Ajker Patrika

দিনাজপুরে আবারও বাড়ছে তাপমাত্রা 

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ মে ২০২৪, ২২: ৫৯
দিনাজপুরে আবারও বাড়ছে তাপমাত্রা 

উত্তরের জেলা দিনাজপুরে আবারও তাপমাত্রার পারদ বাড়তে শুরু করেছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও গত তিন দিন থেকে বাড়তে শুরু করেছে। গেল সপ্তাহে দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টিপাত হলেও দিনাজপুর ছিল অনেকটাই বৃষ্টি শূন্য। এর আগে ৩০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ।

জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গেল কয়েক দিন তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও আবারও তা বাড়তে শুরু করেছে। তাপমাত্রা মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহের দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টি হলেও দিনাজপুরে আপাতত বৃষ্টিপাতের তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। গত কয়েক দিনে নামমাত্র বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ২১ মিলিমিটার। যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম।

এদিকে তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরমে বেকায়দায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। দোকানগুলোতে বেড়ে গেছে ডাব, শরবত, জুস আর খাবার স্যালাইনের চাহিদা। আজ (বুধবার) একটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। শহরের মডার্ন মোড়, মুন্সিপাড়া, হাসপাতাল মোড়, রেলস্টেশন, লিলির মোড়, পাহাড়পুর, বাস টার্মিনালসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তীব্র গরমে রাস্তাঘাটে কমে গেছে যানবাহন চলাচল। যাত্রী না থাকায় কয়েকজন রিকশা ও অটোচালক গাছের ছায়ায় বিশ্রাম করছেন।

অপরদিকে, বৃষ্টি না হওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে এলাকার কৃষিতে। খেতের ফলন ঠিক রাখতে কৃষকদের জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। আর এতে করে ধান উৎপাদন খরচ বহুগুণে বেড়ে যাচ্ছে।

শহরের বড়বন্দর এলাকার গৃহবধূ দিপা রায় বলেন, ‘অতিরিক্ত গরমের কারণে বাচ্চাদের নিয়ে বিপদে পড়েছি। গরম থেকে বাঁচতে বাচ্চারা ২ / ৩ বার গোসল করছে। গরমে তাদের সর্দি লেগে গেছে।’

চকবাজার এলাকায় ভ্যানচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই গরমে জান বাহির হই যাছে। কিন্তু উপায় নাই, কাজ না করিলে খামো কি? কবে যে বৃষ্টি হবে?’

তাপদাহে সড়কে কমে গেছে যান চলাচল। ছবি: আজকের পত্রিকাসদরের ঘুঘুডাঙ্গা এলাকার কৃষক মাহমুদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ‘এখন তো ধান পুষ্ট হওয়ার সময়। জমিতে রস না থাকলে ধান ভালো হবে কীভাবে? বাধ্য হয়ে আমাদের প্রতিদিন জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে করে আমাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।’

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘জেলায় আবারও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বুধবার বেলা ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ। আর বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪ কিলোমিটার।’

তিনি বলেন, ‘এ মাসে বৃষ্টির তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টি হলেও দিনাজপুরে আপাতত বৃষ্টিপাতের তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। গত কয়েক দিনে নামমাত্র বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ২১ মিলিমিটার। যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত