Ajker Patrika

পঞ্চগড়ে সহিংসতায় নিহত জাহিদের পরিবারের নিরাপত্তা হীনতার দাবি 

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে সহিংসতায় নিহত জাহিদের পরিবারের নিরাপত্তা হীনতার দাবি 

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের সময় সংঘর্ষে নিহত জাহিদ হাসানের (২৪) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চকনটাবাড়িতে পৌঁছালে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। 

এদিকে জাহিদের জানা যায়, তাঁর আত্মীয় ছাড়া স্থানীয় কেউ অংশ নেননি। তাঁর বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, তাঁরা নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছেন। প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা জন্য অনুরোধ করেন তিনি। 

জাহিদের বাবা বলেন, ‘২০১৯ সালে আমি, আমার স্ত্রী ও ছেলে জাহিদ ২০২০ সালে আহমদিয়া অনুসারী হই। আমি ও ছেলে জলসায় যাই। সঙ্গে মেহমান হিসেবে আমার ছোট ভাই মহসিন আলীও যায়। আন্দোলন চলাকালে মাঠের এক নম্বর গেটে ইটের আঘাতে জাহিদ পড়ে যায়। তখন বিক্ষুব্ধ লোকেরা চাপাতি দিয়ে ছেলের ঘারে কোপ দেয়। এত ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আমার চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমি প্রশাসনকে নিরাপত্তা দিতে মৌখিকভাবে জানিয়েছি।’ 

এদিকে ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মা। কারর সঙ্গেই কথা বলছেন না তিনি। বড় বোন শাকিলা খাতুন বলেন, ‘জাহিদ বগুড়ায় লেখাপড়া করত। ঠান্ডা ও ভদ্র স্বভাবের ছেলে হিসেবে জানত সবাই। এভাবে নির্মমভাবে হত্যা করায় বিচারের দাবি জানাই।’ 

ফুপাতো ভাই শান্ত হোসেন বলেন, ‘দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে জাহিদ ছোট। বগুড়া টিএমএম থেকে ট্রিপল-ই থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাড়া শেষ করে ঢাকায় একটি কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিল। তার এই হত্যাকাণ্ডে দ্রুত বিচার চাই।’ 

মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলাল বলেন, ইউপির পক্ষ থেকে তাঁদের নিরাপত্তার জন্য গ্রাম্য পুলিশ নিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা যেন আতঙ্কিত হয়ে না পরে। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব আল নুর বলেন, তাঁদের সার্বিকভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। কোনো কিছু হলে আমাদের জানালেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত