Ajker Patrika

সিঙ্গাপুরে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ, আবেদন ফি মাত্র ৭ হাজার টাকা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ৪২
সিঙ্গাপুরে সহজেই মিলবে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ। ছবি: সংগৃহীত
সিঙ্গাপুরে সহজেই মিলবে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ। ছবি: সংগৃহীত

আধুনিক ও দক্ষ পরিকাঠামোয় উন্নত ও বিশ্বব্যাপী আর্থিক কর্মকাণ্ডের একটি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সিঙ্গাপুর পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয়। সে সঙ্গে বহু বিদেশিও স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য দেশটিকে পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকে রাখেন। স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চাইলে সিঙ্গাপুরে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (পিআর) বা স্থায়ী বসবাসের সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ পেলে সিঙ্গাপুরে কাজ করার ও নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ সুগম হয়।

স্থায়ী বসবাসের জন্য কারা যোগ্য

সিঙ্গাপুর বিদেশি নাগরিকদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয়। যাঁরা এই যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করতে পারেন, তাঁদের আবেদন অনুমোদিত হলে একটি নীল রঙের পরিচয়পত্র (ব্লু আইডি কার্ড) দেওয়া হয়।

যাঁরা সিঙ্গাপুরে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারেন:

সিঙ্গাপুরে পড়াশোনা করতে যাওয়া শিক্ষার্থী এবং সেখানে অন্তত দুই বছর ধরে বসবাস করলে।

সিঙ্গাপুরের নাগরিক বা পিআর হোল্ডারের ২১ বছরের কম বয়সী সন্তান।

সিঙ্গাপুরের কোনো নাগরিক বা পিআর হোল্ডারের সঙ্গে বিবাহিত ব্যক্তি।

সিঙ্গাপুরের কোনো নাগরিক বা পিআর হোল্ডারের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি।

একজন বিদেশি, যিনি কমপক্ষে ১ কোটি সিঙ্গাপুরি ডলার (প্রায় ৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৫৪ হাজার ৭০০ টাকা) বিনিয়োগ করেছেন।

সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন এবং এমপ্লয়মেন্ট পাস (Employment Pass), এস পাস (S Pass) বা অন্যান্য নির্দিষ্ট পাসধারী।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আবেদনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রয়োজন:

পাসপোর্টের বায়োডাটা পেজ ও বৈধ ভ্রমণ নথি।

বৈধ ইমিগ্রেশন পাস এবং এমপ্লয়মেন্ট পাস (যদি প্রযোজ্য হয়)।

প্রত্যেক আবেদনকারীর পাসপোর্ট আকারের ছবি।

জন্মসনদ ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ।

শেষ ছয় মাসের বেতনের স্লিপ।

স্পন্সরের জন্য পরিচয়পত্র।

পূর্ববর্তী নিয়োগকর্তাদের রেফারেন্স লেটার।

যদি প্রযোজ্য হয়, তবে বিবাহ সনদ।

স্বামী বা স্ত্রীর শিক্ষাগত ও কর্মসংক্রান্ত নথি।

ইংরেজি নয়—এমন নথিগুলোর জন্য নোটারি করা অনুবাদ জমা দিতে হবে।

আবেদন করার পদ্ধতি

প্রথম ধাপ: সিঙ্গাপুরের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড চেকপয়েন্টস অথরিটির (ICA) অফিশিয়াল ই-সার্ভিস পোর্টালে [https://www.ica.gov.sg/] যোগ্যতা যাচাই করে নিতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ: সিঙ্গপাসের (Singpass) মাধ্যমে ICA ই-সার্ভিস পোর্টালে লগইন করতে হবে।

তৃতীয় ধাপ: অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে।

চতুর্থ ধাপ: অফেরতযোগ্য ১০০ সিঙ্গাপুরি ডলার (প্রায় ৬,৮৩৪ টাকা) ফি জমা দিতে হবে।

পঞ্চম ধাপ: আবেদন প্রক্রিয়াকরণের জন্য সাধারণত ৪-৬ মাস সময় লাগে। তবে এ সময় কমবেশি হতে পারে।

ষষ্ঠ ধাপ: আবেদন অনুমোদিত হলে পুনরায় প্রবেশ অনুমতি (Re-entry permit), এনআরআইসি (NRIC) আইডি কার্ডসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত