Ajker Patrika

মিঠাপুকুরে খাবার পানির সংকট, বসানো হচ্ছে ১৪টি তারাপাম্প

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি 
মিঠাপুকুরে খাবার পানির সংকট, বসানো হচ্ছে ১৪টি তারাপাম্প

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নে খাবার পানির সংকট নিরসনে তারাপাম্প স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০টি তারাপাম্প বসানো হয়েছে। আরও ৪টি স্থাপনকাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম।

এ বিষয়ে ‘নলকূপে মিলছে না পানি, দুর্ভোগে স্থানীয় বাসিন্দারা’ শিরোনামে গত ৫ মে আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছে, মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়া গাছ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের শত শত নলকূপে পানি উঠছে না। ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপগুলো অচল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় সকল নলকূপের একই অবস্থা। জারুল্যাপুর, রাংগাতিপাড়া, মাঠের হাট, ধরের পাড় ও পাইকার পাড়া গ্রামে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছিল। গৃহিণীরা দূর-দূরান্তর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করছিলেন।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নুরুন নবী মিয়া জানিয়েছিলেন, তাঁর এলাকায় শতাধিক নলকূপ থেকে পানি উঠছে না। একই কথা বলেছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান। তিনি তাঁর ইউনিয়নে পানীয় জলের সংকট নিরসনে বেশি করে তারা পাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, মাটির নিচে সাধারণত ২২ থেকে ২৫ ফুট গভীরে পানির স্তর পাওয়া যায়। কিন্তু খোড়াগাছ ইউনিয়নের লাল মাটি এলাকায় ৩০ থেকে ৩৫ ফুট নিচে পানির স্তর নেমে গেছে। নলকূপের বোরিং কম। এ এলাকায় ৩০ থেকে ৪০ ফুটের বেশি পাইপ বসানো হয় না। এ কারণে অনেক নলকূপ থেকে পানি উঠছে না।

প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘খাবার পানির সংকট নিরসনে ইতিমধ্যে ১০টি তারাপাম্প স্থাপন এবং ৭টির প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। আরও ৪টি তারাপাম্প স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।’

আজিজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘২০৩০ সালে পানির সংকট আরও তীব্র হবে। কারণ প্রতিদিন পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। খরা মৌসুমে পানির সংকট মোকাবিলা করতে হলে নলকূপ স্থাপন করার সময় কমপক্ষে ১৮০ ফুট বোরিং করে পাইপ বসাতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত