গনেশ দাস, বগুড়া
গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম। চাকরি করতেন ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে কার্য সহকারী পদে। সরকারি চাকরির বেতনে তাঁর পোষাচ্ছিল না। তিন বছর পর চাকরি ছেড়ে চলে যান গ্রামে। বাড়িতে তার এখন ৩০টি কোয়েল পাখির খামার এখন বছরে চার কোটি টাকার পাখি, বাচ্চা এবং ডিম কেনা-বেচা করেন তিনি।
শুধু তাই নয় কোয়েল পাখির খামার করে কয়েক বছরে নিজে কোটিপতি হওয়ার পাশাপাশি গ্রামের ৪০ জন বেকারের কর্মসংস্থান করেছেন শহিদুল ইসলাম।
গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা গ্রামের কৃষক দিরাজ প্রামাণিকের দুই সন্তানের মধ্যে ছোট শহিদুল।
সরেজমিনে তাদের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, বসতবাড়ির সাড়ে তিন শতাংশ জায়গা ছাড়া আর কোনো সম্পদ নেই তাদের। ২০০৫ সালে এসএসসি পাসের পর উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়ন করতে থাকতেন শহরের ছাত্রাবাসে। অর্থাভাবে ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনার খরচ চালানো কষ্টকর হয়ে উঠলে খণ্ডকালীন চাকরি করেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এইচএসসি পাসের পর মাসখানেক পোশাক কারখানায় চাকরি করে আবার ফেরেন সেই খণ্ডকালীন চাকরিতে। পাশাপাশি কলেজে ভর্তি হয়ে লেখাপাড়াও চালিয়ে যেতে শুরু করেন।
শহিদুল ইসলাম জানান, ২০১০ সালের শহরের সাতমাথায় কোয়েল পাখির সিদ্ধ ডিম বিক্রি দেখে কোয়েল পাখি পালনের পরিকল্পনা করেন। মাত্র সাড়ে ৩ হাজার টাকায় ১০০ কোয়েল পাখি দিয়ে শুরু করেন খামার। শুরুতে পরিবারের সদস্যরা এ নিয়ে তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতেন।
ইতিহাস বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাস করা শহিদুল ২০১৬ সালে চাকরি পান ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের কার্য সহকারী পদে। কিন্তু চাকরির বেতনে নিজেকে অসচ্ছল মনে হচ্ছিল তাঁর। এ কারণে তিন বছর পর চাকরি ছেড়ে ফিরে আসেন গ্রামে। সেখানে আগের খামারের সংখ্যা বাড়িয়ে ফেলেন। বর্তমানে তাঁর ৩০টি খামারে পাখির সংখ্যা ৭০ হাজার।
শহিদুল জানান, তাঁর খামারে জাপানি জাতের কোয়েল পাখি থেকে ডিম উৎপাদন করেন। ২ টাকা থেকে ৩ টাকা করে মাসে ৬ লাখ পিস ডিম বিক্রি, নিজস্ব ইনকিউবেটরে প্রতি মাসে দেড় লাখ বাচ্চা উৎপাদন, খাবার উপযোগী পাখি বিক্রি করেন প্রতি মাসে ৪৫ হাজার পিস। ২৫ থেকে ৩০ দিনে ২৪ টাকার খাবার খেয়ে একটি পাখি ২২০ থেকে ২৫০ গ্রাম ওজন হয়। খাবার উপযোগী এসব পাখি প্রতি পিচ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়।
৪৫ থেকে ৬০ দিনের একটি পাখি বছরে ৩ শতাধিক ডিম দেয়। ইনকিউবেটরে ১৮ দিনে বাচ্চা ফুটিয়ে তা ৭ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি করেন বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের কাছে। রাজধানী ঢাকাসহ সিলেট চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি পাখি সরবরাহ করে থাকেন।
শহিদুল জানান, দুই বিঘা জমি কিনে সেখানে গড়ে তুলেছেন ছোট বড় ৩০টি কোয়েল পাখির খামার। পাশাপাশি বাড়ি করেছেন খামারের আয় থেকেই।
চাকরির পেছনে না ঘুরে বেকার যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার গড়ে তোলা “মা কোয়েল অ্যান্ড হ্যাচারিতে’’ কমপক্ষে ৪০ জন বেকারের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আরও অনেকেই চুক্তিভিত্তিক কাজ করছেন। অনেকে আবার এখান থেকে কাজ শিখে নিজেই খামার গড়ে তুলেছেন।’
গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম। চাকরি করতেন ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে কার্য সহকারী পদে। সরকারি চাকরির বেতনে তাঁর পোষাচ্ছিল না। তিন বছর পর চাকরি ছেড়ে চলে যান গ্রামে। বাড়িতে তার এখন ৩০টি কোয়েল পাখির খামার এখন বছরে চার কোটি টাকার পাখি, বাচ্চা এবং ডিম কেনা-বেচা করেন তিনি।
শুধু তাই নয় কোয়েল পাখির খামার করে কয়েক বছরে নিজে কোটিপতি হওয়ার পাশাপাশি গ্রামের ৪০ জন বেকারের কর্মসংস্থান করেছেন শহিদুল ইসলাম।
গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা গ্রামের কৃষক দিরাজ প্রামাণিকের দুই সন্তানের মধ্যে ছোট শহিদুল।
সরেজমিনে তাদের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, বসতবাড়ির সাড়ে তিন শতাংশ জায়গা ছাড়া আর কোনো সম্পদ নেই তাদের। ২০০৫ সালে এসএসসি পাসের পর উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়ন করতে থাকতেন শহরের ছাত্রাবাসে। অর্থাভাবে ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনার খরচ চালানো কষ্টকর হয়ে উঠলে খণ্ডকালীন চাকরি করেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এইচএসসি পাসের পর মাসখানেক পোশাক কারখানায় চাকরি করে আবার ফেরেন সেই খণ্ডকালীন চাকরিতে। পাশাপাশি কলেজে ভর্তি হয়ে লেখাপাড়াও চালিয়ে যেতে শুরু করেন।
শহিদুল ইসলাম জানান, ২০১০ সালের শহরের সাতমাথায় কোয়েল পাখির সিদ্ধ ডিম বিক্রি দেখে কোয়েল পাখি পালনের পরিকল্পনা করেন। মাত্র সাড়ে ৩ হাজার টাকায় ১০০ কোয়েল পাখি দিয়ে শুরু করেন খামার। শুরুতে পরিবারের সদস্যরা এ নিয়ে তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতেন।
ইতিহাস বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাস করা শহিদুল ২০১৬ সালে চাকরি পান ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের কার্য সহকারী পদে। কিন্তু চাকরির বেতনে নিজেকে অসচ্ছল মনে হচ্ছিল তাঁর। এ কারণে তিন বছর পর চাকরি ছেড়ে ফিরে আসেন গ্রামে। সেখানে আগের খামারের সংখ্যা বাড়িয়ে ফেলেন। বর্তমানে তাঁর ৩০টি খামারে পাখির সংখ্যা ৭০ হাজার।
শহিদুল জানান, তাঁর খামারে জাপানি জাতের কোয়েল পাখি থেকে ডিম উৎপাদন করেন। ২ টাকা থেকে ৩ টাকা করে মাসে ৬ লাখ পিস ডিম বিক্রি, নিজস্ব ইনকিউবেটরে প্রতি মাসে দেড় লাখ বাচ্চা উৎপাদন, খাবার উপযোগী পাখি বিক্রি করেন প্রতি মাসে ৪৫ হাজার পিস। ২৫ থেকে ৩০ দিনে ২৪ টাকার খাবার খেয়ে একটি পাখি ২২০ থেকে ২৫০ গ্রাম ওজন হয়। খাবার উপযোগী এসব পাখি প্রতি পিচ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়।
৪৫ থেকে ৬০ দিনের একটি পাখি বছরে ৩ শতাধিক ডিম দেয়। ইনকিউবেটরে ১৮ দিনে বাচ্চা ফুটিয়ে তা ৭ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি করেন বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের কাছে। রাজধানী ঢাকাসহ সিলেট চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি পাখি সরবরাহ করে থাকেন।
শহিদুল জানান, দুই বিঘা জমি কিনে সেখানে গড়ে তুলেছেন ছোট বড় ৩০টি কোয়েল পাখির খামার। পাশাপাশি বাড়ি করেছেন খামারের আয় থেকেই।
চাকরির পেছনে না ঘুরে বেকার যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার গড়ে তোলা “মা কোয়েল অ্যান্ড হ্যাচারিতে’’ কমপক্ষে ৪০ জন বেকারের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আরও অনেকেই চুক্তিভিত্তিক কাজ করছেন। অনেকে আবার এখান থেকে কাজ শিখে নিজেই খামার গড়ে তুলেছেন।’
দুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
১৭ মিনিট আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
২ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার বারহাট্টায় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বড় ভাইকে শেষ দেখা দেখলেন বাউসী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আননান। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে নেত্রকোনা কারাগার থেকে পুলিশ আননানকে মৌয়াটি গ্রামে নিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায়
২ ঘণ্টা আগে