নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় নিহত ১৩ পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আটজনের লাশ পাশের মসজিদের সামনে স্তূপাকারে রাখা হয়েছিল। তিনজনের লাশ পাওয়া গেছে পাশের পুকুরে। একজনের লাশ পড়ে ছিল পাশের রাস্তায়। অন্য একজনের লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন সরকারপতনের আন্দোলনকারীরা।
সরকারপতনের আন্দোলনকারীরা যে হামলা চালিয়েছেন, তাতে রক্ষা পাননি থানাটির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাকও। থানা থেকে বেরিয়ে এলে হামলাকারীরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। নিহত অন্য ১২ জনের মধ্যে ৪ জন উপপরিদর্শক (এসআই), একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও সাতজন কনস্টেবল রয়েছেন।
আজ সোমবার সকালে নাম-পদবিসহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জিয়াউর রহমান। গতকাল রোববার রাতে নিহত পুলিশ সদস্যদের লাশ উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
নিহত পুলিশ সদস্যরা হলেন—এসআই আনিসুর রহমান, তৌহেদুজ্জামান, প্রণবেশ ও রহিত; এএসআই ওবায়দুর রহমান এবং কনস্টেবল আবু তালেব, হাফিজুর রহমান, রবিউল ইসলাম, হানিফ, আরিফুল ইসলাম, শাহীন ও রিয়াজুল ইসলাম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘থানায় ৩৬ জনের মতো পুলিশ সদস্য ছিলেন। বাকিরা কোনো রকমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন। তখনো বেশির ভাগই মারধরে গুরুতর আহত হয়েছেন।’
এনায়েতপুর থানার পাশেই স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর বাড়ি। তিনি রোববার দুপুরের এই হামলার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি জানান, রোববার সকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। তাঁদের সঙ্গে বিএনপি ও নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াত-শিবিরের কর্মীরাও মিছিলে অংশ নেন।
দুপুর ১টার দিকে তারা এনায়েতপুর থানার সামনে আসেন এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশ তখন রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। আন্দোলনকারীরা তখন থানার সীমানাপ্রাচীরের ওপরের কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন। এরপর তাঁরা থানার বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরিয়ে দেন। প্রাণরক্ষায় তখন পুলিশ সদস্যরা থানা থেকে বের হয়ে এলে তাঁদের ধরে ধরে পেটানো হয়। পিটুনিতে একে একে যখন পুলিশ সদস্যরা মারা যান, তখন লাশ স্তূপাকারে রাখা হয়।
এ ছাড়া পুকুরপাড়ে ধরে যে তিনজনকে মারধর করা হয়, মৃত্যুর পর তাঁদের লাশ পুকুরেই ফেলা হয়। থানার পাশে অন্য একজনের লাশ গলায় ফাঁস দিয়ে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। আন্দোলনকারীরা রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেওয়ার কারণে অতিরিক্ত পুলিশ এ থানায় পৌঁছাতে পারেনি। এমনকি সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীকেও থানায় পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়।
পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) বিজয় কুমার বসাক বলেন, ‘এনায়েতপুর থানার আর কেউ নিখোঁজ নেই। কয়েকজন আহত আছেন, তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্বর এই ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় নিহত ১৩ পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আটজনের লাশ পাশের মসজিদের সামনে স্তূপাকারে রাখা হয়েছিল। তিনজনের লাশ পাওয়া গেছে পাশের পুকুরে। একজনের লাশ পড়ে ছিল পাশের রাস্তায়। অন্য একজনের লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন সরকারপতনের আন্দোলনকারীরা।
সরকারপতনের আন্দোলনকারীরা যে হামলা চালিয়েছেন, তাতে রক্ষা পাননি থানাটির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাকও। থানা থেকে বেরিয়ে এলে হামলাকারীরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। নিহত অন্য ১২ জনের মধ্যে ৪ জন উপপরিদর্শক (এসআই), একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও সাতজন কনস্টেবল রয়েছেন।
আজ সোমবার সকালে নাম-পদবিসহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জিয়াউর রহমান। গতকাল রোববার রাতে নিহত পুলিশ সদস্যদের লাশ উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
নিহত পুলিশ সদস্যরা হলেন—এসআই আনিসুর রহমান, তৌহেদুজ্জামান, প্রণবেশ ও রহিত; এএসআই ওবায়দুর রহমান এবং কনস্টেবল আবু তালেব, হাফিজুর রহমান, রবিউল ইসলাম, হানিফ, আরিফুল ইসলাম, শাহীন ও রিয়াজুল ইসলাম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘থানায় ৩৬ জনের মতো পুলিশ সদস্য ছিলেন। বাকিরা কোনো রকমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন। তখনো বেশির ভাগই মারধরে গুরুতর আহত হয়েছেন।’
এনায়েতপুর থানার পাশেই স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর বাড়ি। তিনি রোববার দুপুরের এই হামলার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি জানান, রোববার সকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। তাঁদের সঙ্গে বিএনপি ও নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াত-শিবিরের কর্মীরাও মিছিলে অংশ নেন।
দুপুর ১টার দিকে তারা এনায়েতপুর থানার সামনে আসেন এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশ তখন রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। আন্দোলনকারীরা তখন থানার সীমানাপ্রাচীরের ওপরের কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন। এরপর তাঁরা থানার বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরিয়ে দেন। প্রাণরক্ষায় তখন পুলিশ সদস্যরা থানা থেকে বের হয়ে এলে তাঁদের ধরে ধরে পেটানো হয়। পিটুনিতে একে একে যখন পুলিশ সদস্যরা মারা যান, তখন লাশ স্তূপাকারে রাখা হয়।
এ ছাড়া পুকুরপাড়ে ধরে যে তিনজনকে মারধর করা হয়, মৃত্যুর পর তাঁদের লাশ পুকুরেই ফেলা হয়। থানার পাশে অন্য একজনের লাশ গলায় ফাঁস দিয়ে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। আন্দোলনকারীরা রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেওয়ার কারণে অতিরিক্ত পুলিশ এ থানায় পৌঁছাতে পারেনি। এমনকি সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীকেও থানায় পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়।
পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) বিজয় কুমার বসাক বলেন, ‘এনায়েতপুর থানার আর কেউ নিখোঁজ নেই। কয়েকজন আহত আছেন, তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্বর এই ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সামনেই উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমিরসহ চার নেতাকে বেধড়ক মারধর করেছেন বিএনপি নেতারা। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করায় ইউএনওকে মারতে গেলে জামায়াতের...
১২ মিনিট আগেবরিশালের হিজলায় প্রায় দেড় কোটি টাকার হাট-বাজার ইজারা কার্যক্রম প্রস্তুত করতে গিয়ে শিডিউল জমাই দিতে পারেনি ঠিকাদারেরা। স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ উপজেলার ২০টি হাট-বাজারের শিডিউল প্রস্তুত প্রক্রিয়ায় নামে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি তারা।
৮ ঘণ্টা আগেবিভাগীয় শহর রংপুরে গত দেড় দশকে মানুষের পাশাপাশি বেড়েছে যানবাহনের চাপ। কিন্তু ট্রাফিক ব্যবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। এতে তীব্র যানজটে দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তিন বছর আগে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হলেও তা কাজে আসছে না।
৮ ঘণ্টা আগেএককালে ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি। বিএনপির সমর্থন নিয়ে হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানও। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভিড়তে শুরু করেন শামীম ওসমানের সঙ্গে। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
৯ ঘণ্টা আগে