হিমেল চাকমা রাঙামাটি
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পরামর্শকদের পরামর্শ উপেক্ষা করে রাঙামাটি শহরে কাপ্তাই হ্রদের পানি সরবরাহ প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এডিবির অর্থায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে একটি হলো পৌর শহরের পাঁচ এলাকায় পাঁচটি ওভারহেড ট্যাংক নির্মাণ। যেগুলোর একেকটির উচ্চতা ১১০ ফুট, যা হবে ১০ তলা ভবনের সমান। এর ওপর বসবে পানির ট্যাংক। ট্যাংকের ব্যাসার্ধ হচ্ছে ৪২ ফুট এবং উচ্চতা ২২ ফুট। যে ট্যাংকের প্রতিটিতে পানি থাকবে ৬ লাখ ৮০ হাজার লিটার। পানিসহ প্রতিটি ট্যাংকের ওজন হবে প্রায় ১০ হাজার টন।
জানা গেছে, রাঙামাটি পৌর শহরে পুরোনো বাসস্টেশন এলাকা, এডিসি হিল, জিমনেসিয়াম, ভেদভেদি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কারখানাসংলগ্ন বিটিসিএল এলাকা, পৌরসভা কার্যালয়সংলগ্ন এলাকায় পাঁচটি ট্যাংক বসানো হবে।
এ ছাড়া বাকি চারটি প্যাকেজ হবে পুরো রাঙামাটি শহরে মাটির নিচের পাইপলাইন স্থাপন। এগুলোর মধ্যে একটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে ওভারহেড ট্যাংক পর্যন্ত পাইপলাইন স্থাপন। বাকি তিনটি প্যাকেজে পৌর শহরে বিভিন্ন এলাকায় পানি সরবরাহ লাইন স্থাপন।
রাঙামাটি জনস্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলমান এ প্রকল্পের কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০২৪ সালে ১৮ আগস্ট। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেডটি অ্যান্ড এসআর এন্টারপ্রাইজ।
জানা গেছে, গুণগত মান নিশ্চিত করা ও কাজের তদারকি করতে এডিবি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়, যার অধীনে দুজন প্রকৌশলী কাজ করছেন।
তাঁদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের কোনো পরামর্শ না নিয়ে নিম্নমানের মালপত্র ব্যবহার, পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার আগে কাজ শুরু করা এবং একক সিদ্ধান্তে কাজ চালিয়ে নিতে ঠিকাদারকে অনুমতি দিচ্ছেন রাঙামাটি জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী। আমাদের কোনো পরামর্শ তিনি গ্রহণ করছেন না। বিষয়টি আমরা ইতিমধ্যে এডিবিসংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে এডিবির টিম লিডার নাজিরুজ্জামান শ্যামল বলেন, ‘কাজ যথাযথভাবে হচ্ছে না। বিষয়টি ফিল্ড থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। কাজ যথাভাবে করতে রাঙামাটিতে নিয়োজিত পরামর্শকেরা বিষয়টি স্থানীয় ম্যানেজার জনস্বাস্থ্যর নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করেছেন। কিন্তু তিনি না করলে আমাদের কিছুই করার থাকে না। কাজটি রাঙামাটিবাসীর। এটা তাঁদেরও দেখা দরকার।’
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পানির ট্যাংক স্থাপনের সার্ভিস পাইলিংয়ের আগে পরীক্ষামূলক লোড টেস্ট পাইল করার কথা প্রকল্পের শিডিউলে উল্লেখ থাকলেও সেটা করা হয়নি মাতৃমঙ্গল এলাকায়। ইতিমধ্যে সার্ভিস পাইলিংয়ের কাজ হয়ে গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাইলিংয়ে সিমেন্ট সিইএম-১ ব্যবহার করার কথা থাকলেও সব ক্ষেত্রে সিইএম-২ সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে।
৯ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে পুরোনো মাতৃমঙ্গলঘেঁষা ওভারহেড ট্যাংকের পাইলিংয়ের কাছে গিয়ে দেখা যায়, একটি মিনি ট্রাক থেকে সিমেন্ট নামানো হচ্ছে। প্রতিটি সিমেন্টের বস্তায় লেখা রয়েছে সিইএম-২। এ সময় রাজমিস্ত্রি এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘৪২টি পাইলিংয়ের কাজ চলছে। প্রতিটি পাইলের গভীরতা ৪০ ফুট। এ পাইলিং কাজে সিইএম-২ সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। ঠিকাদার যে সিমেন্ট দিচ্ছেন, তা-ই ব্যবহার করা হচ্ছে।’
নকশায় সার্ভিস পাইলের আগে লোড টেস্ট (ভার বহনের সক্ষমতা পরীক্ষা) পাইল করার কথা উল্লেখ থাকলেও লোড টেস্ট পাইলের কাজ না করে সরাসরি সার্ভিস পাইলের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে জেডটি অ্যান্ড এসআর এন্টারপ্রাইজের বিপ্লব বলেন, ‘সিইএম-২ ব্যবহার করা হচ্ছে, এটা ঠিক। সিইএম-১ ব্যবহার করলে কংক্রিট দ্রুত শক্ত হয়। প্রকল্পের সব কাজ আমরা জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলীর অনুমতি নিয়ে করছি।’
স্থানীয়রা বলছেন, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও নকশা না মেনে ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণকাজের কারণে বেশি লোড সম্পন্ন ওভারহেড ট্যাংক এলাকার উপকারের পরিবর্তে ধসে পড়ে বড় ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন সরু এলাকায় মাটি কেটে পাইপ স্থাপন ও মাটির নিচে মেশিন দিয়ে পাইপ স্থাপনে সড়কের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
রাঙামাটি সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বাঞ্চিতা চাকমা বলেন, ‘এত বড় একটি স্থাপনা তৈরি হচ্ছে, নির্মাণ ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় কে নেবে? বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ যদি এডিবির পরামর্শ গ্রহণ না করে তাহলে এডিবির ভূমিকা কী হতে পারে, তা জানা দরকার।’
গণপূর্ত বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলীতে কর্মরত শর্মি চাকমা বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং লোড টেস্ট হলো কোনো কাঠামো লোড বহন করার কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া। এটি সাধারণত একটি কাঠামোর নকশা সঠিক কি না এবং এটি নিরাপদে লোড নিতে পারবে কি না, তা যাচাই করার জন্য করা হয়। নকশায় লোড টেস্ট উল্লেখ থাকলে সেটা অবশ্যই করতে হবে। যদি করা না হয় তাহলে নির্মাণে ত্রুটি থেকে যাবে।’
রাঙামাটি জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী পরাগ বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিইএম-২ সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে, তা ঠিক। পাহাড়ের বাস্তবতা আর সময়মতো সিইএম-১ সিমেন্ট না পাওয়ার কারণে এটি দেওয়া হচ্ছে। এতে কোনো সমস্যা হবে না। এ ছাড়া লোড টেস্ট করা হয়নি, তা ঠিক নয়। সার্ভিস পাইল হচ্ছে। ঠিকাদারকে বলে দিয়েছি, এখান থেকে যেকোনো একটি পাইল লোড টেস্ট করা হবে। এটি বলায় ঠিকাদার প্রতিটি পাইল যত্নসহকারে করছেন।’
রাঙামাটির সিভিল সার্জন নুয়েন খীসা বলেন, ‘কাপ্তাই হ্রদের পানি যে পরিমাণ দূষিত, তা সহজে অনুমেয়। একদিকে এ পানি বদ্ধ অবস্থায় থাকে, অন্যদিকে এখানে রাঙামাটি শহরের সব ধরনের ময়লা ফেলা হচ্ছে। ফলে এ পানির মান খুব খারাপ পর্যায়ে। বর্তমান সময়ে এসেও আমরা দেখি, বছরের নতুন বৃষ্টি হলে হ্রদের পানি যখন ঘোলা হয়। সেই ঘোলা পানি আমাদের বাসাবাড়িতে সরবরাহ করা হয়। এ যুগে এ পানি সহজে পরিষ্কার করা যায়; কিন্তু আমরা তা দেখি না।’
নুয়েন খীসা আরও বলেন, ‘আমরা সহজে বলতে পারি, এই পানি পান করা দূরের কথা, ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি। ভবিষ্যতে নতুন প্রকল্প নিয়ে এই পানি সরবরাহ করতে গেলে আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে বিশুদ্ধ করতে হবে। না হলে এই পানি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। পানির এই ত্রুটিযুক্ত বিশুদ্ধকরণ নিয়ে কোনো আপস করা ঠিক হবে না।’
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পরামর্শকদের পরামর্শ উপেক্ষা করে রাঙামাটি শহরে কাপ্তাই হ্রদের পানি সরবরাহ প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এডিবির অর্থায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে একটি হলো পৌর শহরের পাঁচ এলাকায় পাঁচটি ওভারহেড ট্যাংক নির্মাণ। যেগুলোর একেকটির উচ্চতা ১১০ ফুট, যা হবে ১০ তলা ভবনের সমান। এর ওপর বসবে পানির ট্যাংক। ট্যাংকের ব্যাসার্ধ হচ্ছে ৪২ ফুট এবং উচ্চতা ২২ ফুট। যে ট্যাংকের প্রতিটিতে পানি থাকবে ৬ লাখ ৮০ হাজার লিটার। পানিসহ প্রতিটি ট্যাংকের ওজন হবে প্রায় ১০ হাজার টন।
জানা গেছে, রাঙামাটি পৌর শহরে পুরোনো বাসস্টেশন এলাকা, এডিসি হিল, জিমনেসিয়াম, ভেদভেদি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কারখানাসংলগ্ন বিটিসিএল এলাকা, পৌরসভা কার্যালয়সংলগ্ন এলাকায় পাঁচটি ট্যাংক বসানো হবে।
এ ছাড়া বাকি চারটি প্যাকেজ হবে পুরো রাঙামাটি শহরে মাটির নিচের পাইপলাইন স্থাপন। এগুলোর মধ্যে একটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে ওভারহেড ট্যাংক পর্যন্ত পাইপলাইন স্থাপন। বাকি তিনটি প্যাকেজে পৌর শহরে বিভিন্ন এলাকায় পানি সরবরাহ লাইন স্থাপন।
রাঙামাটি জনস্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলমান এ প্রকল্পের কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০২৪ সালে ১৮ আগস্ট। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেডটি অ্যান্ড এসআর এন্টারপ্রাইজ।
জানা গেছে, গুণগত মান নিশ্চিত করা ও কাজের তদারকি করতে এডিবি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়, যার অধীনে দুজন প্রকৌশলী কাজ করছেন।
তাঁদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের কোনো পরামর্শ না নিয়ে নিম্নমানের মালপত্র ব্যবহার, পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার আগে কাজ শুরু করা এবং একক সিদ্ধান্তে কাজ চালিয়ে নিতে ঠিকাদারকে অনুমতি দিচ্ছেন রাঙামাটি জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী। আমাদের কোনো পরামর্শ তিনি গ্রহণ করছেন না। বিষয়টি আমরা ইতিমধ্যে এডিবিসংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে এডিবির টিম লিডার নাজিরুজ্জামান শ্যামল বলেন, ‘কাজ যথাযথভাবে হচ্ছে না। বিষয়টি ফিল্ড থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। কাজ যথাভাবে করতে রাঙামাটিতে নিয়োজিত পরামর্শকেরা বিষয়টি স্থানীয় ম্যানেজার জনস্বাস্থ্যর নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করেছেন। কিন্তু তিনি না করলে আমাদের কিছুই করার থাকে না। কাজটি রাঙামাটিবাসীর। এটা তাঁদেরও দেখা দরকার।’
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পানির ট্যাংক স্থাপনের সার্ভিস পাইলিংয়ের আগে পরীক্ষামূলক লোড টেস্ট পাইল করার কথা প্রকল্পের শিডিউলে উল্লেখ থাকলেও সেটা করা হয়নি মাতৃমঙ্গল এলাকায়। ইতিমধ্যে সার্ভিস পাইলিংয়ের কাজ হয়ে গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাইলিংয়ে সিমেন্ট সিইএম-১ ব্যবহার করার কথা থাকলেও সব ক্ষেত্রে সিইএম-২ সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে।
৯ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে পুরোনো মাতৃমঙ্গলঘেঁষা ওভারহেড ট্যাংকের পাইলিংয়ের কাছে গিয়ে দেখা যায়, একটি মিনি ট্রাক থেকে সিমেন্ট নামানো হচ্ছে। প্রতিটি সিমেন্টের বস্তায় লেখা রয়েছে সিইএম-২। এ সময় রাজমিস্ত্রি এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘৪২টি পাইলিংয়ের কাজ চলছে। প্রতিটি পাইলের গভীরতা ৪০ ফুট। এ পাইলিং কাজে সিইএম-২ সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। ঠিকাদার যে সিমেন্ট দিচ্ছেন, তা-ই ব্যবহার করা হচ্ছে।’
নকশায় সার্ভিস পাইলের আগে লোড টেস্ট (ভার বহনের সক্ষমতা পরীক্ষা) পাইল করার কথা উল্লেখ থাকলেও লোড টেস্ট পাইলের কাজ না করে সরাসরি সার্ভিস পাইলের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে জেডটি অ্যান্ড এসআর এন্টারপ্রাইজের বিপ্লব বলেন, ‘সিইএম-২ ব্যবহার করা হচ্ছে, এটা ঠিক। সিইএম-১ ব্যবহার করলে কংক্রিট দ্রুত শক্ত হয়। প্রকল্পের সব কাজ আমরা জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলীর অনুমতি নিয়ে করছি।’
স্থানীয়রা বলছেন, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও নকশা না মেনে ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণকাজের কারণে বেশি লোড সম্পন্ন ওভারহেড ট্যাংক এলাকার উপকারের পরিবর্তে ধসে পড়ে বড় ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন সরু এলাকায় মাটি কেটে পাইপ স্থাপন ও মাটির নিচে মেশিন দিয়ে পাইপ স্থাপনে সড়কের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
