মিজান মাহী, দুর্গাপুর (রাজশাহী)
দুই দিনের ব্যবধানে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দুই বোন মারিশা ও মাশিয়ার মৃত্যু হয়েছে। দুই শিশুর এমন হঠাৎ মৃত্যুতে তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। একই সঙ্গে শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে চুনিয়াপাড়া গ্রাম।
একদিকে মারিশার মৃত্যুর পর মাশিয়ার কথাগুলো স্মরণ করে ডুকরে কাঁদছিলেন তাঁদের চাচা। অন্যদিকে কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি যেন শুকিয়ে গেছে দাদি আনজুয়ারা বেগমের। এর মধ্যেই বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দাদা আমির আলী।
প্রতিবেশীরাও এমন অকাল মৃত্যু কোনোভাবে মানতে পারছেন না। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেল এমন চিত্র।
মারিশা ও মাশিয়ার বাবা মনজুর রহমান (৩৫) ও মা পলি খাতুন (৩০) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে আইসোলেশনে ভর্তি আছেন। মনজুর রহমান রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। তাঁদের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে। তবে তাঁরা রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারেই থাকতেন।
মারিশা ও মাশিয়ার চাচা মুনছুর রহমান বলেন, গত বুধবার মারিশা মারা যাওয়ার পর সবাই বাড়িতে এসেছিলেন। মারিশার গোসল ও দাফন কাজ চলছিল। তখনো মাশিয়া সুস্থ সবল দৌড়ে ঘুরে বেড়াল। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে মাসিয়াও মারা গেল।
মারিশা ও মাসিয়ার বাড়ির সামনে নীরবে বসে ছিলেন প্রতিবেশী হারেজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এটা আজব মরা বাপু। এক সাওয়ালের লাশ মাটি দিয়ে এক দিন এক রাত পর শুনতেছি আরেক সাওয়ালও মরছে।’ এ বলেই কাঁদতে শুরু করেন হারেজ।
শিশু মারিশা ও মাশিয়ার বাড়িতে ভিড় করছেন গ্রামবাসী ও আত্মীয়স্বজনেরা। বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেল উঠানে বসা শিশুদের দাদি আনজুয়ারা বেগমকে। গত তিন দিন ধরে দুই নাতি হারানোর শোকে পাথর হয়ে গেছেন। কাঁদতে কাঁদতে এখন চোখে জলও নেই। ঘরে মধ্যে অসুস্থ হয়ে শুয়ে আছেন দুই শিশুর দাদা আমির আলী।
এ সময় কথা হয় মারিশা ও মাশিয়ার দাদি আনজুয়ারা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ছেলে চারঘাট উপজেলায় ক্যাডেট কলেজ চাকরি করে। প্রায় সপ্তাহখানেক আগে আমি ছেলের কাছে গিয়েছিলাম নাতিদের দেখতে। গত বুধবার সকালের দিকে নাতি মারিশার জ্বর আসে। বারবার পানি খাচ্ছিল। দুপুরের পর শুরু হয় বমি। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই আমার কোলেই তার মৃত্যু হয়।’
আনজুয়ারা বেগম আরও বলেন, ‘পরে আমরা সবাই বাড়িতে চলে আসি। তখনো ভালো ছিল বড় নাতি মাশিয়া। শুক্রবার সকাল থেকে মাশিয়ারও জ্বর ও বমি শুরু হয়। এ সময় দেরি না করে রাজশাহী সিএমএইচে নেওয়া হয়। কিন্তু সিএমএইচের চিকিৎসকেরা মাশিয়াকে রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। রাত ৯টায় তাকে রামেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে দ্রুত আইসিইউতে ভর্তি নেন। শনিবার বিকেলে মাশিয়াও মারা যায়।’
এদিকে গতকাল শনিবার রামেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানিয়ে ছিলেন, দুই মেয়ে বরই খেয়েছিল। তিনি বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, বরইগুলো ধুয়ে দেওয়া হয়েছিল কি না। তাদের বাবা বলেছেন, গৃহকর্মী গাছতলা থেকে কুড়িয়ে এনে দিয়েছিল, ধোয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এটা নিপাহ ভাইরাস হতে পারে, আবার অন্য কোনো ভাইরাস হতে পারে। তাই নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
দুই দিনের ব্যবধানে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দুই বোন মারিশা ও মাশিয়ার মৃত্যু হয়েছে। দুই শিশুর এমন হঠাৎ মৃত্যুতে তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। একই সঙ্গে শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে চুনিয়াপাড়া গ্রাম।
একদিকে মারিশার মৃত্যুর পর মাশিয়ার কথাগুলো স্মরণ করে ডুকরে কাঁদছিলেন তাঁদের চাচা। অন্যদিকে কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি যেন শুকিয়ে গেছে দাদি আনজুয়ারা বেগমের। এর মধ্যেই বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দাদা আমির আলী।
প্রতিবেশীরাও এমন অকাল মৃত্যু কোনোভাবে মানতে পারছেন না। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেল এমন চিত্র।
মারিশা ও মাশিয়ার বাবা মনজুর রহমান (৩৫) ও মা পলি খাতুন (৩০) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে আইসোলেশনে ভর্তি আছেন। মনজুর রহমান রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। তাঁদের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে। তবে তাঁরা রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারেই থাকতেন।
মারিশা ও মাশিয়ার চাচা মুনছুর রহমান বলেন, গত বুধবার মারিশা মারা যাওয়ার পর সবাই বাড়িতে এসেছিলেন। মারিশার গোসল ও দাফন কাজ চলছিল। তখনো মাশিয়া সুস্থ সবল দৌড়ে ঘুরে বেড়াল। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে মাসিয়াও মারা গেল।
মারিশা ও মাসিয়ার বাড়ির সামনে নীরবে বসে ছিলেন প্রতিবেশী হারেজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এটা আজব মরা বাপু। এক সাওয়ালের লাশ মাটি দিয়ে এক দিন এক রাত পর শুনতেছি আরেক সাওয়ালও মরছে।’ এ বলেই কাঁদতে শুরু করেন হারেজ।
শিশু মারিশা ও মাশিয়ার বাড়িতে ভিড় করছেন গ্রামবাসী ও আত্মীয়স্বজনেরা। বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেল উঠানে বসা শিশুদের দাদি আনজুয়ারা বেগমকে। গত তিন দিন ধরে দুই নাতি হারানোর শোকে পাথর হয়ে গেছেন। কাঁদতে কাঁদতে এখন চোখে জলও নেই। ঘরে মধ্যে অসুস্থ হয়ে শুয়ে আছেন দুই শিশুর দাদা আমির আলী।
এ সময় কথা হয় মারিশা ও মাশিয়ার দাদি আনজুয়ারা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ছেলে চারঘাট উপজেলায় ক্যাডেট কলেজ চাকরি করে। প্রায় সপ্তাহখানেক আগে আমি ছেলের কাছে গিয়েছিলাম নাতিদের দেখতে। গত বুধবার সকালের দিকে নাতি মারিশার জ্বর আসে। বারবার পানি খাচ্ছিল। দুপুরের পর শুরু হয় বমি। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই আমার কোলেই তার মৃত্যু হয়।’
আনজুয়ারা বেগম আরও বলেন, ‘পরে আমরা সবাই বাড়িতে চলে আসি। তখনো ভালো ছিল বড় নাতি মাশিয়া। শুক্রবার সকাল থেকে মাশিয়ারও জ্বর ও বমি শুরু হয়। এ সময় দেরি না করে রাজশাহী সিএমএইচে নেওয়া হয়। কিন্তু সিএমএইচের চিকিৎসকেরা মাশিয়াকে রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। রাত ৯টায় তাকে রামেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে দ্রুত আইসিইউতে ভর্তি নেন। শনিবার বিকেলে মাশিয়াও মারা যায়।’
এদিকে গতকাল শনিবার রামেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানিয়ে ছিলেন, দুই মেয়ে বরই খেয়েছিল। তিনি বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, বরইগুলো ধুয়ে দেওয়া হয়েছিল কি না। তাদের বাবা বলেছেন, গৃহকর্মী গাছতলা থেকে কুড়িয়ে এনে দিয়েছিল, ধোয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এটা নিপাহ ভাইরাস হতে পারে, আবার অন্য কোনো ভাইরাস হতে পারে। তাই নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে যাওয়ার রাস্তাটিতে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় চরম জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। এতে করে
১ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাস্তি পাচ্ছেন নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গত বছরের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত এসব হামলার তদন্তে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সুপারিশ করা ১০২ জনের শাস
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহে নির্মিত হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত হাই-টেক পার্ক। তবে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের জেরে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থমকে যায় প্রকল্পের কাজ। সাত মাস বন্ধ থাকার পর এখন ধীরগতিতে চলছে পার্কটির নির্মাণ। ইতিমধ্যে এক দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর পর আরেক দফা বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। তবে পুরোদমে কাজ শুরু করা না
১ ঘণ্টা আগেএকপশলা বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় বেনাপোল স্থলবন্দরে। টানা বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। পণ্যাগারে পানি ঢুকে নষ্ট হয় শত শত কোটি টাকার আমদানি পণ্য। ক্ষতির মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা, ভোগান্তি বাড়ে শ্রমিকদের।
১ ঘণ্টা আগে