Ajker Patrika

‘ইভিএমে ত্রুটি’: রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও কাউন্সিলর প্রার্থীর

বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
‘ইভিএমে ত্রুটি’: রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও কাউন্সিলর প্রার্থীর

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ইভিএমে ভোট সুষ্ঠু না হওয়ার অভিযোগ তুলে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী প্রায় পাঁচ শতাধিক সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করেছেন।

এ সময় পরাজিত ওই প্রার্থীর সমর্থকেরা ওই ওয়ার্ডে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনা ঘটেছে আজ বুধবার বিকেলে। 

পরাজিত ওই প্রার্থীর সমর্থকদের দাবি—কাউন্সিলর প্রার্থী এম. এ রাজ্জাক মণ্ডলের জয় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু ইভিএমে তাঁর ভোট চুরি করে অপর দুই প্রার্থীকে সমান ভোট দেখানো হয়েছে। এখন নির্বাচন অফিস সমান ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এটা মেনে নেওয়া হবে না। পুনরায় ভোট হলে আমাদের কাউন্সিলর প্রার্থীকেও ভোটে অংশ নিতে দিতে হবে।

এ সময় পরাজিত প্রার্থী এম. এ রাজ্জাক মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, ‘ইভিএমে ভোট সুষ্ঠু হয়নি। ইভিএমের ধীর গতি, আঙুলের ছাপ না মেলাসহ নানা কারণে আমার সমর্থকেরা ভোট দিতে পারেনি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে দুজন প্রার্থীকে সমান ভোট দেখানো হয়েছে। এখন শুনছি, ওই দুজনের মধ্যে ভোট নেওয়া হবে। কিন্তু আমার কী অপরাধ? এটা শুনে সমর্থকেরা আর বাসায় থাকতে পারেনি।’

বুধবার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী প্রায় পাঁচ শতাধিক সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে রিটার্নিং কার্যালয় ঘেরাও করেনএ ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইভিএমে ভোট নিতে কোনো ত্রুটি হয়নি। ভোট চুরির অভিযোগও মিথ্যা। ওই ওয়ার্ডে তিনজন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে দুজন ৩ হাজার ১৯৭ ভোট পেয়েছেন। বিধি অনুযায়ী, সেখানে নির্বাচন হবে। তবে নির্বাচনী আইনের ৪১ ধারায় বলা আছে, যদি কেউ নির্বাচনে সমান ভোট পান তাহলে সেখানে তাঁদের মধ্যেই ভোট হবে। কম ভোট পাওয়া প্রার্থীর পরবর্তী ভোটে অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু কাউন্সিলর প্রার্থী আইন অমান্য করে তিনি লোকজন নিয়ে আমার কার্যালয় ঘেরাও করেন।’ 

রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ওই ওয়ার্ডে কবে ভোট হবে-এমন নির্দেশনা আসবে ইসি কার্যালয় থেকে। সেখান থেকে যেভাবে নির্দেশনা আসবে, সেভাবেই ভোট নেওয়া হবে।’ 

উল্লেখ, গতকাল মঙ্গলবার রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে মো. শাহাজাদা আরমান (ঠেলাগাড়ি), সাইফুল ইসলাম ফুলু (ঘুড়ি) ও এম. এ রাজ্জাক মণ্ডল (লাটিম) প্রতীক নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন। এতে মো. শাহাজাদা আরমান ও সাইফুল ইসলাম ফুলু উভয়েই ৩ হাজার ১৯৭ ভোট পান। আর এম. এ রাজ্জাক মণ্ডল পান ১ হাজার ৮৯২ ভোট। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত