নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও বগুড়া প্রতিনিধি
বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন রাজশাহী ও বগুড়ার কৃষকেরা। রাজশাহী জেলায় এবার গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। ছাড়িয়ে গেছে আবাদের লক্ষ্যমাত্রাও। জ্যৈষ্ঠ মাসজুড়ে পুরোদমে থাকবে সোনালি ফসল বোরো ধান কাটা-মাড়াই ও ঘরে তোলার ব্যস্ততা। এরই মধ্যে ৩০ শতাংশ জমির ধান ঘরে তুলেছেন কৃষকেরা।
অন্যদিকে বগুড়ায় বোরো আবাদ কমলেও এবার ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষকেরা। সেই খুশির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আশানুরূপ বাজারদর।
হাট-বাজারে নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে। অনেকে চাষের খরচের পাওনা মেটাতে জমি থেকে মাড়াইয়ের পরপরই ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন। বগুড়ার বাজারে নতুন ধান কাঁচা অবস্থায় প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকায়। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন ধানের হাট ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
রাজশাহীর কৃষকেরা বলছেন, রবিশস্য তুলতে দেরি হওয়ায় এবার বোরো আবাদের সময় কিছুটা দেরি হয়েছে। অধিকাংশ চাষি দেরিতে ধান লাগিয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিল গরমের নেতিবাচক প্রভাব। পানির সংকটে রোপণ নিয়ে ছিল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তবে সব উদ্বেগ-অনিশ্চয়তা মাড়িয়ে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। এখন ফসল ঘরে তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানিয়েছেন, এবার প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনেকের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আবার নতুন করে বীজতলা তৈরি করে রোপণ করতে দেরি হয়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টি না হওয়ায় উৎপাদন খরচও বেড়েছে। এ বছর সার ও কীটনাশকের দামও বেশি। উৎপাদন ভালো হলেও লাভ নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ভালো দাম পেলে তাঁরা লাভবান হবেন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত এক দশকে জেলায় বোরো উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। এবার এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৫ হাজার ৮৩৪ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৭১ হাজার ১৭১ টন ধান উৎপাদন হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬৬ হাজার ৭৩২ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৮৯ হাজার ৯৮৮ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬৬ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯৮৩ টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭০ হাজার ১০৮ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬৩ টন।
বগুড়া জেলার শাজাহানপুর ও নন্দীগ্রাম উপজেলার ধানের হাট ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক মাঠ থেকে ধান কাটার পর মাড়াই করে বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে আসছেন। শাজাহানপুর উপজেলার খাদাস গ্রামের কৃষক তোজাম্মেল হোসেন বলেন, সার, বীজ, কীটনাশক ও পানি সেচের টাকা পরিশোধ করার জন্য ধান শুকানোর আগেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
নন্দীগ্রামের রিধইল গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান জানান, তিনি কাটারি জাতের ধান মাড়াইয়ের পরদিনই ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে হাটে বিক্রি করেছেন। ফজলুর রহমান বলেন, প্রতি মণ ১ হাজা ১৫০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ধান শুকাতে পারলে দাম আরও বেশি পাওয়া যাবে।
বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন রাজশাহী ও বগুড়ার কৃষকেরা। রাজশাহী জেলায় এবার গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। ছাড়িয়ে গেছে আবাদের লক্ষ্যমাত্রাও। জ্যৈষ্ঠ মাসজুড়ে পুরোদমে থাকবে সোনালি ফসল বোরো ধান কাটা-মাড়াই ও ঘরে তোলার ব্যস্ততা। এরই মধ্যে ৩০ শতাংশ জমির ধান ঘরে তুলেছেন কৃষকেরা।
অন্যদিকে বগুড়ায় বোরো আবাদ কমলেও এবার ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষকেরা। সেই খুশির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আশানুরূপ বাজারদর।
হাট-বাজারে নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে। অনেকে চাষের খরচের পাওনা মেটাতে জমি থেকে মাড়াইয়ের পরপরই ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন। বগুড়ার বাজারে নতুন ধান কাঁচা অবস্থায় প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকায়। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন ধানের হাট ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
রাজশাহীর কৃষকেরা বলছেন, রবিশস্য তুলতে দেরি হওয়ায় এবার বোরো আবাদের সময় কিছুটা দেরি হয়েছে। অধিকাংশ চাষি দেরিতে ধান লাগিয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিল গরমের নেতিবাচক প্রভাব। পানির সংকটে রোপণ নিয়ে ছিল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তবে সব উদ্বেগ-অনিশ্চয়তা মাড়িয়ে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। এখন ফসল ঘরে তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানিয়েছেন, এবার প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনেকের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আবার নতুন করে বীজতলা তৈরি করে রোপণ করতে দেরি হয়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টি না হওয়ায় উৎপাদন খরচও বেড়েছে। এ বছর সার ও কীটনাশকের দামও বেশি। উৎপাদন ভালো হলেও লাভ নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ভালো দাম পেলে তাঁরা লাভবান হবেন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত এক দশকে জেলায় বোরো উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। এবার এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৫ হাজার ৮৩৪ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৭১ হাজার ১৭১ টন ধান উৎপাদন হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬৬ হাজার ৭৩২ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৮৯ হাজার ৯৮৮ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬৬ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯৮৩ টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭০ হাজার ১০৮ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬৩ টন।
বগুড়া জেলার শাজাহানপুর ও নন্দীগ্রাম উপজেলার ধানের হাট ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক মাঠ থেকে ধান কাটার পর মাড়াই করে বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে আসছেন। শাজাহানপুর উপজেলার খাদাস গ্রামের কৃষক তোজাম্মেল হোসেন বলেন, সার, বীজ, কীটনাশক ও পানি সেচের টাকা পরিশোধ করার জন্য ধান শুকানোর আগেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
নন্দীগ্রামের রিধইল গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান জানান, তিনি কাটারি জাতের ধান মাড়াইয়ের পরদিনই ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে হাটে বিক্রি করেছেন। ফজলুর রহমান বলেন, প্রতি মণ ১ হাজা ১৫০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ধান শুকাতে পারলে দাম আরও বেশি পাওয়া যাবে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৪ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৫ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৬ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৬ ঘণ্টা আগে