Ajker Patrika

এবার অভিযান ১৪৫তম দেশ বুরুন্ডি

প্রতিনিধি, লালপুর (নাটোর)
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২১, ১২: ০৯
এবার অভিযান ১৪৫তম দেশ বুরুন্ডি

বিশ্বভ্রমণ তাঁর স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণে ছুটেছেন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। মহামারি করোনাভাইরাসও তাঁর লক্ষ্যে ছন্দপতন ঘটাতে পারেনি। ব্যাগ গুছিয়ে ঠিকই বেরিয়ে পড়েছেন ১৪৫তম দেশ ভ্রমণে।

ভ্রমণপিপাসু এই নারীর নাম নাজমুন নাহার। বিশ্বভ্রমণে এই সময়ের ইতিহাস সৃষ্টিকারী বাংলাদেশের মেয়ে নাজমুন নাহার। গত শুক্রবার রাতে তিনি সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম থেকে রওনা দিয়েছেন বুরুন্ডির উদ্দেশে। মিশন আফ্রিকার পথে–প্রান্তরে পায়ের ছাপ আঁক।

ভ্রমণপিপাসু নাজমুন নাহার বলেন, `বিশ্বজুড়ে চরম বিপর্যয়ের মধ্যেও নানা ঝামেলা টপকে বুরুন্ডি সফরে বের হয়েছি। আমি হাল ছাড়তে রাজি নই।’ 
বুরুন্ডির প্রকৃতি, সংস্কৃতি, মানুষের জীবনধারার স্পর্শ নিতে মুখিয়ে আছেন বাংলাদেশের এই ভ্রমণকন্যা।

নাজমুন নাহার সবচেয়ে বেশি দেশ ভ্রমণকারী বাংলাদেশি নারী। দুই শতাধিক দেশ ভ্রমণের ইচ্ছে নিয়ে ২০০০ সালে প্রথম বিশ্বভ্রমণে বের হন তিনি।

ইতিমধ্যে ১৪৪টি দেশে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকার প্রতিনিধিত্ব করেছেন নাজমুন নাহার। সর্বশেষ ভ্রমণ করেন মালদ্বীপ। এ সময় নাজমুন নাহারের ১৪৪ দেশ ভ্রমণের বিশ্ব রেকর্ডকে রাষ্ট্রীয় অভিনন্দন জানান মালদ্বীপের পর্যটনমন্ত্রী ড. আবদুল্লাহ মাসুম ।

এই দুঃসাহসিক অভিযাত্রার জন্য তিনি বহু সম্মাননা ও উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পেয়েছেন পিস টর্চ বিয়ারার অ্যাওয়ার্ড, আর্থ কুইন অ্যাওয়ার্ড, জাম্বিয়া থেকে পেয়েছেন ফ্ল্যাগ গার্ল উপাধি, অনন্যা শীর্ষ দশ অ্যাওয়ার্ড, জনটা ইন্টারন্যাশনাল থেকে গেম চেঞ্জার অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড, অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন ভ্রমণপিপাসু নাজমুন নাহার। নাজমুন নাহার ১৯৭৯ সালের ১২ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার গঙ্গাপুরে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ইরান থেকে কয়েক শতাব্দী আগে বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বসতি স্থাপন শুরু করেছিলেন দৌলত গাজী খান। তাঁরই বংশধর নাজমুন নাহার। বাবা মোহাম্মদ আমিন একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। মা তাহেরা আমিন ছিলেন বাবার অতন্দ্র সহযোগী। দাদা আলহাজ ফকীহ আহমদ উল্লাহ তৎকালীন সময়ের একজন ফিকাহ শাস্ত্রবিদ ও ইসলামিক স্কলার ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত