কেএম হিমেল আহমেদ, বেরোবি (রংপুর) প্রতিনিধি
‘মোর দাদায় জুতা সেলাইছে, বাপেও মুচি। মুইও বাপের পেশা ধরছু, জুতা সিলাই, কালি করোং। বাপ গ্রামোত ঘুরে মুচিগিরি করছে, মুই বাজারোত করছুনুং। কিন্তু করোনাত ধাক্কা খাছু, কাম না পাওয়ায়। অ্যালা মুইও বাপের মতো গ্রামোত ঘুরি ঘুরি জুতা সিলাই কালি করি পেট চালাও।’ এভাবেই আক্ষেপের স্বরে নিজের অসহায়ত্বের কথাগুলো বলছিলেন মুচি খেকু বাবু।
গতকাল রোববার সকালে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তেয়ানী কান্দিপাড়ায় মুচি খেকু বাবু ৫-৭ জোড়া জুতা সেলাই করছিলেন। পাশে বসে ছিলেন গৃহিণী জোসনা রানী, শব্য রানী, আকাশী রানীরা। তাঁদের কেউ চটি, কেউবা হিল জুতা নিয়ে এসেছেন সেলাই করতে।
খেকু বাবু বলেন, মানুষের এখন টাকা হয়ে গেছে, ‘কেউ ছেঁড়া জুতা সেলাই করে পায়ে দেয় না। তাই শহর ছেড়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরি। সকাল থেকে বিকেল সারা দিন আয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। পরিবারে সদস্য ৫ জন, আয় শুধু আমার একার। অনেক সময় ধারদেনা করি চলি। শনিবারের আয় ২৫০ টাকা। কাম শেষে বাজার করছি চাল ৩ কেজি ১৫০ টাকা, ছোট একটা মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকার, সয়াবিন তেল ১ পোয়া ৪০ টাকা, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ ৩০ টাকা। বাজার করে বাড়ি যখন গেছি হাতে এক টাকাও নেই।’
জুতা সেলাই করতে আসা আকাশী রানী বলেন, অভাবের সংসারে নতুন স্যান্ডেল কেমনে কিনিম? অনেক দিন পরে পাড়ায় খেকু মুচি আসছে। ছেঁড়া স্যান্ডেল, চটি ঠিক করবার আনছি। এটা ঠিক করলে অনায়াসে ৪-৫ মাস যাবে।
শব্য রানী নামের আরেক গৃহিণী বলেন, নতুন জোতা ছিঁড়ে ফেলছে বেটি। তা ঠিক করবার আনছি। এক সপ্তাহ পরে পরে মুচি আসে গ্রামে।
এনজিও কর্মী আনোয়ার হোসেন বলেন, এই পেশা এখন বিলুপ্তির পথে। এইভাবে পথের ধারে জুতা সেলাইয়ের দৃশ্য আগের দিনে দেখা যেত। এখন আর দেখা যায় না। মাঝে মাঝে বিভিন্ন গ্রামে অফিসের কাজে গেলে এই খেকু দাদারে দেখি।’
মুচি খেকু বাবু বলেন, আগে অনেক লোকজন মুচির কাজে জড়িত ছিল। এখন সবাই এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। কেউ ভ্যান চালায়, কেউ মাঠে কাম করে। তেয়ানী গ্রামে এখন মোটমাট ৫ গীরি (ঘর) মুচি আছে।
‘মোর দাদায় জুতা সেলাইছে, বাপেও মুচি। মুইও বাপের পেশা ধরছু, জুতা সিলাই, কালি করোং। বাপ গ্রামোত ঘুরে মুচিগিরি করছে, মুই বাজারোত করছুনুং। কিন্তু করোনাত ধাক্কা খাছু, কাম না পাওয়ায়। অ্যালা মুইও বাপের মতো গ্রামোত ঘুরি ঘুরি জুতা সিলাই কালি করি পেট চালাও।’ এভাবেই আক্ষেপের স্বরে নিজের অসহায়ত্বের কথাগুলো বলছিলেন মুচি খেকু বাবু।
গতকাল রোববার সকালে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তেয়ানী কান্দিপাড়ায় মুচি খেকু বাবু ৫-৭ জোড়া জুতা সেলাই করছিলেন। পাশে বসে ছিলেন গৃহিণী জোসনা রানী, শব্য রানী, আকাশী রানীরা। তাঁদের কেউ চটি, কেউবা হিল জুতা নিয়ে এসেছেন সেলাই করতে।
খেকু বাবু বলেন, মানুষের এখন টাকা হয়ে গেছে, ‘কেউ ছেঁড়া জুতা সেলাই করে পায়ে দেয় না। তাই শহর ছেড়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরি। সকাল থেকে বিকেল সারা দিন আয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। পরিবারে সদস্য ৫ জন, আয় শুধু আমার একার। অনেক সময় ধারদেনা করি চলি। শনিবারের আয় ২৫০ টাকা। কাম শেষে বাজার করছি চাল ৩ কেজি ১৫০ টাকা, ছোট একটা মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকার, সয়াবিন তেল ১ পোয়া ৪০ টাকা, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ ৩০ টাকা। বাজার করে বাড়ি যখন গেছি হাতে এক টাকাও নেই।’
জুতা সেলাই করতে আসা আকাশী রানী বলেন, অভাবের সংসারে নতুন স্যান্ডেল কেমনে কিনিম? অনেক দিন পরে পাড়ায় খেকু মুচি আসছে। ছেঁড়া স্যান্ডেল, চটি ঠিক করবার আনছি। এটা ঠিক করলে অনায়াসে ৪-৫ মাস যাবে।
শব্য রানী নামের আরেক গৃহিণী বলেন, নতুন জোতা ছিঁড়ে ফেলছে বেটি। তা ঠিক করবার আনছি। এক সপ্তাহ পরে পরে মুচি আসে গ্রামে।
এনজিও কর্মী আনোয়ার হোসেন বলেন, এই পেশা এখন বিলুপ্তির পথে। এইভাবে পথের ধারে জুতা সেলাইয়ের দৃশ্য আগের দিনে দেখা যেত। এখন আর দেখা যায় না। মাঝে মাঝে বিভিন্ন গ্রামে অফিসের কাজে গেলে এই খেকু দাদারে দেখি।’
মুচি খেকু বাবু বলেন, আগে অনেক লোকজন মুচির কাজে জড়িত ছিল। এখন সবাই এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। কেউ ভ্যান চালায়, কেউ মাঠে কাম করে। তেয়ানী গ্রামে এখন মোটমাট ৫ গীরি (ঘর) মুচি আছে।
সকাল সাড়ে ৭টা। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভার সামনের আঞ্চলিক সড়ক ধীরে ধীরে ভরে উঠতে থাকে ধান ও সরিষার বস্তায়। আশপাশের চরাঞ্চল থেকে আসা কৃষকেরা নৌকা বা ভ্যানগাড়িতে করে ধান নামাতে থাকেন আর ব্যাপারীরা দরদামে ব্যস্ত। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাস্তাটি পরিণত হয় বড়সড় হাটে। কেনাবেচা চলে দুপুর পর্যন্ত।
২ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সড়ক সংস্কারের ছয়টি প্রকল্পের কাজ পেয়েছেন ঠিকাদার ও আওয়ামী লীগের নেতা অলি আহাম্মেদ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এসব প্রকল্পের মধ্যে পাঁচটিতে বরাদ্দ দেয় ১০ কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা। মোট সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার।
২ ঘণ্টা আগেকারও তিনতলা বাড়ি আছে, কেউ চড়ে প্রাইভেট কারে—তবু পেশা দিনমজুর। এভাবে রাজশাহী মহানগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বেড়ে গেছে দিনমজুরের সংখ্যা। কথা বলে জানা গেল, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্ড পেতে এমন চতুরতার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এতে বঞ্চিত হয়েছে দুস্থরা।
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ শহরের চেচানিয়াকান্দি এলাকায় প্রেমানন্দ হালদার (৮০) নামের এক বৃদ্ধ ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি কোটালীপাড়া উপজেলার ভেন্নাবাড়ি গ্রামে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে