Ajker Patrika

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪: ০০
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মাঘের শীতের দাপট যেন কোনোভাবেই কমছে না। গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চিলমারীতে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আজ রোববার সকাল ৭টায় রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

দুপুরের পর সূর্যের আলো দেখা গেলেও তাপমাত্রা তেমন বাড়েনি। ফলে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ কাজ করতে বের হয়ে পড়ছেন ভোগান্তিতে। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছেন। 

রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই হাত-পা ঠান্ডা লাগি আইসে। খুব কষ্ট করি জমিত যাওয়া লাগে। এত ঠান্ডা আর ভালো লাগে না। ১০-১৫ বছরের মধ্যে এমন ঠান্ডা আছিলনে।’ 

এ পর্যন্ত শীতার্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। 

এদিকে তীব্র শীতে অনেকে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নার্স ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের। শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হওয়ায় তাঁদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখাসহ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ রোববার সকাল ৭টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরও দু-এক দিন তাপমাত্রা কমে পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে স্বাভাবিক হতে পারে। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পি আইও) মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, ৪ হাজার ৫০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যা ইতিমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, সরকারিভাবে পাওয়া শীতবস্ত্র ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আরও শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত