Ajker Patrika

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সীমান্ত অভিমুখে আইনজীবীদের লংমার্চ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চার দফা দাবিতে ভারত সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ করছেন আইনজীবীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
চার দফা দাবিতে ভারত সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ করছেন আইনজীবীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভারত সীমান্ত অভিমুখে আইনজীবীদের লংমার্চ শুরু হয়েছে। অভিন্ন নদীতে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার ও বিএসএফের হত্যার প্রতিবাদসহ চার দফা দাবিতে ভারত সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ করছেন আইনজীবীরা।

ভয়েস অব ল ইয়ার্স বাংলাদেশের উদ্যোগে শুক্রবার ঢাকা থেকে শুরু হওয়া লংমার্চটি আজ শনিবার সকাল ১০টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসে পৌঁছায়। পরে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে লংমার্চটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ গেটে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসহাক আলীর সভাপতিত্বে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পথসভায় বক্তব্য দেন ভয়েস অব ল ইয়ার্স বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ উজ জামান, লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেনসহ অ্যাডভোকেট মাঈন উদ্দিন ফারুকী, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মো. মোস্তফা আল ইয়াহয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সীমান্তে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তারা শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশি কৃষকদের একের পর এক হত্যা করছে এবং নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বিএসএফ সদস্যদের হাতে প্রায় ৬০৭ জন বাংলাদেশি নিহত ও ৭৬১ জন আহত হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর ৩৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে বিএসএফ। চলতি বছরের ৭ মে থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে পুশ ইন শুরু করে ভারত, যা এখন পর্যন্ত চলমান।

বক্তারা পথসভায় লংমার্চের চারটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো—ভারত কর্তৃক ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইমুখসহ বাংলাদেশের ৫৪টি নদী থেকে একতরফা পানি প্রত্যাহার নীতি থেকে সরে যেতে হবে; বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে; অবৈধভাবে ভারতীয় বাহিনীর দখলে রাখা তালপট্টি ছেড়ে দিতে হবে এবং ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করা শেখ হাসিনাসহ তাঁর দোসরদের সহযোগিতা ও আশ্রয় দেওয়া যাবে না।

লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল জানান, ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হওয়া লংমার্চটি গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও রাজশাহী হয়ে আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জে।

পথসভা শেষে আবারও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্ত অভিমুখে রওনা দেয় লংমার্চটি। বিকেলে সোনামসজিদ সীমান্তে গিয়ে শেষ হবে দুই দিনের লংমার্চ কর্মসূচি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লাকসামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ–ভাঙচুর, সাবেক এমপির মেয়েসহ ১৫ জন আহত

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
লাকসামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ–ভাঙচুর। ছবি:  সংগৃহীত
লাকসামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ–ভাঙচুর। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার লাকসামে মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে সামিরা আজিম দোলাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ছনগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সামিরা আজিম দোলা পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই এলাকায় গণসংযোগে যান। একই সময় ঘোষিত বিএনপির প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় শিল্পবিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালামের সমর্থকদের সঙ্গে দোলার সমর্থকদের কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে সামিরা আজিম দোলা, বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান বাদলসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে লাকসাম থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

জানতে চাইলে সামিরা আজিম দোলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার পূর্বঘোষিত গণসংযোগে যাওয়ার পথে আবুল কালামের অনুসারীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় আমি ও আমার ১০–১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়।’

অপর দিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী মো. আবুল কালাম বলেন, ‘আমাদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। তারা গণসংযোগের নামে এলাকায় গিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুজনের মাথা ফেটে যায় এবং ৭–৮ জন আহত হয়।

‘নির্বাচন বানচাল করতে তারা নানা ষড়যন্ত্র ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু করেছে। পরিকল্পিতভাবে হামলা করে উল্টা আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে নাটক সাজানো হচ্ছে।’

এ বিষয়ে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিয়ের দাবিতে ২০ বছরের যুবকের বাড়িতে ২৪ বছরের নারীর অনশন

পিরোজপুর প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে কৌতূহলী লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে কৌতূহলী লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিয়ের দাবিতে ২০ বছর বয়সী এক যুবকের বাড়িতে টানা ৯ দিন ধরে অনশন করছেন ২৪ বছরের এক নারী। উপজেলার একটি ইউনিয়নের প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

ওই নারী জানান, দুই বছর আগে ওই যুবকের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়। ওই যুবক তাঁর কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু পরে পরিবার রাজি নয় জানিয়ে তাঁকে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান যুবক। সম্প্রতি ওই যুবক অন্য কোথাও চলে গেছেন এবং তাঁর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।

ওই যুবকের মা জানান, তাঁর ছেলে এখন ভারতে আছেন। যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। যদি মেয়েটির অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে বিষয়টি তাঁরা বিবেচনা করে দেখবেন। অভিযুক্ত যুবকের ভারতীয় নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

‎এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তফা জাফর বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কক্সবাজারে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ঝটিকা মিছিল

কক্সবাজার প্রতিনিধি
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিল। ছবি: সংগৃহীত
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিল করেছেন। আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে পর্যটন শহরের কলাতলী প্রধান সড়কে এ মিছিলটি বের করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হোটেল-মোটেল জোনের ডিভাইন রিসোর্টের গলি থেকে একটি ব্যানার ধরে মিছিলটি বের হয়ে হোটেল লংবিচের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে ৩০-৪০ জন তরুণ-যুবক অংশ নেন।

ঝটিকা মিছিলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) অলক বিশ্বাস। তিনি জানান, কয়েকজন যুবক সকালের দিকে একটি ব্যানার নিয়ে মিছিল করেছে। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসার পর মিছিলের ভিডিও ফুটেজ দেখে মিছিলকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও মনোনীত প্রার্থীর শোডাউনকে কেন্দ্র করে সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি

গাইবান্ধা, প্রতিনিধি
সাঘাটা থানা। ছবি: সংগৃহীত
সাঘাটা থানা। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দল থেকে বহিষ্কৃত নেতার মোটরসাইকেল শোডাউনে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আজ রোববার এ শোডাউন হওয়ার কথা ছিল।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ্ তমাল স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সাঘাটা উপজেলা ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, একই দিনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাদ এবং বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ফারুক আলম সরকারের মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে স্থানীয়ভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এই সময়ে অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র বহন, মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমবেত হওয়া, সভাসমাবেশ ও মিছিল আয়োজন নিষিদ্ধ থাকবে।

তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ৩ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফারুক আলমের নাম ঘোষণা করেন।

গত ২৪ অক্টোবর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পুলিশ শক্তভাবে মাঠে অবস্থান করছে। ১৪৪ ধারা ভেঙে কাউকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত