Ajker Patrika

সংযোগ সড়ক নেই, ৭ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে

  • ৯ বছর আগে ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকায় সেতু নির্মিত হয়।
  • সেতুতে যানবাহন চলাচলের সুবিধা না থাকায় দীর্ঘ পথ হাঁটতে হয় গ্রামবাসীদের।
  • সংযোগ সড়ক নিয়ে ইউএনও-গ্রামবাসীর ভিন্ন দাবি।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীর পুরোনো যাদুরচর এলাকায় সংযোগ সড়ক ছাড়াই ঠায় দাঁড়িয়ে সেতু। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। আজকের পত্রিকা
কুড়িগ্রামের রৌমারীর পুরোনো যাদুরচর এলাকায় সংযোগ সড়ক ছাড়াই ঠায় দাঁড়িয়ে সেতু। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। আজকের পত্রিকা

গ্রামীণ সড়কের মাঝে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রায় ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কংক্রিটের সেতু। দুই প্রান্তে ঝোপজঙ্গল। সেতুতে যানবাহন ওঠানোর জন্য নেই কোনো সংযোগ সড়ক। মাটির সরু পথে কোনো রকম সেতুতে ওঠেন পথচারীরা। সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় গ্রামবাসীকে দীর্ঘ পথ হেঁটে যেতে হয়। ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকার বেশি অর্থ ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণের পরও সংযোগ সড়কের অভাবে বছরের পর বছর চলাচলে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাত গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ।

সেতুর অবস্থান কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ও যাদুরচর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী কর্তিমারী বাজার থেকে দুবলাবাড়ী বাজার সড়কের পুরোনো যাদুরচর নামক এলাকায়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় উপজেলার পুরোনো যাদুরচর এলাকার ময়নাল মেম্বারের বাড়ির পাশে ভেঙে যাওয়া সড়কে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ সেতু নির্মাণে সরকারের ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকা ব্যয় হয়। ৯ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে ওই সড়কে চলাচলকারী হাজারো মানুষের চলাচলে ভোগান্তি রয়েই গেছে। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি এ অবস্থায় পড়ে থাকায় কার্যত বিফলে যাচ্ছে সরকারি কোষাগারের মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়। তবে এর দুই পাশে মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় মানুষ এর সুফল পাচ্ছেন না। ৯ বছর ধরে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে উপজেলার দুবলাবাড়ী, পুরোনো যাদুরচর, ঝাউবাড়ী, বকবান্ধা, খেওয়ারচর, কাশিয়াবাড়ী ও বাওয়াইর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মূল সড়ক থেকে সেতুটি প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে। সংযোগ সড়ক না থাকায় কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সেতুর দুই পাশে ঝোপজঙ্গলে ভরা। তার মাঝ দিয়ে পথচারীরা হেঁটে যাওয়ায় সেতু পারাপারের সরু পথ তৈরি হয়েছে।দুবলাবাড়ী বাজার এলাকার বাসিন্দা সহিদ মাসউদ আহমেদ, কৃষক জয়েন উদ্দিন, রুহুল আমিনসহ ওই সড়কে চলাচলকারী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুবলাবাড়ী বাজার থেকে কর্তিমারী বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। সেতুতে সংযোগ সড়ক না থাকায় যানবাহন নিয়ে চলাচল করা যায় না। প্রতিদিন হেঁটে ৩ কিলোমিটার পথ যাতায়াত করতে হয়। এর কোনো বিকল্প নেই। দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে সড়কটি পাকা করার দাবি জানান তাঁরা।

রৌমারী উপজেলা পিআইও সামসুদ্দিন বলেন, ‘কাজটি আমার সময়ের নয়। সেতুটি যদি ত্রুটিপূর্ণ হয় তাহলে আমরা সেটি যান চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করব।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, ‘সংযোগ সড়ক নেই, বিষয়টি এমন নয়। বৃষ্টির কারণে মাটি সরে গেছে। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি এটি ঠিক করে দেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাইলট ইচ্ছা করে বিধ্বস্ত করান এয়ার ইন্ডিয়ার সেই ড্রিমলাইনার: বিশেষজ্ঞ

তবে কি ধরে নেব, মবের পেছনে সরকারের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় আছে: তারেক রহমান

৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি: পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা অবরোধ বৈষম্যবিরোধীদের

ইসরায়েল রাষ্ট্রের পতনের ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ করেছিলেন আইনস্টাইন

মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ড: ‘আমি জড়িত না, ফাঁইসা গেছি’— অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতা রবিনের দাবি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত