Ajker Patrika

পলাশবাড়ীতে ‘অচেনা প্রাণী’ আতঙ্কের মধ্যে চলছে বন্যপ্রাণী নিধন

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২১, ১৯: ৩৮
পলাশবাড়ীতে ‘অচেনা প্রাণী’ আতঙ্কের মধ্যে চলছে বন্যপ্রাণী নিধন

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুরের কয়েকটি গ্রামে ‘অচেনা প্রাণীর’ আতঙ্কে একের পর এক হত্যা করা হচ্ছে শিয়াল ও মেছো বিড়াল। গত কয়েক দিনে অন্তত ১০টি শিয়াল-মেছো বিড়াল হত্যা করেছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, দেড় মাসের বেশি সময় ধরে পলাশবাড়ী উপজেলার ছয়টি গ্রামে অচেনা জন্তুর আক্রমণ শুরু হয়েছে। এ সময় ওই প্রাণীর আক্রমণে ফেরদৌস ইসলাম নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২০ জনের বেশি মানুষ। 

আহতরা বলেন, জন্তুটি দেখতে শিয়ালের মতো। এর মাথা ও লেজ আকারে বড়। ঝোপ-জঙ্গল, ধানের জমি থেকে বেড়িয়ে এসে মানুষ-গবাদিপশুকে আক্রমণ করছে। ফলে দিনের বেলাতেও মানুষ চলাচল করতে ভয় পাচ্ছেন। প্রাণীটির আক্রমণ থেকে বাঁচতে লাঠি হাতে চলাফেরা করছেন গ্রামের মানুষজন। ফলে বনজঙ্গল, ঝোপঝাড়ে কোনো শিয়াল বা মেছো বিড়াল দেখতে পেলে তাঁকে পাগল-হিংস্র মনে করে পিটিয়ে হত্যা করছে স্থানীয়রা। আজ পর্যন্ত অন্তত ১০টি শিয়াল-মোছা বিড়াল হত্যা করা হয়েছে। 

জন্তুটি সম্বন্ধে জানতে গত রোববার বিকেলে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নে তথ্যানুসন্ধানে আসে রাজশাহী বন বিভাগের এক বিশেষজ্ঞ টিম। পরিদর্শন শেষে টিম প্রধান বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, একটা জন্তুর জন্য দশটা নিরপরাধ প্রাণী হত্যা করা যাবে না। কারণ বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী যেকোনো প্রাণী ধরা ও আঘাত করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এমনটা হলে তা পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। যা স্থানীয় পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। 

জাহাঙ্গীর কবীর আরও বলেন, এখানকার প্রকৃত চিত্র উদ্‌ঘাটনের জন্য আসলেও গ্রামের চারপাশে ধানখেত ও জঙ্গল থাকায় অচেনা প্রাণীটিকে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। দিনভর অভিযান চালিয়ে প্রাণীটিকে খোঁজার চেষ্টা করেছি কিন্তু হিংস্র প্রাণী চোখে পড়েনি। ফলে এটা কোন প্রকৃতির প্রাণী সেটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। 
 

বন্যপ্রাণী হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে পলাশবাড়ী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আলতাব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অচেনা প্রাণীর আতঙ্কে শিয়াল-মেছো বিড়াল মেরে ফেলার বিষয়টি নিয়ে আমরা অবগত আছি। বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধে এলাকায় আমাদের কর্মীরা কাজ করছেন। তাঁরা গ্রামবাসীকে সচেতন করছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত