Ajker Patrika

দিনাজপুরে রাতে ঠান্ডা দিনে গরম, বাড়ছে রোগ

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪, ১১: ২৪
দিনাজপুরে রাতে ঠান্ডা দিনে গরম, বাড়ছে রোগ

চলছে চৈত্র মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ। এ সময় চৈত্রের দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা হওয়ার কথা হলেও উত্তরের জেলা দিনাজপুরের চিত্র ভিন্ন। দিনে তাপমাত্রা মোটামুটি থাকলেও রাতে অনুভূত হচ্ছে শীত। ফ্যান চালানোর পরিবর্তে গায়ে কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে।

এদিকে, গরম-শীতের মিশেল এই আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। ঘরে ঘরে বাড়ছে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দিনের বেলায় তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও রাতের বেলায় তাপমাত্রা থাকছে ১৭ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ফলে রাতের বেলায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।

এদিকে, দিনে ও রাতে তাপমাত্রার বড় ব্যবধানের কারণে এবং সেই সঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়ায় বাতাসে ধুলোবালি বেড়ে যাওয়ায় সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

জেলার সুইহারী এলাকার আবু বেলাল চৌধুরী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে একটা কাজে গ্রামে গিয়েছিলাম। দিনের বেলায় গরম থাকায় শীতের কাপড় সঙ্গে ছিল না। কিন্তু ফেরার সময় সন্ধ্যা পেরিয়ে যায়। মোটরসাইকেলে করে ফেরত আসার সময় ঠান্ডা লেগে যায়। এর পর থেকে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সর্দি ও কাশিতে ভুগছি।’

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, গত শীত মৌসুমে শীতের তীব্রতা বেশি থাকায় হিমালয়ের বরফের পুরুত্ব অনেকটা বেড়ে গেছে। এর ফলে দিনের বেলায় সূর্যের কারণে প্রভাব না পড়লেও রাতের বেলায় তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। এতে রাতে কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে।

এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন এ এইচ এম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দীকী আজকের পত্রিকাকে জানান, দিনে গরম, রাতে ঠান্ডা, তার সঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়ায় বাতাসে ধুলাবালুর পরিমাণ বেড়েছে। এতে সর্দি, কাশি; বিশেষ করে অ্যাজমা-জাতীয় রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে।

ডা. বোরহানুল আরও বলেন, এ সময় বাইরে চলাফেরায় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি রাতে কাঁথা বা চাদরজাতীয় কিছু একটা গায়ে দিতে হবে। এ ছাড়া সরাসরি ফ্যানের নিচে ঘুমানো উচিত নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত