটতে গতকাল সোমবার রাতে আসেন উপজেলার পূর্ব বাইপাস মোড়ের বাস কাউন্টারে। সঙ্গে ছিলেন পোশাকশ্রমিক স্বামী মো. ছাইদুর রহমান। কোলের শিশুসন্তানকে নিয়ে স্বামীসহ ছুটছেন এক কাউন্টার থেকে আরেক কাউন্টারে। কথা হলে তানজিনা বেগম বলেন, ‘১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। তবু আজ ও আগামীকালের কোনো টিকিট নেই।’
তানজিনার স্বামী বলেন, ‘অন্য সময় একজনের জন্য টিকিটের দাম নেওয়া হতো ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। ঈদ শেষ হয়েছে পাঁচ দিন আগে। এত বেশি ভাড়া! বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। কিন্তু করার কিছুই নেই। চাকরি হারানোর ভয় আছে। সে কারণে ঢাকায় যেতেই হবে।’
টিকিট না পেয়ে একটি কাউন্টার থেকে বের হচ্ছিলেন টেক্সটাইল কর্মী মো. আবদুল কুদ্দুস মিয়া (১৮)। উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চর খোর্দা গ্রামে তাঁর বাড়ি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন চার বন্ধু। টিকিট দরকার পাঁচটি। পেয়েছেন একটি। আসন পেছনের সারিতে। টিকিট না পাওয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা।
আবদুল কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘সোনালী পরিবহন, মিথিল পরিবহন, জান্নাত পরিবহন, অর্পণ স্পেশালসহ সবগুলো কাউন্টারে গিয়েছিলাম। আজকের টিকিট কোথাও নেই। দুই দিন পরে নিতে হবে। ভাড়া রাতে ১ হাজার ৩০০ টাকা আর দিনে ১ হাজার ৪০০ টাকা। এর কমে কেউ টিকিট বিক্রি করছেন না।’
দহবন্দ ইউনিয়নের ঢাকাগামী যাত্রী মো. মনির হোসেন (২৫)। তিনি বলেন, ‘বেতন পেয়েছি ১০ হাজার টাকা। যাতায়াত করতে প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দ করতে এসেছিলাম। কিছুই তো হলো না। যাতায়াত করতেই টাকা প্রায় শেষ। বাস ভাড়ায় এ রকম নৈরাজ্য থাকলে আগামী ঈদে বাড়িতে না-ও আসতে পারি।’
গার্মেন্টস কর্মী মোছা. মনজিলা বেগম বলেন, ‘টিকিট পেয়েছি। চৌদ্দ শ টাকা নিয়েছে। বলেছিলাম এত বেশি ক্যান। হ্যায় আমারে বলে, “নিলে নেন, না নিলে নাই গা”। জোরজুলুম করে বেশি টাকা নিচ্ছে। আমরা নিরুপায়।’
যাত্রী সেজে গতকাল রাতে কথা হয় জান্নাত পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মশিউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল-সন্ধ্যা কোনো টিকিট নেই। পরের দিন দিতে পারব।’ ভাড়ার পরিমাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তেরো-চৌদ্দ শ করে বিক্রি করছি। কমে দিতে পারব না।’ ভাড়া বেশি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি একাই বেশি নিচ্ছি না। সবাই নিচ্ছেন। আর ঈদের কারণে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। চাপ কমলে আবারও ৪০০-৫০০ টাকায় নেমে আসবে।’
বাস, মাইক্রোবাস ও কোচ শ্রমিক সংগঠনের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মো. রেজাউল আলম সরকার রেজা বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয় আমার জানা নেই। এটি চরম অন্যায়। খোঁজ নিচ্ছি। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানা ছিল না। আপনার মাধ্যমে জানলাম। লোক পাঠিয়ে খোঁজ নেব। সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাউন্টারের আশপাশের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এই নৈরাজ্য আজকের নয়। অনেক বছরের। ঈদ বা পূজা এলেই বাসমালিকেরা এক হয়ে এ ধরনের সিন্ডিকেট তৈরি করেন। দেখার কেউ থাকে না। সে কারণে যাত্রীরা নিরুপায়। বাধ্য হয়ে তিন গুণ দামে টিকিট কিনেন যাত্রীরা।’ বাসমালিকদের নৈরাজ্য বন্ধে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপও চেয়েছেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম
৬ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে আব্দুল বারেক (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার যমুনা নদীর খানুরবাড়ী এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেন।
১৩ মিনিট আগেফরিদপুর ৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো ভাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর-ভাঙ্গা ও বরিশাল-ভাঙ্গা মহাসড়ক এবং এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা গোলচত্বর অবরোধ করে রেখেছে গ্রামবাসী। সড়কে গাছ ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করছে তারা।
৩২ মিনিট আগেরংপুরের কাউনিয়ায় ইঞ্জিনচালিত ভ্যান (নছিমন) উল্টে এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভেলুপাড়া এলাকায় রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে