দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) টানা ১৬ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ প্রশাসনিক শীর্ষপর্যায়ের পদগুলোয় শিক্ষকের বদলে পেশাদার কর্মকর্তা নিয়োগের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছেন। ৯ জুলাই থেকে কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
হাবিপ্রবি অফিসার্স ফোরাম জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাঁরা। আগামী রোববার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্টপরবর্তী একাধিক সভায় রেজিস্ট্রারসহ প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় শিক্ষকদের পরিবর্তে পেশাদার কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি জানান হাবিপ্রবির কর্মকর্তারা। তাঁদের মতে, শিক্ষকেরা প্রশাসনিক দায়িত্বে নিযুক্ত থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রুটিন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বপালনকারী প্রফেসর ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কর্মকর্তারা একই দাবি জানান। উপাচার্য তাঁদের দুই থেকে ছয় মাসের মধ্যে এসব পদে কর্মকর্তা নিয়োগের আশ্বাস দেন।
সম্প্রতি রেজিস্ট্রার পদ শূন্য হলে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. আবু হাসান অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রার পদে শুধু কর্মকর্তা নিয়োগের পক্ষে মত দেন এবং তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।
হাবিপ্রবি অফিসার্স ফোরামের কর্মকর্তারা জানান, ৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একটি স্মারকলিপি দেন তাঁরা। এতে আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব কর্মকর্তাদের না দিলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের দাবি উপেক্ষা করে ৮ জুলাই রাতে প্রফেসর ড. আবু হাসানকে রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিষয়টি ইউজিসির নির্দেশনা লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে অফিসার্স ফোরাম এর প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেয়।
হাবিপ্রবি অফিসার্স ফোরামের দাবি, বর্তমানে অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন কর্মকর্তা বিধি অনুযায়ী যোগ্যতাসম্পন্ন এবং তাঁদের মধ্যে তিনজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী। তবুও তাঁদের উপেক্ষা করে শিক্ষকদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈষম্যমূলক আচরণের প্রমাণ। অফিসার্স ফোরাম রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরিচালকসহ (অর্থ ও হিসাব) গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে বিধি অনুযায়ী যোগ্য কর্মকর্তাদের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানায়।
এ বিষয়ে হাবিপ্রবি অফিসার্স ফোরামের আহ্বায়ক মাহবুব উল হাসান বলেন, ‘আমাদের দাবি অত্যন্ত ন্যায়সংগত। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সুষ্পষ্ট নির্দেশনাও রয়েছে। আজকে আমরা ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ের সঙ্গে বসেছিলাম। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আমরা কার্যকর বাস্তবায়ন চাই। বিষয়টি নিয়ে আগামী রোববার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন, ‘আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেন। উনি বিস্তারিত জানাবেন।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক খাদেমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, উপাচার্য কর্মকর্তাদের দাবিগুলো বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি কর্মকর্তাদের আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে আগামী বুধবার থেকে ইউজিসিতে যোগাযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।
দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) টানা ১৬ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ প্রশাসনিক শীর্ষপর্যায়ের পদগুলোয় শিক্ষকের বদলে পেশাদার কর্মকর্তা নিয়োগের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছেন। ৯ জুলাই থেকে কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
হাবিপ্রবি অফিসার্স ফোরাম জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাঁরা। আগামী রোববার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্টপরবর্তী একাধিক সভায় রেজিস্ট্রারসহ প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় শিক্ষকদের পরিবর্তে পেশাদার কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি জানান হাবিপ্রবির কর্মকর্তারা। তাঁদের মতে, শিক্ষকেরা প্রশাসনিক দায়িত্বে নিযুক্ত থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রুটিন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বপালনকারী প্রফেসর ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কর্মকর্তারা একই দাবি জানান। উপাচার্য তাঁদের দুই থেকে ছয় মাসের মধ্যে এসব পদে কর্মকর্তা নিয়োগের আশ্বাস দেন।
সম্প্রতি রেজিস্ট্রার পদ শূন্য হলে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. আবু হাসান অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রার পদে শুধু কর্মকর্তা নিয়োগের পক্ষে মত দেন এবং তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।
হাবিপ্রবি অফিসার্স ফোরামের কর্মকর্তারা জানান, ৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একটি স্মারকলিপি দেন তাঁরা। এতে আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব কর্মকর্তাদের না দিলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের দাবি উপেক্ষা করে ৮ জুলাই রাতে প্রফেসর ড. আবু হাসানকে রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিষয়টি ইউজিসির নির্দেশনা লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে অফিসার্স ফোরাম এর প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেয়।
হাবিপ্রবি অফিসার্স ফোরামের দাবি, বর্তমানে অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন কর্মকর্তা বিধি অনুযায়ী যোগ্যতাসম্পন্ন এবং তাঁদের মধ্যে তিনজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী। তবুও তাঁদের উপেক্ষা করে শিক্ষকদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈষম্যমূলক আচরণের প্রমাণ। অফিসার্স ফোরাম রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরিচালকসহ (অর্থ ও হিসাব) গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে বিধি অনুযায়ী যোগ্য কর্মকর্তাদের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানায়।
এ বিষয়ে হাবিপ্রবি অফিসার্স ফোরামের আহ্বায়ক মাহবুব উল হাসান বলেন, ‘আমাদের দাবি অত্যন্ত ন্যায়সংগত। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সুষ্পষ্ট নির্দেশনাও রয়েছে। আজকে আমরা ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ের সঙ্গে বসেছিলাম। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আমরা কার্যকর বাস্তবায়ন চাই। বিষয়টি নিয়ে আগামী রোববার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন, ‘আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেন। উনি বিস্তারিত জানাবেন।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক খাদেমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, উপাচার্য কর্মকর্তাদের দাবিগুলো বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি কর্মকর্তাদের আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে আগামী বুধবার থেকে ইউজিসিতে যোগাযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।
রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা
৬ মিনিট আগেযশোরের মনিরামপুরে সরকারি অর্থ বরাদ্দের টাকায় মুক্তেশ্বরী নদী খুঁড়ে বালু তুলে মুক্তেশ্বরী ডিগ্রি কলেজের মাঠ ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্নার তত্ত্বাবধানেই চলছে এ কাজ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনও বলেছেন, নদী থেকে নয়, বালু কিনে এনে মাঠ ভরাট করা
১৩ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ। বিভিন্ন আকার ও ডিজাইনের নৌকা সাজানো সেখানে। এটি আসলে নৌকার হাট। নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়িয়ে হাটসংলগ্ন ডি এন পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠেও বেচাকেনা হচ্ছে।
১৮ মিনিট আগে‘ওর বাবার চোখের সামনেই বিমানটা ভাইঙ্গা পড়ছে। নিচতলায় তখন শুধু আগুন। দোতলায় ধোঁয়া। দরজা বন্ধ। আর্মির সাথে মিল্লা দোতলার পিছনের গ্রিল ভাইঙ্গা উনি মেয়েটারে বাইর করছেন।’ বলছিলেন রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সামিয়া আহমেদের মা শিউলি আক্তার।
৩০ মিনিট আগে