Ajker Patrika

সোহাগ হত্যা: পুরান ঢাকার ভাঙারিপট্টিতে ভয়-আতঙ্ক

বরগুনা প্রতিনিধিনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫, ১০: ২৩
ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় শুক্রবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে আলমগীর ও মনির নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় শুক্রবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে আলমগীর ও মনির নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ছবি: আজকের পত্রিকা

পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে নৃশংসভাবে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৪৩) হত্যার ঘটনার পর স্থবির হয়ে পড়েছে সেখানকার ব্যবসায়িক কার্যক্রম। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ভাঙারিপট্টির ব্যবসায়ীরা।

কোটি টাকার ব্যবসার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সোহাগকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র‍্যাব। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। আসামিদের মধ্যে টিটন গাজীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ গিয়াস রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। অন্যদিকে এই মামলার আরেক আসামি তারেক রহমান রবিন অস্ত্র মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

দুপুরের পর দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন। তিনি টিটন গাজীর ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে রবিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন।

শুনানি শেষে আসামি টিটন গাজীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে রবিনের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। জবানবন্দি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত বুধবার সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। নিহত সোহাগ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল টাউন এলাকায় বসবাস করতেন। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে ঢাকা থেকে নিহত লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের মরদেহ বরগুনায় নিয়ে আসেন স্বজনেরা। পরে সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের ইসলামপুরের বান্দরগাছিয়া গ্রামে নানাবাড়িতে মায়ের কবরের পাশে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

শনিবার বিকেলে মিটফোর্ট রোডের রজনী বোস লেনে ভাঙারিপট্টিতে গিয়ে দেখা যায়, গলিতে শতাধিক ভাঙারির দোকান। বেশ কিছু দোকান খুললেও নেই তেমন কর্মচাঞ্চল্য। দোকানি ও কর্মচারীরা অনেকে বসে আছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যবসায়ী সোহাগ খুন হওয়ার পর ভাঙারিপট্টিতে আগের মতো কর্মচাঞ্চল্য নেই। আগে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটত ব্যবসায়ীদের। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের পর তিন দিন ধরে লোকজন কম আসছে। ব্যবসায়ীরাও কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না।

নিহত সোহাগের সোহানা মেটালের পাশের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দুই দিন ধরে ব্যবসা কিছুটা স্থবির হয়ে আছে। বেচাকেনা কম। লোকজনও আসছে না। যাঁরা আসতেছেন, অধিকাংশই বিভিন্ন গণমাধ্যমের লোকজন; ঘটনা জানতে আসছেন।’

মার্কেটের আরেক অ্যালুমিনিয়াম ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা মালামাল বেচাকেনার বাইরে ভাত খাওয়ার সময় পেতাম না। কিন্তু এই ঘটনার পর এখন তেমন কাজ নেই। অল্প অল্প বেচাকেনা চলে। ঘটনার পর অনেকে আতঙ্কিত।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, সোহাগ হত্যায় জড়িত মাহমুদাল হাসান মহিন চকবাজার থানা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। দু-তিন বছর ধরে তিনি যুবদলের রাজনীতি করছেন। গ্রেপ্তার তারেক রহমান রবিন ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তাঁর মা তাহমিনা মিটফোর্ড হাসপাতালের কর্মী। সরোয়ার হোসেন টিটু চকবাজার থানা যুবদলের সাবেক সদস্য। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়নের অনুসারী। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রবিউল কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন বলে জানান।

সাবাহ করিম লাকি ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। অপু দাস চকবাজার থানা ছাত্রদল দলের সদস্যসচিব। মহিন, অপু, টিটুরা একসঙ্গে চলতেন। তাঁরা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেন। কয়েক মাস আগে ব্যবসা নিয়ে তাঁদের মধ্যে সমস্যা দেখা দিলেও গত কোরবানির ঈদের আগে তা মীমাংসা হয়। তাঁরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলতেন। এই নিয়ে ব্যবসায়ীরাও কিছুটা বিরক্ত ছিলেন। মহিন বিএনপির প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দীন আহম্মেদ পিন্টুর স্ত্রী সাবেক কমিশনার নাসিমা আক্তার কল্পনা, যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসহাক সরকার ও হামিদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিত।

ব্যবসায়ী সূত্র জানান, সোহাগ ১০-১২ বছর ধরে ভাঙারি গলিতে ব্যবসা করতেন। ভাঙারির ব্যবসার আড়ালে এ দোকানে অ্যালুমিনিয়ামের চোরাই তার বেচাকেনা হতো। এতে প্রতি মাসে প্রায় কোটি টাকার ব্যবসা হতো তার। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দলটির নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় ব্যবসা চালিয়ে যান। তবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর বিএনপির নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এই কোটি টাকার ব্যবসায় ভাগ বসাতেই তাঁর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয় মহিন, অপু ও টিটুর।

এ ছাড়া মিটফোর্ড হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট দেখভাল করতেন নান্নু। মহিনদের ছত্রচ্ছায়ায় এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন নান্নু। আর হত্যায় জড়িত বড় মনির এলাকায় পরোটা মনির নামেও পরিচিত বলে জানা যায়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে সোহাগের দোকানে ৮-১০টি মোটরসাইকেলে করে লোক এসে তাঁকে মারধর শুরু করে। মারতে মারতে তাঁকে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মাহমুদুল হাসান মহিনের নেতৃত্বে সোহাগের ওপর হামলা চালানো হয়। সোহাগের গায়ে ইট ও পাথর মারেন লম্বা মনির ও আলমগীর। তাঁর শরীরের ওপর লাফালাফি করেন ছোট মনির।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নিহত সোহাগের বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। হত্যায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র‍্যাব। এই নিয়ে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছে পুলিশ ও র‍্যাব। শনিবার মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দিন বলেন, সেখানে একটি ভাঙারি দোকানে কারা ব্যবসা করবে, এ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। যিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এবং যাঁরা হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁরা পরস্পর সম্পর্কিত। তাঁরা একসঙ্গে ব্যবসাটা কিছুদিন করেছেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। তাঁরা নিজেদের মতো ব্যবসা করার জন্য সোহাগের সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত হন এবং এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

পাঁচজনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার

এই হত্যাকাণ্ডে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নাম আসা পাঁচজনকে গত শুক্রবার নিজেদের সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। অবশ্য গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না অভিযোগ করেন, মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং মামলার এজাহার থেকে মূল তিন আসামিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। একই বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও প্রশ্ন তোলেন।

স্ত্রী-সন্তানের আহাজারি

গতকাল আহাজারি করতে করতে স্বামীর কবরের ওপর গড়াগড়ি খাচ্ছেন লাকী আক্তার। বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি, আর প্রলাপ বকছিলেন। কান্নায় ভেঙে যাওয়া কণ্ঠে লাকী আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীরে মারতাছে, আর হাজার হাজার লোক চেয়ে চেয়ে দেখল। কেউ এসে একবারও ওই উন্মাদ খুনিদের থামাইল না। সে পাঞ্জাবি পইরা বের হইছিল। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও ওরা আমার স্বামীর বুকের ওপর উঠে নৃত্য করেছে। আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব? দুইটা অবুঝ শিশু; ওদের কীভাবে মানুষ করব। এই নির্মমতার কি কোনো বিচার করবে এই দেশের মানুষ?

লাকী আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামীর দোকান থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল হত্যাকারীরা। আমার স্বামীর ব্যবসা তাদের সহ্য হচ্ছিল না। তারা প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা চাইছিল। আমার স্বামী তা দিতে চায়নি। আর এ কারণেই নির্মমভাবে হত্যার শিকার হতে হয়েছে তাকে।’

শোকে যেন পাথর হয়ে গেছে সোহাগের দুই শিশুসন্তান। চোখে তীব্র ক্ষোভ ও বুকভরা সাহস নিয়ে তারা পিতৃহত্যার বিচার চেয়েছে দেশবাসীর কাছে।

নিহত সোহাগের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে সোহান (১১) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ওরা এতিম বানাইয়া ফালাইছে। আমরা কোথায় থাকব? আমার বাবাকে কী নিষ্ঠুরভাবে পাথর দিয়া মারছে। এই হত্যার বিচার চাই আমরা।’ এটুকু বলেই সে কান্নায় ভেঙে পড়ে।

এ সময় সোহাগের বড় মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহানা (১৪) বলেন, ‘আমার বাবাকে ব্যবসার জন্য মেরে ফেলেছে। আমার বাবার কাছে হত্যাকারীরা টাকা চাইছে। আমার বাবা বলেছে, আমি কষ্ট করে রোজগার করি আমার সন্তানদের জন্য। তোদের কেন টাকা দিব। আর এ জন্যই আমার বাবাকে ওরা মেরে ফেলেছে। এই নরপিশাচদের ফাঁসি চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক আহত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি   
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় দুই শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় এই সংঘর্ষ চলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়ইউড়ি ও বাহুবল গ্রামের দুই শিশুর মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়াকে ঘিরে বিকেল থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সন্ধ্যার পর উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল, বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবিতে নতুন ছয়টি আবাসিক হল নির্মাণের অনুমোদন

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নতুন ছয়টি আবাসিক হল নির্মাণ এবং একটি হল পুনর্নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫৪৩তম সভায় এই উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর গবেষণা ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন করা হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদন ও সরকারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ২০২৬-২৭ অর্থবছর থেকে পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

প্রস্তাবিত প্রকল্পে রয়েছে ছাত্রদের জন্য তিনটি ও ছাত্রীদের জন্য তিনটি নতুন আবাসিক হল নির্মাণ, শেরেবাংলা ফজলুল হক হল পুনর্নির্মাণ, চিকিৎসাকেন্দ্র, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, জুবেরী ভবনসহ কয়েকটি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন পুনর্নির্মাণ, ইনোভেশন হাব নির্মাণ, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এসব হল ও ডরমিটরি নির্মাণ সম্পন্ন হলে অতিরিক্ত ৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি উন্নত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংযোজনের মাধ্যমে উচ্চতর গবেষণায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে।

এদিকে বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭টি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে ছেলেদের ১১টি ও মেয়েদের ৬টি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৩২ শতাংশ আবাসিক সুবিধা পাচ্ছেন। এ ছাড়া আরও দুটি নতুন হল নির্মাণাধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদ জাকসু নেতাদের

জাবি প্রতিনিধি, ঢাকা 
জাবি ক্যাম্পাসে জাকসু ও হল সংসদের নেতাদের প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাবি ক্যাম্পাসে জাকসু ও হল সংসদের নেতাদের প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান ফটকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদে এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়।

মিছিলে ‘শহীদ আলিফ যেই গেটে, ছাত্রলীগ কেন সেই গেটে’, ‘ছাত্রলীগ মিছিল করে, প্রশাসন কী করে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-সংলগ্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে বটতলায় এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জাকসু ও হল সংসদের নির্বাচিত নেতারা। মিছিল শেষে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।

সমাবেশে জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে তাদের উপস্থিতি জানান দিতে চাইছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনেও তাদের কিছু সদস্য উপস্থিত হয়ে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালায়। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই সুযোগ বাইরে থেকে নয়, বরং ভেতর থেকে দেওয়া হচ্ছে। জুলাইয়ের হামলাকারীদের বিচার ও জাকসু নির্বাচনের পর আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বিচারের দাবিতে আজও আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। প্রশাসনকে সতর্ক করছি, আপনারা কি ফ্যাসিবাদী দোসরদের পুনর্বাসন করতে চান, নাকি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট রক্ষা করতে চান? বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোভাবেই নিষিদ্ধ সংগঠনের উপস্থিতি আমরা মেনে নেব না। অবিলম্বে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে নতুবা শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ কেমন হতে পারে, তা আপনারা ভালোভাবেই জানেন।’

জাকসুর সহসভাপতি আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘আমরা খুবই লজ্জিত হয়েছি, যখন দেখেছি গতকাল রাতে আমাদের প্রধান ফটকের সামনে এসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা মানববন্ধন করে যায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে যেসব ব্যক্তি বসে আছেন, এটা কিন্তু আপনাদের জন্য অনেকটা লজ্জার।’

এর আগে একই ঘটনার প্রতিবাদে রাত ৯টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শাখা ছাত্রদল ও জাতীয় ছাত্রশক্তির নেতা-কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতৃত্বে শামসুল আলম-জামাল উদ্দিন

জাবি প্রতিনিধি 
অধ্যাপক শামসুল আলম ও অধ্যাপক জামাল উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক শামসুল আলম ও অধ্যাপক জামাল উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সভাপতি এবং পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৫ পদের মধ্যে ৫টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ৫৪ জন ভোট দেন। ভোট গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক খন্দকার শরিফুল হুদা ফলাফল ঘোষণা করেন।

সহসভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছালেহ আহাম্মদ খান, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মানসুর, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মামুন হোসেন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসরীন সুলতানা। এই পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যুগ্ম সম্পাদক পদে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক জাকির হোসেন, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন ও ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রায়হান শরীফ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।

এ ছাড়া অন্য পদগুলোতে শিক্ষকেরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সহসাংগঠনিক সম্পাদক পদে গণিত বিভাগের অধ্যাপক আল-আমিন খান, কোষাধ্যক্ষ প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক গণিত বিভাগের অধ্যাপক আমিনুর রহমান খান, প্রচার সম্পাদক পদে একই বিভাগের এস এম মাহমুদুল হাসান, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইনস্টিটিউড অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) অধ্যাপক মো. ফজলুল করিম পাটোয়ারী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূঁইয়া, পরিবেশ ও গবেষণা সম্পাদক পদে গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুল হালিম এবং নারীবিষয়ক সম্পাদক পদে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক শামছুন নাহার নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া কার্যকরী সদস্যপদে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক মো. গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক মোহা. তালিম হোসেন, অধ্যাপক নাহিদ আখতার, কামরুন নেছা খন্দকার, অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী, অধ্যাপক আবু ফয়েজ মো. আসলাম, অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম, অধ্যাপক তাসলিমা নাহার, অধ্যাপক মোহাম্মদ এমাদুল হুদা, অধ্যাপক এ কে এম জাহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক মাসুম শাহরিয়ার ও অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এটি আমাদের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। নির্বাচিত হয়ে আমি আনন্দিত এবং সেই সঙ্গে এই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জয়ী-পরাজিত সকলকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে কাজ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত