Ajker Patrika

মাকে হত্যা করার ৭ দিন পর ছেলে গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি, তানোর (রাজশাহী) 
মাকে হত্যা করার ৭ দিন পর ছেলে গ্রেপ্তার

ঘটনার ৭ দিনের মধ্যে রাজশাহীর তানোরে গৃহবধূ তহুরা (৩৯) হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের একমাত্র ১৭ বছর বয়সী ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

নিহত তহুরা উপজেলার টকটকিয়ার আহম্মদ হাজীর মেয়ে। প্রায় ১৮ বছর আগে উপজেলার বুরুজের কাইয়ুম আলীর সঙ্গে তহুরার বিয়ে হয়। 

জানা যায়, তহুরার স্বামী কাইয়ুম তিন বছর আগে হেরোইনসহ র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে আছেন। এরপর থেকে তহুরা তাঁর একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে রয়েছেন। প্রতিদিনের মতো বাড়ির সবাই গত ২৪ আগস্ট দিবাগত রাতে ঘুমাতে যান। পরদিন সকালে বাড়ির পাশে মাটিতে তহুরার লাশ দেখতে পান পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় ওই দিনই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে নিহত তহুরার বাবা আহম্মদ হাজী মামলা দায়ের করেন। 

তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান বলেন, মৃত তহুরা ও তাঁর ছেলে এক ঘরে ঘুমাত। তাঁর ছেলে গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় ইংরেজিতে ফেল করে। ঘটনার রাতে তহুরা তাঁর ছেলেকে পড়তে বসতে বললে সে শুয়ে পড়ে। এতে তাঁর মা তাকে ধমক ও থাপ্পড় দেয়। আরেকটা থাপ্পড় মারতে গেলে ছেলে মাকে ধাক্কা দেয়। এতে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তহুরা। ঘটনার আকস্মিকতায় ছেলে বিভ্রান্ত হয়ে মায়ের মরদেহ বাইরে রেখে আসে।

এ মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটনের কথা জানিয়ে তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান আরও বলেন, সম্ভাব্য সকল বিষয় মাথায় রেখে জেলা পুলিশ সুপারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তের সময় একটা বিষয় আমাদের সবার মাথায় ছিল যে মেয়েটির লাশ বাইরে পাওয়া গেলেও তাঁর বসতবাড়ির দুইটি দরজাই ভেতর থেকে লাগানো ছিল। মেয়েটির মা সকালে নিজে দরজা দুইটি খুলেছে। তহুরার মায়ের বয়স ৭০ ও বাবার বয়স ৮০। বাড়িতে অবস্থান করা চারজনের মধ্যে মৃত গৃহবধূ ব্যতীত তাঁর ১৭ বছরের ছেলে ছিল।

লাশ দেখে মনে হচ্ছিল পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে মার্ডার করার মতো ভিকটিম সে নয়। এখানেই আমাদের একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে সার্বিক বিবেচনায় মৃতের ছেলেকেই সন্দেহ হতে থাকে। গত ৩১ আগস্ট মুন্ডুমালা তদন্তকেন্দ্রে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সনাতন চক্রবর্তী, গোদাগাড়ী সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান ছাড়াও আমি, তদন্ত কর্মকর্তাসহ তানোর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বারী মৃত তহুরার ছেলেকে ডেকে নিয়ে সকলে মিলে জেরা করলে সে স্বীকার করে। পরদিন গত ১ সেপ্টেম্বর ওই ছেলে রাজশাহীর বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

২ ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ কীভাবে ৬ কোটি রুপি পাবেন

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

বিড়াল নির্যাতনের ঘটনায় গ্রামীণফোন ও অ্যারিস্টোফার্মা কেন আলোচনায়

বাগ্‌বিতণ্ডার মধ্যে সাম্যকে ইট ও ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়: ডিএমপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত