Ajker Patrika

শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার বিচার চাওয়ায় মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, বাবার অভিযোগ

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি 
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাটোরের বড়াইগ্রামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে (৮) ধর্ষণচেষ্টার বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো মামলার আসামি হয়েছেন শিশুটির বাবা। আজ শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার এই অভিযোগ করে। এ সময় শিশুটির বাবা, মা ও মামা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিশুটির মা।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৮ আগস্ট (শুক্রবার) সকাল ১০টার দিকে শিশুটি প্রাইভেট পড়া শেষে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। পথে উপজেলার একটি নির্জন এলাকায় গুলজার হোসেন (৪৮) নামের এক ব্যক্তি শিশুটিকে কোলে তুলে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে গুলজার পালিয়ে যান।

এ ঘটনার পর রাতেই স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সালিস বসিয়ে গুলজারকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেন। অভিযুক্ত গুলজার সেই সমপরিমাণ টাকার একটি চেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে জমা দেন। সেই টাকা বা চেক ভুক্তভোগীরা পাননি। পরে গুলজারের স্ত্রী সাবিনা খাতুন শিশুটির বাবাকে প্রধান আসামি দিয়ে ও আরও ১০ জনের নামে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে শিশুটির বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে এমন জঘন্য ঘটনা ঘটল। আমি স্থানীয় বিচার চাইনি। উল্টো আমাকেই আসামি করা হলো। এখন গুলজার হোসেনের ছেলে, জোনাইল ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নিশানুর রহমান আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। আমি কি আমার মেয়ের ধর্ষণচেষ্টার বিচার পাব না?’

শিশুটির মা বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা থানায় যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু স্থানীয় বিএনপি নেতারা আমাদের বাধা দেন। সালিসে যে চেক দেওয়া হয়েছিল, সেটির টাকা আমরা এখনো পাইনি। তাহলে কেন আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হলো? এটা ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার একটা চেষ্টা।’

এদিকে হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে নিশানুর রহমান বলেন, ‘মেয়েটি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কাদায় পড়ে গিয়েছিল। আমার বাবা তাকে উঠাতে গেলে সে ভয়ে চিৎকার দেয়। এর সুযোগ নিয়ে কিছু লোক আমার বাবার ওপর মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। জোর করে সালিস বসিয়ে আমার বাবার কাছ থেকে দুটি চেক নেওয়া হয়েছে। সেই চেক উদ্ধারের জন্যই আমার মা মামলা করেছেন।’

বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক গোলাম সারোয়ার হোসাইন বলেন, শিশুটির বাবা ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে ও গুলজার হোসেনের স্ত্রী চেক উদ্ধারের জন্য পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা করেছেন। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

এপিএসের বেতন ১ বছরে বেড়েছে ১৮ বছরের সমান

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

পাবনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এএসআই উধাও, থানায় শ্বশুরের জিডি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত