Ajker Patrika

ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
Thumbnail image

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা জেলার অভ্যন্তর ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাত চলমান থাকার পূর্বাভাসও রয়েছে। এ অবস্থায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থেকে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। 

আজ বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম পাউবো থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। পাউবো নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ সময়ে ধরলার পানি কুড়িগ্রাম শহর (ধরলা সেতু) পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। 

এ ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সব কটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

পাউবো জানায়, অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। তবে তিস্তা ছাড়া অন্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছানোর আশঙ্কা নেই। তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করলে এই নদীর কুড়িগ্রাম অববাহিকার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। 

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলায় পানি বাড়লেও তা এখনো বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি দ্রুত বাড়ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে। ফলে তিস্তার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান আরও বলেন, তিস্তার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও ব্রহ্মপুত্র ও অন্যান্য নদ-নদী অববাহিকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা নেই। উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পানি কিছুটা বাড়বে। আগামী সোমবার নাগাদ আবারও কমতে শুরু করতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত