কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
রংপুর মোটর মালিক সমিতির ডাকা ‘পরিবহন ধর্মঘটে’ কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে বাস না পেয়ে বাধ্য হয়ে অনেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় গন্তব্যে যাত্রা করেছে। তবে দূরপাল্লার এবং আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে।
আজ শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাত্রীরা রংপুরসহ জেলার বাইরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে বাস না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে। অনেকে বাস না পেয়ে ফিরে গেলেও বেশির ভাগ যাত্রী প্রয়োজনের তাগিদে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় অতিরিক্ত ভাড়ায় গন্তব্যে রওনা হচ্ছে।
জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা থেকে মাকে নিয়ে সিরাজগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্যে কুড়িগ্রাম বাসস্ট্যান্ড গিয়েছিলেন মঞ্জুরুল। কিন্তু বাসস্ট্যান্ড পৌঁছে জানতে পারেন পরিবহন ধর্মঘট। এতে মাকে নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন তিনি। কিন্তু যেতেই হবে এমন তাড়ায় বাধ্য হয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় রংপুরের উদ্দেশে রওনা হন—যদি সেখান থেকে সিরাজগঞ্জ পৌঁছানোর কোনো উপায় মেলে!
মঞ্জুরুল বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে আমরা তা জানি না। জানলে হয়তো এভাবে রওনা হতাম না। সবাই যার যার উদ্দেশ্য সফল করতে ব্যস্ত। শুধু ভোগান্তি জনগণের।’
মা ও বোনকে নিয়ে ঢাকায় যাবেন বলে রংপুরের উদ্দেশে বের হয়েছিলেন জেলা শহরের বাসিন্দা ইমতিয়াজ। বাধ্য হয়ে তিনিও মা-বোনকে নিয়ে অটোরিকশায় করে রংপুরের পথে রওনা হন।
মাঈদুল, আবু জালালসহ ১৪ জন শ্রমিক নাগেশ্বরী থেকে অটোরিকশায় কুড়িগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এসেছেন বগুড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে তাঁদের ধান কাটার কাজে অংশ নেওয়া কথা। কিন্তু বাসস্ট্যান্ড এসে জানতে পারেন কোনো গাড়ি চলছে না। বাধ্য হয়ে তারাঁ বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
মাঈদুল বলেন, ‘আসার সময় ৫০ টাকা করে ভাড়া দিছি, যাওয়ার সময় আবার ৫০ টাকা করে লাগব। এই টাকাটা ফাও খরচ হয়া গেল। অভাবের দিনে এই ১০০ টাকার দাম অনেক। কারে কী কই!’
রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির ডাকা দুই দিনব্যাপী পরিবহন ধর্মঘটে কুড়িগ্রাম জেলা মোটর মালিক সমিতির ‘সম্মতি নেই’ বলে জানিয়েছেন জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. লুৎফর রহমান বকসি। তিন বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে ধর্মঘটের সমর্থনে কোনো নির্দেশনা নেই। তবে রংপুরের ডাকা ধর্মঘটে আমাদের জেলার মোটর মালিকেরা গাড়ি চালাবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত তাদের (মালিকদের)। গাড়িগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীন। আমরা বলে দিয়েছি, যাঁরা গাড়ি চালাতে চাইবেন তাঁরা চাইলে গাড়ি চালাতে পারবেন। আমাদের এখান থেকে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে সেক্ষেত্রে দায়দায়িত্ব তাঁরা নিজেরা বহন করবেন।’
তবে বাস্তবে তাঁর এই দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকাল থেকে কুড়িগ্রাম থেকে কোনো যাত্রীবাহী বাস রংপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। এমনকি বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে টিকিট কাউন্টারও বন্ধ পাওয়া গেছে।
বাস মালিক সমিতির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এ অবস্থায় আমরা গাড়ি চালালে গাড়ি আটকে দেওয়া থেকে শুরু করে ভাঙচুরও করার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে গাড়ি চালানো বন্ধ রাখা হয়েছে।’
রংপুর মোটর মালিক সমিতির ডাকা ‘পরিবহন ধর্মঘটে’ কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে বাস না পেয়ে বাধ্য হয়ে অনেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় গন্তব্যে যাত্রা করেছে। তবে দূরপাল্লার এবং আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে।
আজ শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাত্রীরা রংপুরসহ জেলার বাইরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে বাস না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে। অনেকে বাস না পেয়ে ফিরে গেলেও বেশির ভাগ যাত্রী প্রয়োজনের তাগিদে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় অতিরিক্ত ভাড়ায় গন্তব্যে রওনা হচ্ছে।
জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা থেকে মাকে নিয়ে সিরাজগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্যে কুড়িগ্রাম বাসস্ট্যান্ড গিয়েছিলেন মঞ্জুরুল। কিন্তু বাসস্ট্যান্ড পৌঁছে জানতে পারেন পরিবহন ধর্মঘট। এতে মাকে নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন তিনি। কিন্তু যেতেই হবে এমন তাড়ায় বাধ্য হয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় রংপুরের উদ্দেশে রওনা হন—যদি সেখান থেকে সিরাজগঞ্জ পৌঁছানোর কোনো উপায় মেলে!
মঞ্জুরুল বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে আমরা তা জানি না। জানলে হয়তো এভাবে রওনা হতাম না। সবাই যার যার উদ্দেশ্য সফল করতে ব্যস্ত। শুধু ভোগান্তি জনগণের।’
মা ও বোনকে নিয়ে ঢাকায় যাবেন বলে রংপুরের উদ্দেশে বের হয়েছিলেন জেলা শহরের বাসিন্দা ইমতিয়াজ। বাধ্য হয়ে তিনিও মা-বোনকে নিয়ে অটোরিকশায় করে রংপুরের পথে রওনা হন।
মাঈদুল, আবু জালালসহ ১৪ জন শ্রমিক নাগেশ্বরী থেকে অটোরিকশায় কুড়িগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এসেছেন বগুড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে তাঁদের ধান কাটার কাজে অংশ নেওয়া কথা। কিন্তু বাসস্ট্যান্ড এসে জানতে পারেন কোনো গাড়ি চলছে না। বাধ্য হয়ে তারাঁ বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
মাঈদুল বলেন, ‘আসার সময় ৫০ টাকা করে ভাড়া দিছি, যাওয়ার সময় আবার ৫০ টাকা করে লাগব। এই টাকাটা ফাও খরচ হয়া গেল। অভাবের দিনে এই ১০০ টাকার দাম অনেক। কারে কী কই!’
রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির ডাকা দুই দিনব্যাপী পরিবহন ধর্মঘটে কুড়িগ্রাম জেলা মোটর মালিক সমিতির ‘সম্মতি নেই’ বলে জানিয়েছেন জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. লুৎফর রহমান বকসি। তিন বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে ধর্মঘটের সমর্থনে কোনো নির্দেশনা নেই। তবে রংপুরের ডাকা ধর্মঘটে আমাদের জেলার মোটর মালিকেরা গাড়ি চালাবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত তাদের (মালিকদের)। গাড়িগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীন। আমরা বলে দিয়েছি, যাঁরা গাড়ি চালাতে চাইবেন তাঁরা চাইলে গাড়ি চালাতে পারবেন। আমাদের এখান থেকে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে সেক্ষেত্রে দায়দায়িত্ব তাঁরা নিজেরা বহন করবেন।’
তবে বাস্তবে তাঁর এই দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকাল থেকে কুড়িগ্রাম থেকে কোনো যাত্রীবাহী বাস রংপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। এমনকি বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে টিকিট কাউন্টারও বন্ধ পাওয়া গেছে।
বাস মালিক সমিতির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এ অবস্থায় আমরা গাড়ি চালালে গাড়ি আটকে দেওয়া থেকে শুরু করে ভাঙচুরও করার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে গাড়ি চালানো বন্ধ রাখা হয়েছে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নির্বাচনব্যবস্থা দ্রুত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ঠিকমতো খাবার থাকতে হবে। লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বই থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একাডেমিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
৬ মিনিট আগে‘ও সোনা, সোনা রে’ বলে চিৎকার করে লাশবাহী গাড়ির সামনে কাঁদছেন মা আফরোজা খাতুন বিথি। কেউই তাঁকে সান্ত্বনা দিতে পারছেন না। গাড়িতে ছিল মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে প্রাণ হারানো মেয়ে তাসনিম মায়ার নিথর দেহ। মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার জয়পুর গ্রামে আজ শুক্রবার ভোরে লাশবাহী গাড়িটি পৌঁছালে এমন
১৫ মিনিট আগেজাফলংয়ে পানিতে ডুবে মুকিত আহমদ (১৮) নামের এক পর্যটক নিখোঁজ হয়েছেন। আজ শুক্রবার জাফলং জিরোপয়েন্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) নিখোঁজ ব্যক্তির কোনো সন্ধান মেলেনি।
২৯ মিনিট আগেজোটের নেতারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ ছিল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসা ও খুনিদের বিচার করা, দেশটা গুছিয়ে আনা। তা না করে তারা দেশের বাণিজ্য, শিল্প, কৃষি ও জ্বালানি নীতি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কথামতো বাস্তবায়ন করছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার যা করত, এই
৩২ মিনিট আগে