Ajker Patrika

রংপুর নগরে সড়কে নির্মাণসামগ্রী, ভোগান্তি

  • নিয়মবহির্ভূতভাবে সড়ক দখল করে নির্মাণসামগ্রী রাখা হলেও নজরদারি নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
  • সংকীর্ণ সড়কে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন যানের চালক ও যাত্রীদের।
শিপুল ইসলাম, রংপুর 
সড়কজুড়ে অবৈধভাবে ফেলে রাখা হয়েছে বালু। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারীদের। সম্প্রতি রংপুর মহানগরীর মুন্সিপাড়া এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সড়কজুড়ে অবৈধভাবে ফেলে রাখা হয়েছে বালু। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারীদের। সম্প্রতি রংপুর মহানগরীর মুন্সিপাড়া এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুর নগরের বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাত দখল করে ইট, বালু, পাথরসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন যানের চালক ও যাত্রীদের। নিয়মবহির্ভূতভাবে সড়ক দখল করে দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণসামগ্রী রাখা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

গত মঙ্গলবার মুন্সিপাড়া, গোমস্তাপাড়া, কেরানীপাড়া, পালপাড়াসহ নগরের ব্যস্ততম ছয়টি সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে নির্মাণসামগ্রী এলোমেলোভাবে রেখে দেওয়া হয়েছে। কোথাও ইটের স্তূপ, কোথাও আবার বালু কিংবা পাথরের পাহাড় বানিয়ে রাখা হয়েছে ফুটপাত ও সড়কের ওপর। ফলে এসব এলাকায় রাস্তা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

নগরীর মুন্সিপাড়া-কেরানীপাড়া সড়কের মুন্সিপাড়া অংশে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সামনে বালু-পাথর রেখে এক-তৃতীয়াংশ রাস্তা দখল করে রেখেছেন স্থানীয় দলিল লেখক দীপু। সড়ক সংকুচিত হওয়ায় একপাশের গাড়ি পার হওয়ার জন্য অন্য পাশের গাড়িকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।

মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘সড়কের দুই পাশে বালু-পাথর স্তূপ করে রাখা হয়েছে। হেঁটে যাওয়া দুষ্কর হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়ক দখল করে বালু, পাথর, ইট রাখলেও সিটি করপোরেশন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’

কথা হয় প্রাইভেট কারচালক রাশেদ ইসলামের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘শহরে প্রধান রাস্তায় অটোর জন্য যাওয়া কষ্টকর। আর শহরের ভেতরের রাস্তাগুলোতে বালু-পাথর রাখার জায়গা বানানো হয়েছে। এতে ২০ মিনিটের পথ ১ ঘণ্টায়ও যাওয়া যাচ্ছে না।’

জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস ভবনের কেয়ারটেকার জাকির হোসেন বলেন, ‘ভাই বাধা দিলেও কেউ শোনে না। যে যার মতো সড়কে বালু, ইট-পাথর রেখে যায়। অনেক সময় গভীর রাতে এসব সামগ্রী সড়কে রাখার কারণে কেউ দেখে না।’ এ বিষয়ে কথা বলার জন্য দলিল লেখক দীপুর মোবাইল ফোনে কল করা হলেও বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

শহরের জাহাজকোম্পানী থেকে কেরামতিয়া মসজিদ পর্যন্ত সড়কের প্রায় এক-তৃতীয়াংশে বালু ও পাথর রাখা হয়েছে। এ কারণে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

গোমস্তাপাড়ার শিক্ষার্থী জাহানুর ইসলাম বলেন, রংপুর শহরে ফুটপাত দিয়ে হাঁটার কোনো উপায় নেই। সব জায়গায় ইট-বালু রাখা। কোথাও আবার দোকানপাট। এগুলো নিয়ে সিটি করপোরেশনের কোনো মাথাব্যথা নেই।

অটোচালক রায়হান হোসেন বলেন, ‘এমনিতেই রাস্তা ছোট। তার ওপর ইট-পাথর থুইয়া আরও সরু বানাইছে। এগলাত নাগি প্রায় রিকশা উল্টি যায়ছে। হাত-পাও ছিলি যায়ছে। তাও কায়ও দেখেছে না। আর হামরা অল্পে আনা অনিয়ম করলে পুলিশ ফাইন করে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা বলেন, ‘সড়ক দখল করে কোনোভাবেই ইট, পাথর, খোয়া, বালু রাখার নিয়ম নেই। এগুলো দেখভালের জন্য আমাদের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি জনসচেতনতাও দরকার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সারা দেশে আরও ১০ দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

‘আজ বুঝলাম, সময়ের কাছে মানুষ কত অসহায়’—মৃত্যুর আগে স্ট্যাটাস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার

পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার

রামদা হাতে ভাইরাল সেই সাবেক যুবদল নেতাকে গুলি ও পায়ের রগ কেটে হত্যা

জগন্নাথপুরে এসএসসিতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া রাইদা হতে চায় চিকিৎসক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত