কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফের চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার উপজেলার বড়ভিটা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, বিএনপির কর্মী ও বড়ভিটা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান, খয়বর রহমানের ছেলে মুছা, জয়মত আলীর ছেলে শাহারুল, আবু বক্করের ছেলে মোকসেদুল হক, চন্দ্রখানা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে বাবু আব্দুল জলিল ও জিয়াউর রহমান।
তাঁদের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে, আব্দুল জলিলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান মিন্টু পলাতক থাকায় ইউপির কার্যক্রম প্যানেল চেয়ারম্যানের মাধ্যমে হয়ে আসছিল। এতে আনুকূল্য পেয়ে আসছিল বিএনপির একটি পক্ষ। তারা ভিজিএফের স্লিপও বাগিয়ে নেয়।
এতে অপরপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার বড়ভিটা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই বাদল সরদারের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদে যায়। ইউনিয়ন পরিষদে এ সময় প্যানেল চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মধ্যে ভিজিএফের স্লিপ ভাগাভাগি চলছিল। এ সময় তাঁরা তাঁদের কর্মীদের জন্য ২০০ স্লিপ বরাদ্দের দাবি করেন।
এ নিয়ে বিতণ্ডার একপর্যায়ে ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সদস্যদের বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় ওই পক্ষ। খবর পেয়ে অপর পক্ষের (নজির গ্রুপ) হাফিজুল ইসলামসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা খুলে সেখানে অবস্থান নেয়। এ নিয়ে বাদল সরদার পক্ষের রেজাউল ইসলামের সঙ্গে ওই অবস্থান করা পক্ষের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়।
খবর পেয়ে বর্তমান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নজির হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম কয়েকজন নেতা-কর্মী নিয়ে বড়ভিটা বাজারে এসে রেজাউল ইসলামকে দোকান থেকে তুলে নিয়ে মারধর করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘বড়ভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বাদল সরদার ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও সদস্যদের কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। বিষয়টি জানার পর আমিসহ কয়েকজন বড়ভিটা বাজারে এলে অপরপক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল বলেন বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা দলের প্রতি মানুষের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
মুকুল বলেন, কিছু বিপথগামী নেতা-কর্মীর জন্য এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে উপজেলা কমিটি নেই। জেলা বিএনপির আহ্বায়ককে ঘটনাটি জানানো হয়েছেন। তিনি ঢাকায় আছেন। ঢাকা থেকে এসে বিষয়টির সমাধান করবেন। আপাতত নেতা-কর্মীরা শান্ত আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য বলেন, ভিজিএফ দরিদ্রদের জন্য। তাদের ঈদ উপলক্ষে ১০ কেজি চাল দেওয়া হয়। বিএনপির লোকজন গরিবদের চালে ভাগ বসাতে চাইছে। এখনো ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়নি। দু-এক দিনের মধ্যে চাল বিতরণ করা হবে।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফের চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার উপজেলার বড়ভিটা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, বিএনপির কর্মী ও বড়ভিটা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান, খয়বর রহমানের ছেলে মুছা, জয়মত আলীর ছেলে শাহারুল, আবু বক্করের ছেলে মোকসেদুল হক, চন্দ্রখানা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে বাবু আব্দুল জলিল ও জিয়াউর রহমান।
তাঁদের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে, আব্দুল জলিলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান মিন্টু পলাতক থাকায় ইউপির কার্যক্রম প্যানেল চেয়ারম্যানের মাধ্যমে হয়ে আসছিল। এতে আনুকূল্য পেয়ে আসছিল বিএনপির একটি পক্ষ। তারা ভিজিএফের স্লিপও বাগিয়ে নেয়।
এতে অপরপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার বড়ভিটা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই বাদল সরদারের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদে যায়। ইউনিয়ন পরিষদে এ সময় প্যানেল চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মধ্যে ভিজিএফের স্লিপ ভাগাভাগি চলছিল। এ সময় তাঁরা তাঁদের কর্মীদের জন্য ২০০ স্লিপ বরাদ্দের দাবি করেন।
এ নিয়ে বিতণ্ডার একপর্যায়ে ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সদস্যদের বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় ওই পক্ষ। খবর পেয়ে অপর পক্ষের (নজির গ্রুপ) হাফিজুল ইসলামসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা খুলে সেখানে অবস্থান নেয়। এ নিয়ে বাদল সরদার পক্ষের রেজাউল ইসলামের সঙ্গে ওই অবস্থান করা পক্ষের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়।
খবর পেয়ে বর্তমান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নজির হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম কয়েকজন নেতা-কর্মী নিয়ে বড়ভিটা বাজারে এসে রেজাউল ইসলামকে দোকান থেকে তুলে নিয়ে মারধর করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘বড়ভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বাদল সরদার ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও সদস্যদের কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। বিষয়টি জানার পর আমিসহ কয়েকজন বড়ভিটা বাজারে এলে অপরপক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল বলেন বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা দলের প্রতি মানুষের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
মুকুল বলেন, কিছু বিপথগামী নেতা-কর্মীর জন্য এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে উপজেলা কমিটি নেই। জেলা বিএনপির আহ্বায়ককে ঘটনাটি জানানো হয়েছেন। তিনি ঢাকায় আছেন। ঢাকা থেকে এসে বিষয়টির সমাধান করবেন। আপাতত নেতা-কর্মীরা শান্ত আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য বলেন, ভিজিএফ দরিদ্রদের জন্য। তাদের ঈদ উপলক্ষে ১০ কেজি চাল দেওয়া হয়। বিএনপির লোকজন গরিবদের চালে ভাগ বসাতে চাইছে। এখনো ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়নি। দু-এক দিনের মধ্যে চাল বিতরণ করা হবে।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) শিক্ষক অনিন্দিতা দত্তকে হেনস্তাচেষ্টার ঘটনায় শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। আজ সোমবার অনিন্দিতা নিজেই এ জিডি করেন।
১ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে এমভি বোগদাদীয়া-৮ লঞ্চে এক নবজাতকের জন্ম হয়েছে। গতকাল রোববার সাদিয়া আক্তার নামের এক প্রসূতি এই মেয়েসন্তানের জন্ম দেন।
১ ঘণ্টা আগেএক পা নেই বৃদ্ধ হিসাব উদ্দীনের (৬০)। তারপরও ২ হাজার টাকা বেতনে একটি চাতাল পাহারা এবং ছেলেকে নিয়ে অন্যের জমি বর্গায় চাষাবাদ করে দিন যাচ্ছিল তাঁর। কিন্তু আগুনে নিমেষে ধ্বংস হয়ে গেল তাঁর তিলে তিলে গড়া ঘরবাড়ি। সবকিছু হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে পরিবারটি। ঘটনার বিহ্বলতায় হিসাব উদ্দীনের স্ত্রী মাসুদা বেগম
১ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের চামুছির শিয়ার অদূরে ২ দফা স্থলমাইন বিস্ফোরণে একটি কুকুর ও একটি বন্য শূকর মারা গেছে। আজ সোমবার বিকেলে ও রাতে পৃথক এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে