Ajker Patrika

নদী ভাঙন দেখতে হেলিকপ্টার থেকে নামলেন না প্রতিমন্ত্রী

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
Thumbnail image

প্রস্তুতি থাকলেও গাইবান্ধা নদী ভাঙন এলাকা সরেজমিন দেখতে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুককে বহন করা হেলিকপ্টারটি নিচে নামল না। তবে হেলিকপ্টার থেকে ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে নদী ভাঙনের চিত্র ধারণ করা হয়েছে। 

আজ রোববার গাইবান্ধা জেলার নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে এসে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে প্রতিমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাড়তি নিরাপত্তাও নেওয়া হয়েছিল নদী ভাঙন কবলিত কাশিমবাজার এলাকায়। 

বিষয়টি স্বীকার করে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) নুর আলম মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাইবান্ধার কাশিমবাজার এলাকায় নদী ভাঙন আমরা হেলিকপ্টার থেকেই দেখেছি, ওখানে নামা হয়নি। হেলিকপ্টারে তিন জায়গায় নামা যায়, আমরা কুড়িগ্রামের তিন জায়গায় নেমেছি। ওখানে নামলে চার জায়গা হবে। তাই নামা হয়নি।’ 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ (রোববার) বেলা পৌনে ১২টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের কাশিমবাজার এলাকায় সরাসরি নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করার কথা ছিল পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের। কিন্তু তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি নিচে অবতরণ করেনি। 

স্থানীয়রা জানান, প্রতিমন্ত্রী সরকারি সফরে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করতে এসে হেলিকপ্টার থেকে নিচে অবতরণ করেননি। কাশিমবাজার এলাকার এসে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মতো সময় ছিলেন তিনি। এই অল্প সময়ে ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে চিত্র ধারণ করেছেন। নিচে নেমে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করার কথা ছিল প্রতিমন্ত্রীর। তা না করে হেলিকপ্টার থেকে এক ঝলক দেখেই চলে গেলেন। এই এলাকার মানুষ প্রতিমন্ত্রীকে তাদের দুঃখের কথা জানাতেও পারল না। 

উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা সরদার মিজানুর রহমান মিলন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করতে এসেছিলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। তাঁর আগমন উপলক্ষে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাশিমবাজার এলাকায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল। ওই এলাকায় পতাকা উড়ানো হয়েছিল, যাতে হেলিকপ্টার থেকে পরিদর্শক দল বুঝতে পারে এটা কাশিমবাজারের ভাঙন এলাকা। দুপুরের দিকে প্রতিমন্ত্রীর হেলিকপ্টার আসে পরিদর্শনে, কিন্তু তিনি নিচে নামেননি।’ 

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাসুদুর রহমান আজকের পত্রিকা বলেন, ‘পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী স্যারের নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনের চিঠি পেয়ে ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। তবে স্যারের হেলিকপ্টার নিচে অবতরণ করেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত