Ajker Patrika

খুশির পরিবর্তে শোকের ছায়া জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মাশরাফির এলাকায়

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১: ৪৮
খুশির পরিবর্তে শোকের ছায়া জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মাশরাফির এলাকায়

দিনাজপুর থেকে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে সাইকেল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলেন মাশরাফি হোসেন মারুফ (২২)। এতে দুটি রৌপ্য ও একটি ব্রোঞ্জ পান তিনি। সেই প্রাপ্তির খবরে পরিবারের সবাই খুব খুশি। তাঁর ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিল পরিবার ও এলাকাবাসী। ফিরলেন ঠিকই, কিন্তু লাশ হয়ে। এ নিয়ে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই খেলোয়াড়ের এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। 

আজ মঙ্গলবার ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সকাল ৯টার দিকে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে নিহত হন তিনি। বিকেলে আসরের নামাজের পর গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়। মাশরাফির চাচা মো. আলাউদ্দিন তাঁর জানাজা ও দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এদিকে মাশরাফির নিহতের খবরে তাঁর গ্রামের বাড়ি ও ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত মাশরাফির মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়িতে গেলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। শোকে মূর্ছা যান তাঁর মা মিনু বেগম। তাঁর মায়ের আহাজারিতে উপস্থিত সকলে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন। এলাকাবাসী ও তাঁর সহপাঠীরা জানান, মাশরাফি অত্যন্ত মিশুক ও শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায় পারদর্শী ছিলেন। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর ভিড় করেন স্বজনেরামারুফের চাচা আলাউদ্দিন বলেন, ‘তিন ভাইয়ের মধ্যে মারুফ ছিল দ্বিতীয়। সে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও সমান পারদর্শী ছিল। ঢাকায় সাইকেল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কার জেতার খবরে আমরা খুব খুশি ছিলাম। কিন্তু তার মৃত্যুর খবরে সবাই ভেঙে পড়েছে।’ 

নিহত মারুফের কোচ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা দিনাজপুর থেকে একটি টিম নিয়ে ২য় শেখ কামাল বাংলাদেশ যুব গেমস অনূর্ধ্ব-১৭ তে বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ নিয়েছিলাম। ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। মারুফ তিনটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে পুরস্কার জেতে। সে অত্যন্ত মিশুক এবং একজন ভালো মানের খেলোয়াড় ছিল। তাকে হারিয়ে আমরা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছি।’ 

উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে ফেরার পথে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দর রেলস্টেশন অতিক্রম করছিলেন। এ সময় ট্রেনের দরজা দিয়ে নিজের বাড়ি সতীর্থদের দেখিয়ে দেওয়ার সময় অতিরিক্ত ঝুঁকে গেলে সিগন্যালবারে মাথায় আঘাত পান। পরে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মাশরাফি। পরে তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

মাশরাফি চিরিরবন্দর উপজেলার বড়বাউল গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে ও দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র। 

দিনাজপুর জিআরপি থানার উপপরিদর্শক জেসমিন আক্তার বলেন, এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত