নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে হাসপাতালের প্রায় ৬ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১ কোটি টাকার ওষুধপত্র কেনার কোনো ভাউচারই পাওয়া যায়নি। বাকি ৫ কোটি টাকার বিভিন্ন সামগ্রী কেনার জন্য ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করা হলেও বাস্তবে মালামাল পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের সাম্প্রতিক এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে অনিয়মের এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিম রেলের তৎকালীন প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (সিএমও), প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সিওএস) এবং ঠিকাদার মিলে এই টাকা লুটপাট করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি রেলের অভ্যন্তরীণ তদন্তেও উঠে এসেছে। এ জন্য তৎকালীন সিএমও ডা. এস এম ইমতিয়াজ অবসর গ্রহণ করলেও তাঁর পেনশনসহ অন্যান্য পাওনা আটকে রাখা হয়েছে। ইমতিয়াজের বাড়ি চট্টগ্রামে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই অর্থবছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে হাসপাতালের জন্য পথ্য খাতে ১ কোটি ৩৩ হাজার ৩২ টাকা খরচ করা হয়েছে। ওই বছর হাসপাতালটিতে ২১৮ জন রোগী ভর্তি ছিল। ছয়টি বিলের বিপরীতে এদের জন্য ৭৩ হাজার ১৪৬ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু বাকি ৯৯ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮৬ টাকার কোনো বিল-ভাউচার পাওয়া যায়নি। এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
হাসপাতালের তৎকালীন সিএমও দাবি করেছেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষ অর্থ বরাদ্দ দেওয়ায় বিধি মোতাবেক ব্যয় করা হয়েছে। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ জবাব আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য সহায়ক নয়। কারণ অর্থ খরচের কোনো বিল-ভাউচারই পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, সিএমও দপ্তরের নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ওই অর্থবছরে সিওএস দপ্তরের মাধ্যমে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ২৪ হাজার ৫৮১ টাকার মালামাল কেনা হয়েছে। ঠিকাদারকে বিলও পরিশোধ দেখানো হয়েছে। কিন্তু কেনা এসব স্যানিটারি সামগ্রী স্টকভুক্ত হয়নি। ক্রয়-সংক্রান্ত কোনো চুক্তিপত্র, আর নোট ও চালান নেই। তাতে প্রতীয়মান হয়েছে যে, পরস্পর যোগসাজশে প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে এসব দুর্নীতিতে জড়িতদের কাছ থেকে আত্মসাৎ করা অর্থ আদায়ের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চলতি বছরের জুনে এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন জাতীয় সংসদে জমা দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদনে ৩৬টি অনুচ্ছেদে রেলওয়ের ৪১৯ কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার ৪৬১ টাকার অডিট আপত্তি উঠে এসেছে। এর মধ্যে শুধু পশ্চিমাঞ্চলের টাকার পরিমাণ প্রায় ৪০ কোটি।
হাসপাতালের এই দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্নীতির বিষয়টি রেলওয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্তে ধরা পড়েছে, নিরীক্ষার সময়ও পাওয়া গেছে। এ জন্য তৎকালীন সিএমও ডা. ইমতিয়াজ অবসর গ্রহণ করলেও তাঁর পেনশনসহ যাবতীয় পাওনা আটকে আছে। তাঁকে সবকিছুর হিসাব দিতে হবে।’
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে হাসপাতালের প্রায় ৬ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১ কোটি টাকার ওষুধপত্র কেনার কোনো ভাউচারই পাওয়া যায়নি। বাকি ৫ কোটি টাকার বিভিন্ন সামগ্রী কেনার জন্য ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করা হলেও বাস্তবে মালামাল পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের সাম্প্রতিক এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে অনিয়মের এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিম রেলের তৎকালীন প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (সিএমও), প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সিওএস) এবং ঠিকাদার মিলে এই টাকা লুটপাট করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি রেলের অভ্যন্তরীণ তদন্তেও উঠে এসেছে। এ জন্য তৎকালীন সিএমও ডা. এস এম ইমতিয়াজ অবসর গ্রহণ করলেও তাঁর পেনশনসহ অন্যান্য পাওনা আটকে রাখা হয়েছে। ইমতিয়াজের বাড়ি চট্টগ্রামে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই অর্থবছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে হাসপাতালের জন্য পথ্য খাতে ১ কোটি ৩৩ হাজার ৩২ টাকা খরচ করা হয়েছে। ওই বছর হাসপাতালটিতে ২১৮ জন রোগী ভর্তি ছিল। ছয়টি বিলের বিপরীতে এদের জন্য ৭৩ হাজার ১৪৬ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু বাকি ৯৯ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮৬ টাকার কোনো বিল-ভাউচার পাওয়া যায়নি। এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
হাসপাতালের তৎকালীন সিএমও দাবি করেছেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষ অর্থ বরাদ্দ দেওয়ায় বিধি মোতাবেক ব্যয় করা হয়েছে। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ জবাব আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য সহায়ক নয়। কারণ অর্থ খরচের কোনো বিল-ভাউচারই পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, সিএমও দপ্তরের নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ওই অর্থবছরে সিওএস দপ্তরের মাধ্যমে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ২৪ হাজার ৫৮১ টাকার মালামাল কেনা হয়েছে। ঠিকাদারকে বিলও পরিশোধ দেখানো হয়েছে। কিন্তু কেনা এসব স্যানিটারি সামগ্রী স্টকভুক্ত হয়নি। ক্রয়-সংক্রান্ত কোনো চুক্তিপত্র, আর নোট ও চালান নেই। তাতে প্রতীয়মান হয়েছে যে, পরস্পর যোগসাজশে প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে এসব দুর্নীতিতে জড়িতদের কাছ থেকে আত্মসাৎ করা অর্থ আদায়ের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চলতি বছরের জুনে এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন জাতীয় সংসদে জমা দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদনে ৩৬টি অনুচ্ছেদে রেলওয়ের ৪১৯ কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার ৪৬১ টাকার অডিট আপত্তি উঠে এসেছে। এর মধ্যে শুধু পশ্চিমাঞ্চলের টাকার পরিমাণ প্রায় ৪০ কোটি।
হাসপাতালের এই দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্নীতির বিষয়টি রেলওয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্তে ধরা পড়েছে, নিরীক্ষার সময়ও পাওয়া গেছে। এ জন্য তৎকালীন সিএমও ডা. ইমতিয়াজ অবসর গ্রহণ করলেও তাঁর পেনশনসহ যাবতীয় পাওনা আটকে আছে। তাঁকে সবকিছুর হিসাব দিতে হবে।’
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনা বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কারখানার কয়েক শ শ্রমিক। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
৮ মিনিট আগেভুল ট্রেনে উঠে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামি টাঙ্গাইলের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে পৃথকভাবে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুজন বিচারকের কাছে তাঁরা জবানবন্দি দেন। রাত ৯টার দিকে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক মিনহাজ উদ্দিন ফরাজী এবং রুমেলিয়া
২৮ মিনিট আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, আপনাদের এই জমায়েত আমাদের বিশ্বাস করায়, যারা এখন মামলা বাণিজ্য করছেন, যারা চাঁদাবাজি করছেন, তাঁদের দিন ফুরিয়ে আসছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, আমাদের এই তরুণ প্রজন্ম যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় লাথি মেরে জেবিন আক্তার (৩০) নামের এক নারীকে হত্যার অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাঁর স্বামীকে আটক করেছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে