পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তিনজন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ সোমবার পাবনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তাঁরা।
মুক্তি পাওয়া অন্য দুজন হলেন ঈশ্বরদী পৌর বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম অটল ও যুবদল নেতা মোস্তফা নুরে আলম শ্যামল।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সেখান থেকে তাঁরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে পৌঁছালে তিনজনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। পরে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা কারামুক্ত নেতাদের নিয়ে শোভাযাত্রা বের করেন।
শোভাযাত্রাটি জেলা বিএনপির কার্যালয়ে থেকে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গাছপাড়া, টেবুনিয়া, দাশুরিয়া হয়ে তাঁদের নিজ এলাকা ঈশ্বরদী গিয়ে শেষ হয়। সেখানে কারামুক্ত নেতাদের গণসংবর্ধনার আয়োজন করে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি।
এ সময় জাকারিয়া পিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ ভুয়া মামলা। তৎকালীন আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের কারণেই গন্ডগোল হয়েছিল। সেখানে আমরা স্যাবোটাজ হয়ে গেছি যেভাবেই হোক। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির ৫২ জন নেতা-কর্মীকে জড়িয়ে মামলাটি করেছিল। পরে মামলায় ফরমায়েশি রায় দিয়েছিল। যাতে ঈশ্বরদীতে বিএনপি মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনা উত্তরাঞ্চলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে ট্রেনে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ঢোকার সময় ট্রেনবহরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় ওই সময় ট্রেনে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার অভিযোগে ঈশ্বরদী জিআরপি (রেলওয়ে পুলিশ) থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
মামলায় তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পরের বছর পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দেয়। কিন্তু আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে অধিক তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলাটির পুনঃতদন্ত হয়। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল পুলিশ ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীসহ ৫২ জনের নামে আদালতে আবার অভিযোগপত্র জমা দেয়।
২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩-এর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত বিচারক রুস্তম আলী এই মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ ৪৭ জনের সবাইকে খালাসের আদেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘খালাসপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে ৩০ জন হাইকোর্টের রায় ঘোষণার আগে জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে পাবনা কারাগারে ছিলেন জাকারিয়া পিন্টুসহ তিনজন। তাঁরা আজ মুক্তি পেয়েছেন। এ ছাড়া রাজশাহী ও ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে থাকা বাকি নেতারা মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি পাবেন।’
পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তিনজন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ সোমবার পাবনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তাঁরা।
মুক্তি পাওয়া অন্য দুজন হলেন ঈশ্বরদী পৌর বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম অটল ও যুবদল নেতা মোস্তফা নুরে আলম শ্যামল।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সেখান থেকে তাঁরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে পৌঁছালে তিনজনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। পরে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা কারামুক্ত নেতাদের নিয়ে শোভাযাত্রা বের করেন।
শোভাযাত্রাটি জেলা বিএনপির কার্যালয়ে থেকে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গাছপাড়া, টেবুনিয়া, দাশুরিয়া হয়ে তাঁদের নিজ এলাকা ঈশ্বরদী গিয়ে শেষ হয়। সেখানে কারামুক্ত নেতাদের গণসংবর্ধনার আয়োজন করে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি।
এ সময় জাকারিয়া পিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ ভুয়া মামলা। তৎকালীন আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের কারণেই গন্ডগোল হয়েছিল। সেখানে আমরা স্যাবোটাজ হয়ে গেছি যেভাবেই হোক। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির ৫২ জন নেতা-কর্মীকে জড়িয়ে মামলাটি করেছিল। পরে মামলায় ফরমায়েশি রায় দিয়েছিল। যাতে ঈশ্বরদীতে বিএনপি মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনা উত্তরাঞ্চলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে ট্রেনে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ঢোকার সময় ট্রেনবহরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় ওই সময় ট্রেনে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার অভিযোগে ঈশ্বরদী জিআরপি (রেলওয়ে পুলিশ) থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
মামলায় তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পরের বছর পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দেয়। কিন্তু আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে অধিক তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলাটির পুনঃতদন্ত হয়। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল পুলিশ ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীসহ ৫২ জনের নামে আদালতে আবার অভিযোগপত্র জমা দেয়।
২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩-এর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত বিচারক রুস্তম আলী এই মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ ৪৭ জনের সবাইকে খালাসের আদেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘খালাসপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে ৩০ জন হাইকোর্টের রায় ঘোষণার আগে জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে পাবনা কারাগারে ছিলেন জাকারিয়া পিন্টুসহ তিনজন। তাঁরা আজ মুক্তি পেয়েছেন। এ ছাড়া রাজশাহী ও ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে থাকা বাকি নেতারা মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি পাবেন।’
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আছিয়া বেগম (৮৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবধা গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। আছিয়া বেগম ওই গ্রামের মৃত আফার উদ্দিনের স্ত্রী।
১৭ মিনিট আগেঠাকুরগাঁওয়ে গবাদিপশুর ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৭২টি গরু। গত প্রায় দুই মাসে এ গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে জেলার পাঁচটি উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৮০টি গরু।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের মধুপুরের চলতি মৌসুমে কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রচন্ড গরমে কাঁঠাল পেকে যাওয়ায় বাজারে এ ফলের আধিক্য বেড়েছে। তবে রোদ-বৃষ্টির সাথে সাথে কাঁঠালের দাম ওঠা-নামা করায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়িরা। তবে কাঁঠালের দাম নাগালের মধ্যে থাকায় ভোক্তারা খুশি।
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে তিস্তা সেতু। নদীর নামের সঙ্গে মিলয়েই এ নামকরণ করা হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা সেতুটি উদ্বোধনের। সেতুটি দিয়ে যান চলাচল শুরু করলেই গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের যাতায়াত আরও সহজ হবে। এলাকার উৎপাদিত পণ্য সারা দেশে...
১ ঘণ্টা আগে