মিজান মাহী, দুর্গাপুর (রাজশাহী)
পাঁচটি গ্রাম ঘেঁষে সরকারি জলাশয় ডাহার বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। এ ছাড়া দেশীয় মাছ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাত এসব গ্রামের মানুষ। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকার শালঘরিয়াসহ পাঁচ গ্রামের ৬২ বিঘা খাস জলাশয় ডাহার বিল দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, আফজাল হোসেন, মারফত আলী, তৈয়ব আলী, রেন্টুসহ স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে বিল দখলে নিয়েছেন। বিলের পাশেই গড়ে তুলেছেন টিনের ঘর। ফলে সরকারি জলাশয় ডাহার বিলে মাছ ধরতে পারছেন না জেলে ও স্থানীয় লোকজন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে ৩ নভেম্বর বিল দখলমুক্ত করার দাবিতে উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পাঁচ গ্রামের শতাধিক জেলে ও স্থানীয় কৃষকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডাহার বিলে খাসজমি রয়েছে প্রায় ৬২ বিঘা। ওই এলাকার অসহায় কৃষকদের নিজস্ব কোনো পুকুর না থাকায় ওই জলাশয় থেকে মাছ ধরে তাঁরা আমিষের চাহিদা পূরণ করেন। বর্তমানে ওই সরকারি জলাশয় লিজ না নিয়ে অবৈধভাবে দখল করেছেন অভিযুক্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। কৃষকেরা সেখানে মাছ ধরতে গেলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। তাই কৃষকদের দাবি, জলাশয়টি যেন আগের মতো সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
স্থানীয় কৃষক ও জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, যেকোনো সময় ডাহার বিলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হতে পারে। কারণ, গত ৫ আগস্টের আগে সবাই সরকারি এই বিলে মাছ ধরত। কিন্তু ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আফজাল হোসেন, মারফত আলী, তৈয়ব আলী ও রেন্টু নামের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি জোরপূর্বক বিল দখলে নিয়েছেন। বিলের মধ্যে তুলেছেন ঘর। দেশীয় অস্ত্র হাঁসুয়া ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বিল পাহারা দেন তাঁরা। কেউ মাছ ধরতে গেলে শুরু হয় তার ওপর নির্যাতন। তবে এর আগে জলাশয়টি লিজ দেওয়া হলেও গ্রামবাসী মাছ ধরতে পারতেন। এ নিয়ে ডাহার বিলঘেঁষা পাঁচ গ্রামের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের কামারুজ্জামান আলেক বলেন, ‘বাপদাদার আমল থেকে ওই জলাশয়ে মাছ শিকার করি। সম্প্রতি সেখানে মাছ ধরতে গেলে মারফত, আফজালসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাকে বাধা দেন। মানসম্মানের ভয়ে সেখান থেকে চলে আসি।’
আব্দুল জলিল নামের এক জেলে বলেন, ‘সরকারি উন্মুক্ত জলাশয়ে এখন মাছ ধরতে পারছি না। অথচ ৫০ বছর ধরে আমরা এই বিলে মাছ ধরে সংসার চালাই। হঠাৎ করে কয়েকজন নিজের স্বার্থে বিলটি দখলে নিয়েছেন। ওই বিলে মাছ ধরতে গেলে অভিযুক্তরা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু সমাধান চাই।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আফজাল হোসেন ও মারফত আলীর নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁরা কল ধরেননি।
জানতে চাইলে দুর্গাপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, জলাশয়টি ছয় বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছে কিসমত হোজা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে। বর্তমানে অন্য কেউ দখলের চেষ্টা করলে তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন বলেন, ‘গ্রামবাসীর অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাঁচটি গ্রাম ঘেঁষে সরকারি জলাশয় ডাহার বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। এ ছাড়া দেশীয় মাছ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাত এসব গ্রামের মানুষ। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকার শালঘরিয়াসহ পাঁচ গ্রামের ৬২ বিঘা খাস জলাশয় ডাহার বিল দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, আফজাল হোসেন, মারফত আলী, তৈয়ব আলী, রেন্টুসহ স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে বিল দখলে নিয়েছেন। বিলের পাশেই গড়ে তুলেছেন টিনের ঘর। ফলে সরকারি জলাশয় ডাহার বিলে মাছ ধরতে পারছেন না জেলে ও স্থানীয় লোকজন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে ৩ নভেম্বর বিল দখলমুক্ত করার দাবিতে উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পাঁচ গ্রামের শতাধিক জেলে ও স্থানীয় কৃষকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডাহার বিলে খাসজমি রয়েছে প্রায় ৬২ বিঘা। ওই এলাকার অসহায় কৃষকদের নিজস্ব কোনো পুকুর না থাকায় ওই জলাশয় থেকে মাছ ধরে তাঁরা আমিষের চাহিদা পূরণ করেন। বর্তমানে ওই সরকারি জলাশয় লিজ না নিয়ে অবৈধভাবে দখল করেছেন অভিযুক্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। কৃষকেরা সেখানে মাছ ধরতে গেলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। তাই কৃষকদের দাবি, জলাশয়টি যেন আগের মতো সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
স্থানীয় কৃষক ও জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, যেকোনো সময় ডাহার বিলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হতে পারে। কারণ, গত ৫ আগস্টের আগে সবাই সরকারি এই বিলে মাছ ধরত। কিন্তু ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আফজাল হোসেন, মারফত আলী, তৈয়ব আলী ও রেন্টু নামের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি জোরপূর্বক বিল দখলে নিয়েছেন। বিলের মধ্যে তুলেছেন ঘর। দেশীয় অস্ত্র হাঁসুয়া ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বিল পাহারা দেন তাঁরা। কেউ মাছ ধরতে গেলে শুরু হয় তার ওপর নির্যাতন। তবে এর আগে জলাশয়টি লিজ দেওয়া হলেও গ্রামবাসী মাছ ধরতে পারতেন। এ নিয়ে ডাহার বিলঘেঁষা পাঁচ গ্রামের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের কামারুজ্জামান আলেক বলেন, ‘বাপদাদার আমল থেকে ওই জলাশয়ে মাছ শিকার করি। সম্প্রতি সেখানে মাছ ধরতে গেলে মারফত, আফজালসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাকে বাধা দেন। মানসম্মানের ভয়ে সেখান থেকে চলে আসি।’
আব্দুল জলিল নামের এক জেলে বলেন, ‘সরকারি উন্মুক্ত জলাশয়ে এখন মাছ ধরতে পারছি না। অথচ ৫০ বছর ধরে আমরা এই বিলে মাছ ধরে সংসার চালাই। হঠাৎ করে কয়েকজন নিজের স্বার্থে বিলটি দখলে নিয়েছেন। ওই বিলে মাছ ধরতে গেলে অভিযুক্তরা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু সমাধান চাই।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আফজাল হোসেন ও মারফত আলীর নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁরা কল ধরেননি।
জানতে চাইলে দুর্গাপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, জলাশয়টি ছয় বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছে কিসমত হোজা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে। বর্তমানে অন্য কেউ দখলের চেষ্টা করলে তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন বলেন, ‘গ্রামবাসীর অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বগুড়ায় আদালতে সঠিক সাক্ষ্য না দেওয়া, সাক্ষ্য দিতে হাজির না হওয়া এবং সরকারি আইন কর্মকর্তাদের দুর্বলতার কারণে গত এক বছরে ৬ শতাধিক মাদক মামলায় প্রায় ১ হাজার আসামি খালাস পেয়েছেন। এর মধ্যে ২২টি মামলায় ৪৪ জন পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির হননি। এ কারণে ৪৪ পুলিশ কর্মকর্তার ...
৩ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের দুলাল হোসেন পেশায় রংমিস্ত্রি। কাজের সন্ধানে তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। জুটেছিল কাজও। তবে গত বছরের জুলাই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন তিনি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন রাজধানীর উত্তরায় মিছিলে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এখন ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটেন। তবে যে স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা এসেছিলেন, তা এখন ফিকে...
৩ ঘণ্টা আগে২০২০ সালে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন আবুল বাশার সুজন। এর আগে ছিলেন পশুর হাটের ইজারাদার। অল্প সময়ের মধ্যেই ফারুকের ডান হাত হন। কিছুদিন পর তানোর পৌরসভার মেয়র হওয়ারও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন সুজন। সেখানে বাড়ি করেন...
৩ ঘণ্টা আগেদরিদ্র পরিবারের সন্তান নুর আলী (৪৭)। করতেন রাজমিস্ত্রির কাজ। জমিজমা তেমন ছিল না, বাবাও ছিলেন দিনমজুর। বাড়ি বলতে ছিল আধা পাকা টিনের ঘর। অথচ ১০ বছরের ব্যবধানে সেই ব্যক্তি কোটিপতি বনে গেছেন। শুধু তা-ই নয়। আধা পাকা টিনের ঘরের জায়গায় এখন বিশাল তিনতলা আলিশান বাড়ি। যার মূল্য কোটি টাকা।
৩ ঘণ্টা আগে