রাঙামাটি সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বাঞ্চিতা চাকমা বলেন, ‘এত বড় একটি স্থাপনা তৈরি হচ্ছে, নির্মাণ ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় কে নেবে? বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ যদি এডিবির পরামর্শ গ্রহণ না করে তাহলে এডিবির ভূমিকা কী হতে পারে, তা জানা দরকার।’
গণপূর্ত বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলীতে কর্মরত শর্মি চাকমা বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং লোড টেস্ট হলো কোনো কাঠামো লোড বহন করার কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া। এটি সাধারণত একটি কাঠামোর নকশা সঠিক কি না এবং এটি নিরাপদে লোড নিতে পারবে কি না, তা যাচাই করার জন্য করা হয়। নকশায় লোড টেস্ট উল্লেখ থাকলে সেটা অবশ্যই করতে হবে। যদি করা না হয় তাহলে নির্মাণে ত্রুটি থেকে যাবে।’
রাঙামাটি জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী পরাগ বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিইএম-২ সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে, তা ঠিক। পাহাড়ের বাস্তবতা আর সময়মতো সিইএম-১ সিমেন্ট না পাওয়ার কারণে এটি দেওয়া হচ্ছে। এতে কোনো সমস্যা হবে না। এ ছাড়া লোড টেস্ট করা হয়নি, তা ঠিক নয়। সার্ভিস পাইল হচ্ছে। ঠিকাদারকে বলে দিয়েছি, এখান থেকে যেকোনো একটি পাইল লোড টেস্ট করা হবে। এটি বলায় ঠিকাদার প্রতিটি পাইল যত্নসহকারে করছেন।’
রাঙামাটির সিভিল সার্জন নুয়েন খীসা বলেন, ‘কাপ্তাই হ্রদের পানি যে পরিমাণ দূষিত, তা সহজে অনুমেয়। একদিকে এ পানি বদ্ধ অবস্থায় থাকে, অন্যদিকে এখানে রাঙামাটি শহরের সব ধরনের ময়লা ফেলা হচ্ছে। ফলে এ পানির মান খুব খারাপ পর্যায়ে। বর্তমান সময়ে এসেও আমরা দেখি, বছরের নতুন বৃষ্টি হলে হ্রদের পানি যখন ঘোলা হয়। সেই ঘোলা পানি আমাদের বাসাবাড়িতে সরবরাহ করা হয়। এ যুগে এ পানি সহজে পরিষ্কার করা যায়; কিন্তু আমরা তা দেখি না।’
নুয়েন খীসা আরও বলেন, ‘আমরা সহজে বলতে পারি, এই পানি পান করা দূরের কথা, ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি। ভবিষ্যতে নতুন প্রকল্প নিয়ে এই পানি সরবরাহ করতে গেলে আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে বিশুদ্ধ করতে হবে। না হলে এই পানি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। পানির এই ত্রুটিযুক্ত বিশুদ্ধকরণ নিয়ে কোনো আপস করা ঠিক হবে না।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকার ৮৮৭.৫০ গ্রাম স্বর্ণসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সালেহ ফয়সাল (২৭), মনিরুল ইসলাম (৩৪) ও মাসুম রানা (৩২)।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারে অভিযান চালিয়ে দুটি অবৈধ পলিথিন কারখানাকে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ১৪ হাজার ১৭৯ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ও কাঁচামাল জব্দ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মহাখালী রাওয়া ক্লাবের বিপরীতে ইউরেকা ফিলিং স্টেশনে থাকা তেলবাহী ট্যাংকারে আগুন লেগেছিল। আজ রোববার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ৪৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১৮ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
৩ ঘণ্টা আগেচাঁদপুরের মেঘনা নদীতে এমভি ওয়েস্টিন-১ লাইটার নামে একটি জাহাজ থেকে অপরিশোধিত চিনি চুরির চেষ্টার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জাহাজের স্টাফদের অচেতন করে ১৩ কোটি ২০ লাখ টাকার চিনি চুরির চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে নৌ পুলিশ চাঁদ
৩ ঘণ্টা আগে