Ajker Patrika

চেক ডিজনার মামলায় কলেজ শিক্ষকসহ ৪ জনের দণ্ড

নীলফামারী প্রতিনিধি
চেক ডিজনার মামলায় কলেজ শিক্ষকসহ ৪ জনের দণ্ড

ব্যাংকের চেক ডিজনারের মামলায় (এনআই অ্যাক্ট) নীলফামারীতে কলেজ শিক্ষকসহ চার ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থ দণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সেলিম রেজা এই রায় দেন। 

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অক্ষয় কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে নীলফামারী সরকারি কলেজের শরীর চর্চা শিক্ষক গোলাম ফারুক খান সম্রাটের নয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড, 

ডিমলার ছাতনাই কলোনি গ্রামের হারুন-অর রশিদের নয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ ২৬ হাজার ৮২৪ টাকা অর্থদণ্ড, জলঢাকার পশ্চিম নেকবক্ত গ্রামের মোসলেম উদ্দীনের এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড 

এবং দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের কিষামত নসরতপুর গ্রামের শামীম মোল্লার এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, ১৮৮১ সালের এন আই অ্যাক্ট (সংশোধিত/ ০৬) এর ১৩৮ ধারায় আদালতের বিচারক এই সাজা প্রদান করেন। এ সময় সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে শিক্ষক গোলাম ফারুক খান সম্রাট, হারুন-অর রশিদ, মোসলেম উদ্দীন আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত থাকা শামীম মোল্লাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে শরীরচর্চা শিক্ষক গোলাম ফারুক খান সম্রাট মোবাইল ফোনে সাজার আদেশের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ভাগনে নুরুল ইসলামের কাছ থেকে আট লাখ টাকা নিয়ে আমার চাচাতো বোনের বিয়েতে দিয়েছিলাম। সে টাকা আমার চাচা দিতে দেরি করায় ভাগনে ওই মামলা করেছে। ইতিমধ্যে আমি আদালতের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। আগামী ২ / ১ দিনের মধ্যে আদালতের মাধ্যমে অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করব’। 

নীলফামারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. দিদারুল ইসলাম মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি, খবর নিয়ে জেনেছি শরীর চর্চা শিক্ষক গোলাম ফারুক খান সম্রাট আজ সোমবার কলেজে উপস্থিত ছিলেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত