ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন কড়া নাড়ছে দরজায়। এই উৎসব উদ্যাপনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সাঁওতালরা। উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাঁওতাল অধ্যুষিত পাড়া রয়েছে ৭২টি। পাড়াগুলোর ৫৮টি গির্জায় জাঁকজমকভাবে বড়দিন উদ্যাপনে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বর্ণিল সাজে সাজছে সবগুলো গির্জা। তাঁদের বিশ্বাস, যিশুর জন্ম হয়েছিল গোয়ালঘরে বা গোশালায়। সেই স্মৃতিকে স্মরণ করে বড়দিন উপলক্ষে গির্জাগুলোতে তৈরি করা হয়েছে প্রতীকী গোয়ালঘর।
সূর্যপাড়া, পারইল, বাসুদেবপুর, নথন, সিরামপুরের বাসিন্দারা নানা রকমের ফুল, বেলুন, নকশা করা কাগজ, জরি ও রং দিয়ে কয়েক দিন ধরেই সাজাচ্ছেন তাঁদের গির্জা ও বাড়িঘর। আজ সোমবার সকালে উপজেলার আলাদীপুর সূর্যপাড়া ও পারুইল, সিরামপুর সাঁওতাল পল্লি ঘুরে দেখা যায়, নারীরা বাড়িগুলো সাজাচ্ছেন। অনেকে নতুন কাপড় কেনাকাটায় ব্যস্ত। ব্যস্ত ও উৎসবমুখর সময় পার করছেন সবাই।
উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর সূর্যপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় দল বেঁধে নারীরা সাজাচ্ছেন বাড়িঘর-উঠোন। মাটির ঘরে কয়লা গুঁড়ো দিয়ে তৈরি কালো রং, বাজার থেকে আনা নীল রং এবং চুন দিয়ে মাটির দেয়ালে অসাধারণ কারুকার্যময় বিভিন্ন আলপনা ও ফুল আঁকছেন তাঁরা।
আলপনা আঁকতে আঁকতে লিনা কিচকু বলছিলেন, ‘সরই হেতু ওড়া সাজাও। সিকাতে রংইং ক্রিংয়া পাইসা বানু তিয়া।’ (বড়দিন উপলক্ষে বাড়ি সাজাচ্ছি। চুন দিয়ে এভাবে রং বা আলপনা আঁকছি। টাকা নেই কী আর করা।)
বড়দিনকে সামনে রেখে কাজিহাল ইউনিয়নের পারইল কোদবীর মিশনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলবিনা বাস্কে চুন দিয়ে আলপনা আঁকছেন। তিনি বলেন, ‘আনে রেংগেই হড় বানু তালে টাকা পাইসা আনাতে যাহা লেকাতে পরবও কানা লে (আমরা গরিব মানুষ টাকাপয়সা কম থাকলেও উৎসব পালন করি)।’
উপজেলার সাঁওতাল নেতা কমল কিসকু বলেন, ‘আমাদের এলাকার লোকসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে উপজেলার ব্যাপ্টিস্ট, ক্যাথলিক, লাথারন, এফসিসি ও চার্চ অব গডের ৫৮টি চার্চে প্রার্থনা করব আমরা।
উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের পারইল কোদবীর ক্যাথলিক চার্চের ফাদার জসিম ফিলিপ মুর্মু বলেন, খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট ২৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনার জন্য যিশুখ্রিষ্ট জন্ম নিয়েছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে গির্জায় নানা আয়োজন করা হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর রাত থেকে প্রার্থনা শুরু করা হবে। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর সারা দিন বিশেষ প্রার্থনাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন শেষ হবে। এ দিনে মানুষের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে প্রার্থনা করে যিশুকে স্মরণ করেন তাঁরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫৮টি গির্জার প্রতিটিতে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০০ কেজি করে জিআর প্রকল্পের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর মো. আল কামাহ্ তমাল জানান, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদ্যাপন উপলক্ষে উপজেলার ৫৮টি গির্জার প্রতিটিতে ৫০০ কেজি করে ২৯ টন চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁরা যাতে শান্তি-সুশৃঙ্খলভাবে দিবসটি উদ্যাপন করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন কড়া নাড়ছে দরজায়। এই উৎসব উদ্যাপনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সাঁওতালরা। উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাঁওতাল অধ্যুষিত পাড়া রয়েছে ৭২টি। পাড়াগুলোর ৫৮টি গির্জায় জাঁকজমকভাবে বড়দিন উদ্যাপনে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বর্ণিল সাজে সাজছে সবগুলো গির্জা। তাঁদের বিশ্বাস, যিশুর জন্ম হয়েছিল গোয়ালঘরে বা গোশালায়। সেই স্মৃতিকে স্মরণ করে বড়দিন উপলক্ষে গির্জাগুলোতে তৈরি করা হয়েছে প্রতীকী গোয়ালঘর।
সূর্যপাড়া, পারইল, বাসুদেবপুর, নথন, সিরামপুরের বাসিন্দারা নানা রকমের ফুল, বেলুন, নকশা করা কাগজ, জরি ও রং দিয়ে কয়েক দিন ধরেই সাজাচ্ছেন তাঁদের গির্জা ও বাড়িঘর। আজ সোমবার সকালে উপজেলার আলাদীপুর সূর্যপাড়া ও পারুইল, সিরামপুর সাঁওতাল পল্লি ঘুরে দেখা যায়, নারীরা বাড়িগুলো সাজাচ্ছেন। অনেকে নতুন কাপড় কেনাকাটায় ব্যস্ত। ব্যস্ত ও উৎসবমুখর সময় পার করছেন সবাই।
উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর সূর্যপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় দল বেঁধে নারীরা সাজাচ্ছেন বাড়িঘর-উঠোন। মাটির ঘরে কয়লা গুঁড়ো দিয়ে তৈরি কালো রং, বাজার থেকে আনা নীল রং এবং চুন দিয়ে মাটির দেয়ালে অসাধারণ কারুকার্যময় বিভিন্ন আলপনা ও ফুল আঁকছেন তাঁরা।
আলপনা আঁকতে আঁকতে লিনা কিচকু বলছিলেন, ‘সরই হেতু ওড়া সাজাও। সিকাতে রংইং ক্রিংয়া পাইসা বানু তিয়া।’ (বড়দিন উপলক্ষে বাড়ি সাজাচ্ছি। চুন দিয়ে এভাবে রং বা আলপনা আঁকছি। টাকা নেই কী আর করা।)
বড়দিনকে সামনে রেখে কাজিহাল ইউনিয়নের পারইল কোদবীর মিশনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলবিনা বাস্কে চুন দিয়ে আলপনা আঁকছেন। তিনি বলেন, ‘আনে রেংগেই হড় বানু তালে টাকা পাইসা আনাতে যাহা লেকাতে পরবও কানা লে (আমরা গরিব মানুষ টাকাপয়সা কম থাকলেও উৎসব পালন করি)।’
উপজেলার সাঁওতাল নেতা কমল কিসকু বলেন, ‘আমাদের এলাকার লোকসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে উপজেলার ব্যাপ্টিস্ট, ক্যাথলিক, লাথারন, এফসিসি ও চার্চ অব গডের ৫৮টি চার্চে প্রার্থনা করব আমরা।
উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের পারইল কোদবীর ক্যাথলিক চার্চের ফাদার জসিম ফিলিপ মুর্মু বলেন, খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট ২৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনার জন্য যিশুখ্রিষ্ট জন্ম নিয়েছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে গির্জায় নানা আয়োজন করা হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর রাত থেকে প্রার্থনা শুরু করা হবে। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর সারা দিন বিশেষ প্রার্থনাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন শেষ হবে। এ দিনে মানুষের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে প্রার্থনা করে যিশুকে স্মরণ করেন তাঁরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫৮টি গির্জার প্রতিটিতে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০০ কেজি করে জিআর প্রকল্পের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর মো. আল কামাহ্ তমাল জানান, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদ্যাপন উপলক্ষে উপজেলার ৫৮টি গির্জার প্রতিটিতে ৫০০ কেজি করে ২৯ টন চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁরা যাতে শান্তি-সুশৃঙ্খলভাবে দিবসটি উদ্যাপন করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সবাই আমরা শোকাহত, কোনো ভাষা নাই। এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। মৃত্যু মনে হয় ২৭ ছাড়িয়েছে। যারা বেঁচে থাকবে, তারাও সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবে না। যে শিশুরা মরে গেল, তাদের মা-বাবার চোখের জল কী দিয়ে পূরণ করব?’
১৫ মিনিট আগেমাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সব শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় ভেতরে অবরুদ্ধ থাকা দুই উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও সিআর আবরারকে নিরাপদে বের করে আনতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
১৯ মিনিট আগেঢাকায় বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগরের দাফনের প্রস্তুতি চলছে রাজশাহীতে। নগরের সপুরা গোরস্থানে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কবর খননের কাজ শুরু হয়।
৩৪ মিনিট আগেমধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে স্থানীয় সাহানীয়া সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁর নাম মো. রায়হান (২০)। তিনি উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড উত্তরপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদ নুরুর ছেলে। কাতারের হোমসালাল মোহাম্মদ
১ ঘণ্টা আগে