Ajker Patrika

লাকসামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ–ভাঙচুর, সাবেক এমপির মেয়েসহ ১৫ জন আহত

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
লাকসামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ–ভাঙচুর। ছবি:  সংগৃহীত
লাকসামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ–ভাঙচুর। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার লাকসামে মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে সামিরা আজিম দোলাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ছনগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সামিরা আজিম দোলা পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই এলাকায় গণসংযোগে যান। একই সময় ঘোষিত বিএনপির প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় শিল্পবিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালামের সমর্থকদের সঙ্গে দোলার সমর্থকদের কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে সামিরা আজিম দোলা, বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান বাদলসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে লাকসাম থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

জানতে চাইলে সামিরা আজিম দোলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার পূর্বঘোষিত গণসংযোগে যাওয়ার পথে আবুল কালামের অনুসারীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় আমি ও আমার ১০–১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়।’

অপর দিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী মো. আবুল কালাম বলেন, ‘আমাদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। তারা গণসংযোগের নামে এলাকায় গিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুজনের মাথা ফেটে যায় এবং ৭–৮ জন আহত হয়।

‘নির্বাচন বানচাল করতে তারা নানা ষড়যন্ত্র ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু করেছে। পরিকল্পিতভাবে হামলা করে উল্টা আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে নাটক সাজানো হচ্ছে।’

এ বিষয়ে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদাবাজির অভিযোগে ইউপিডিএফের সদস্যকে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ

রামগড় (খাগড়াছড়ি), প্রতিনিধি
অস্ত্রসহ আটক দুর্গা চাকমা। ছবি: আজকের পত্রিকা
অস্ত্রসহ আটক দুর্গা চাকমা। ছবি: আজকের পত্রিকা

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার খাগড়াবিল এলাকায় অস্ত্রসহ চাঁদাবাজির সময় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক সদস্যকে স্থানীয় জনতা হাতেনাতে আটক করেছে। পরে তাঁকে গণপিটুনির পর গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে সিন্দুকছড়ি জোনের সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

আটক ব্যক্তির নাম দুর্গা চাকমা (২৫)। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি স্থানীয় ইউপিডিএফ নেতা জিয়ন চাকমার অধীনে অনেক দিন ধরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং চাঁদাবাজি করছেন।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, আজ রোববার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে খাগড়াবিল বাজারে দুর্গা চাকমা অস্ত্র নিয়ে চাঁদাবাজি করার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় কয়েকজন লোক তাঁকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। পরে উত্তেজিত জনতা তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। তাঁরা আরও জানান, দুর্গা চাকমা অনেক দিন ধরে বাজার এলাকায় চাঁদাবাজি ও নানা অপরাধমূলক কাজ চালাচ্ছেন।

রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন জানান, দুর্গা চাকমার কাছ থেকে একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গণভোট, সনদ—এইসব আমরা বুঝি না কিছু: মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিএনপি মহাসচিব। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঠাকুরগাঁওয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিএনপি মহাসচিব। ছবি: আজকের পত্রিকা

গণভোট, সনদ—এইসব আমরা বুঝি না; কিছু উঁচু তলার শিক্ষিত লোক এগুলো আমাদের ঘাড়ের ওপর চাপাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ রোববার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দৌলতপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। অসুস্থতা বোধ করায় মির্জা ফখরুল ইসলাম উপস্থিত নেতা-কর্মীদের অনুমতি নিয়ে চেয়ারে বসে বক্তব্য দেন।

চলমান রাজনৈতিক টানাহেঁচড়ার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে রাজনৈতিক একটা টানাহেঁচড়া চলছে। একটা দল বলছে, গণভোট হতে হবে...গণভোট, সনদ—এইসব কি আমরা বুঝি?’

জনগণের কাছ থেকে নেতিবাচক উত্তর আসার পর বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বুঝি না কিছু। এইসব বোঝা শিক্ষিত উঁচু তলা থেকে কিছু লোক আসছে, আইসা আমাদের ঘাড়ের ওপর চাপাচ্ছে।’ তবে তিনি জানান, যতগুলো পরিবর্তন বা সংস্কার দরকার, সেগুলোতে বিএনপি রাজি আছে।

বর্তমান সরকার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যেই সরকারটা এখন আছে, তাকে বলে অন্তর্বর্তী সরকার। অর্থাৎ ওই সরকার ভোট করে আসে নাই। কিন্তু আমরা সবাই মিলে তাকে দায়িত্ব দিয়েছি যে, হাসিনা পালানোর পরে সে দেশ চালাবে এবং একটি নির্বাচন করবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘দুঃখের কথা হচ্ছে, এই সরকারের পেছনে মানুষ নাই। মানুষের যে কষ্ট, সেটা সরকার বোঝে না। কৃষকের কষ্ট কোথায়, সমস্যা কোথায়, এই সরকার বোঝে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টে ছাত্রদের ওপর গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ড এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় হত্যাকাণ্ড—উভয়ই গণহত্যা। এই দুইটার মধ্যে পার্থক্য একটাই—তখন পশ্চিম পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী আমাদের এখানকার কিছু লোকজনকে নিয়ে গণহত্যা করেছিল আর এইবার শেখ হাসিনা তার প্রশাসনকে দিয়ে আমাদের ছেলেগুলোকে মারছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ৫ আগস্টে হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর একেবারে অসহায় অবস্থায় রেখে গেছেন তাঁর দলের লোকজনকে। এতে বোঝা যায়, আগের যে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ছিলেন, তাঁর কর্মী ও জনগণের প্রতি কোনো দরদ নেই। দরদ থাকলে তিনি পালিয়ে যেতেন না।

মির্জা ফখরুল দেশের মাটি ও জনগণের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা ওই রাজনীতি করি না। আমাদের এই মাটিতে জন্ম, এই মাটিতে আমরা থাকি, এই মাটিতে সুখ-দুঃখের সঙ্গে থাকি এবং মারা গেলে এখানেই মারা যাব। আমরা গুলি খেয়ে মরলে এখানেই মরব। দেশের মাটি ছেড়ে আমরা কখনো যাব না।’ নিজের রাজনৈতিক কষ্টের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি ১১ বার জেলে গেছেন এবং তাঁকে পাঁচ দিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সেলে আটক করে রাখা হয়েছিল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছয় বছর বিনা দোষে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। আমাদের ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।’

আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল উপস্থিত জনগণের কাছে জানতে চান, ‘এই নির্বাচনে আপনারা ভোট দেবেন তো? এবার ভোটের ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে তো? সবাই ভোট দিতে পারবেন তো?’ এ সময় নেতা-কর্মীরা ‘ইনশা আল্লাহ’ বলে উত্তর দেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এবার মার্কা কয়টা?...মার্কা একটা দেখতেছেন ধানের শীষ, নৌকাটা এবার দেখা যাচ্ছে না। আরেকটা দেখা যায় দাঁড়িপাল্লা।’

কৃষকের দুর্দশার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ধানের দাম নেই। আলুতে এবার মার খেয়েছেন কৃষক, আলু হিমাগার থেকে আনছেন না তাঁরা, তার মানে, কৃষিকাজ করে লাভবান হতে পারছেন না।

বিএনপি সরকারে এলে কৃষকদের জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যদি সরকারে আসি, কৃষক যেন তার ধান-আলু যেটাই ফলাবে, তার যেন ন্যায্য দাম পায়, সেই ব্যবস্থাটা আমরা করতে চাই।’

বিএনপি মহাসচিব বঞ্চিত মা-বোনদের জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’-এর প্রতিশ্রুতি দেন। এই কার্ডের মাধ্যমে মায়েরা ন্যায্যমূল্যে চাল, ডাল, তেল ও লবণ কিনতে পারবেন এবং স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। এ ছাড়া কৃষকদের জন্য ‘ফার্মার কার্ড’ চালু করার কথা বলেন, যার মাধ্যমে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্যে সার, কীটনাশক ও সেচের পানি পাবেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে যখন এ দেশের মানুষ দিশেহারা হয়ে গেছিল, শেখ মুজিব বন্দী হয়েছিলেন পাকিস্তানে আর আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গিয়েছিল ইন্ডিয়াতে, তখন শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। সেই লোকের দল আমরা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দল আমরা। আমরা কথায় বিশ্বাস করি, কাজে বিশ্বাস করি, আমরা কোনো মুনাফিকিতে বিশ্বাস করি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গৃহবধূর বদনাও নিয়ে গেল এনজিও

বাগেরহাট ও চিতলমারী প্রতিনিধি
গৃহবধূর বদনাও নিয়ে গেল এনজিও

বাগেরহাটের চিতলমারীতে একটি এনজিওর কর্মীদের বিরুদ্ধে শ্রাবণী হীরা (২২) নামের এক গৃহবধূর সোনার আংটি, নাকফুল ও পিতলের বদনা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় ওই এনজিওর এক কর্মী পাস বইয়ে আংটি বাবদ আট হাজার ও বদনা বাবদ ১ হাজার ৫০০ টাকা জমা করেছেন।

গতকাল শনিবার এ ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

উপজেলার আড়ুয়াবর্ণি গ্রামের গৃহবধূ শ্রাবণী হীরা কান্নাজড়িতকণ্ঠে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তিনি ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখা থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নেন। লাভসহ তাঁর ৪৫ হাজার ১২০ টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু সামান্য কিছু টাকা বাকি থাকতে তাঁর স্বামী রিপন কাজের জন্য এলাকা ছাড়েন

এরপর কয়েকটি কিস্তি খেলাপি হলে গত ২৯ অক্টোবর সকাল ১০টায় ওই এনজিওর কর্মীরা তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। অফিসে নিয়ে তাঁকে ও তাঁর তিন বছরের কন্যাশিশুকে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে এনজিওর কর্মী ও কর্মকর্তারা ফিল্ড থেকে ফিরে বিকেলে জোরপূর্বক শ্রাবণী হীরাকে দিয়ে দুটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে বাধ্য করে হাতের আংটি, নাকফুল ও পিতলের একটি বদনা নিয়ে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। এ সময় তাঁর শিশুটি ক্ষুধায় ছটফট করছিল। ভয়ে তিনি কাউকে কিছু বলতে পারেননি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখার ম্যানেজার বাসুদেব দেবনাথ বলেন, ‘গৃহবধূ শ্রাবণীর কিস্তি খেলাপি ছিল। তার কাছ থেকে নাকফুল নেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের সময় আটক তরুণ

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
রাজধানীর বিমানবন্দর গোলচত্বরসংলগ্ন এলাকা থেকে রোববার মো. শান্তকে আটক করা হয়। ছবি: র‍্যাব
রাজধানীর বিমানবন্দর গোলচত্বরসংলগ্ন এলাকা থেকে রোববার মো. শান্তকে আটক করা হয়। ছবি: র‍্যাব

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় স্কুলপড়ুয়া এক ছাত্রের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের সময় মো. শান্ত নামের এক তরুণকে আটক করা হয়েছে।

বিমানবন্দর গোলচত্বরসংলগ্ন এলাকা থেকে আজ রোববার বেলা ৩টার দিকে তাঁকে আটক করা হয়।

র‍্যাবের হাতে আটক হওয়া শান্ত ঢাকার শাহজাহানপুরের রাজারবাগ গোলাপবাগের আক্কেল আলী ওরফে চান মিয়ার ছেলে।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১-এর সহকারী পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত মিডিয়া অফিসার) মো. পারভেজ রানা বলেন, বিমানবন্দর এলাকায় তন্ময় (১৫) নামের স্কুলপড়ুয়া এক ছাত্রের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনতাইকালে শান্ত (২১) নামের এক পেশাদার ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনটি তন্ময়কে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য তাঁকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পারভেজ রানা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত