Ajker Patrika

স্কুলছাত্রকে নিয়ে ঘরে খিল দিল কলেজছাত্রী, গভীর রাতে বিয়ে দিল গ্রামবাসী

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি 
Thumbnail image

রাজশাহীর পুঠিয়ায় গভীররাতে গ্রামে সালিস বসিয়ে এক কলেজছাত্রী ও দশম শ্রেণির ছাত্রের বিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনা নিয়ে এখন এলাকায় মুখরোচক আলোচনা চলছে। মেয়েটির দাবি, ছেলেটির সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রেম। আর ছেলের পরিবারের অভিযোগ, কিশোরকে কৌশলে ফাঁদে ফেলে মেয়েটি বিয়ে করতে বাধ্য করেছে।

গত শুক্রবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে পুঠিয়ার বেলপুকুর ইউনিয়নের চক ধাধাস গ্রামে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

ছেলেটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র (১৬)। আর মেয়েটি উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের ভাড়রা গ্রামে বাসিন্দা ও আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থী।

ওই কিশোরের বাবা বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মেয়েটি তাঁদের বাড়ি আসে। সে ছেলের ঘরে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে বলে, ‘আপনার ছেলের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। সে আমার সর্বনাশ করেছে! এখন বিয়ে করছে না। তাই এই বাড়িতে উঠেছি।’ ছেলেটির বাবা বলেন, ‘আমার নাবালক ছেলেকে ফাঁদে ফেলে কৌশলে মেয়েটি বাড়িতে আসে। পরে গ্রামের লোকজনদের দাবির মুখে রাতেই তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।’

মেয়েটির দাবি, প্রায় তিন বছর আগে ছেলেটির সঙ্গে তার খালার বাড়িতে সাক্ষাৎ হয়। সে সময় থেকে নিয়মিত মোবাইল ফোনে কথা হতো। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। বিয়ের কথা বললেই সে কৌশলে এড়ানোর চেষ্টা করে। উপায় না পেয়ে শুক্রবার রাতে ছেলের বাড়িতে চলে আসে। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য লতিফুল রহমান বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে নাকি ওই ছেলের ভালোবাসা আছে। তাই মেয়েটি শুক্রবার রাতে ছেলের বাড়ি চলে আসে। পরে ওই রাতেই গ্রামের লোকজন বসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মোহরানায় তাদের বিয়ে দিয়ে দেয়।’

এ বিষয়ে বেলপুকুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ওই কিশোরের বাড়িতে তরুণীর অবস্থানের বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে কথা বলতে দুই পরিবারের সদস্যদের থানায় আসতে বলা হয়েছে। পরে কী হয়েছে জানা যায়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত