Ajker Patrika

রাজশাহীতে দরপত্র জমা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষকালে মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষকালে মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর পুঠিয়ায় খাস পুকুর ও দিঘি ইজারার দরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে ৮ থেকে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় দলীয় কার্যালয় ও তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে সন্ধ্যার পর পুঠিয়া বাজার এলাকায় দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ব্যর্থ হলে পরে সেনাবাহিনী গিয়ে তা স্বাভাবিক করে। সংঘর্ষে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নেতা-কর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, পুঠিয়া উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র আল মামুন খান। অপর পক্ষের নেতৃত্বে আছেন বিএনপি নেতা ফারুক রায়হান, যিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মণ্ডলের অনুসারী।

খাস পুকুর ও দিঘির ইজারার জন্য দুই পক্ষই আগ্রহ দেখায় এবং আলাদা দরপত্র জমা দেয়। বিষয়টি ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার জেরে সন্ধ্যার পর তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলা।

সংঘর্ষ চলাকালে মামুনের অনুসারীরা ফারুকের নিয়ন্ত্রণাধীন দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন বলেন, ‘বিএনপির দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। মামুনপন্থীরা ফারুক রায়হানের অফিসে আগুন দিয়েছে। রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত