Ajker Patrika

জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যায় ৪ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫: ০৯
জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যায় ৪ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল

রংপুরের কাউনিয়ায় সারাই ইউনিয়নের কাচু আলুটারি গ্ৰামে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি খুনের অপরাধে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) চার সদস্যের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড থেকে একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

আজ বুধবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে ইছাহাক আলীকে খালাস দিয়েছেন আদালত। 

রংপুরের কাউনিয়ায় জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে খুনের দায়ে জেএমবির পাঁচ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি) ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষ হয় গত সোমবার। শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন (মঙ্গলবার) ধার্য করা হয়। 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ। তাঁকে সহযোগিতা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ মান্না, জাকির হোসেন মাসুদ ও নির্মল কুমার দাস। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসান উল্লাহ। 

এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর পাঁচ জেএমবির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয়। ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যার দায়ে জেএমবির পাঁচ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—জেএমবির পীরগাছার আঞ্চলিক কমান্ডার উপজেলার পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়ার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী, বগুড়ার গাবতলী এলাকার লিটন মিয়া ওরফে রফিক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মকর রাজমাল্লী এলাকার আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব এবং গাইবান্ধার সাঘাটার হলদিয়ার চর এলাকার সাখাওয়াত হোসেন। এদের মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত বিপ্লব পলাতক রয়েছেন। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় এর আগে খালাস পান পীরগাছার কালীগঞ্জ বাজারের আবু সাঈদ (২৮)। চার্জশিটভুক্ত আট আসামির মধ্যে অন্য দুজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাঁদের মামলার অভিযোগ থেকে বাদ দিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়। জেএমবির ওই আট সদস্যের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী। পরে মামলাটি রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে স্থানান্তরিত হলে ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। মামলায় বাদীপক্ষের ৫৫ জন সাক্ষী এবং আসামিপক্ষের একজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। 

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকালে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি এলাকায় গুলি করে হত্যা করেন নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি সদস্যরা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত