Ajker Patrika

ইউএনওর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশে সাজা দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, ২১: ১৭
ইউএনওর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশে সাজা দেওয়ার অভিযোগ

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এক আইনজীবীর গাড়িচালককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জেলা জজ আদালতের আইনজীবী সালাহউদ্দিন বিশ্বাস। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) জানে আলম বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তি দেন। আইনবহির্ভূতভাবে তিনি এক-দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করে আদায় করেন। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত তিনি আদেশের কপির নকল দেন না। ফলে সাজাপ্রাপ্তরা আপিল করতে পারেন না। তাঁর এই নিয়মের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমি লিখিত অভিযোগ করি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় কমিশনারের হস্তক্ষেপে তিনি জাবেদা নকল দিতে বাধ্য হন। এর পর থেকেই তিনি আমার ওপর রাগান্বিত ছিলেন। আর এ কারণে বিনা কারণে আমার গাড়িচালককে অন্যায়ভাবে শাস্তি দিয়েছেন।’ 

আইনজীবী সালাহউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘আমার চেম্বারের সামনে জেলা পরিষদের পরিত্যক্ত জায়গায় গাড়ি রাখা ছিল। সেখান যে গাড়ি রাখা যাবে না, সে রকম কোনো নোটিশ নেই। তারপরও সেখান থেকে চালককে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যক্তিগত আক্রোশে। আমার গাড়িচালক কোনো কাগজপত্রে স্বাক্ষর দিতে চাইছিল না। তখন ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডসহ চার-পাঁচজন কর্মচারী তাঁকে মারধর করেন। সর্বশেষ তাঁকে বলেন, স্বাক্ষর না দিলে হেরোইন দিয়ে চালান দেওয়া হবে। ভয়ে তখন আমার গাড়িচালক স্বাক্ষর দিতে বাধ্য হয়।’ 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনও জানে আলম বলেন, ‘আমার নামে অভিযোগ যে কেউ দিতে পারে। সে কারণে তার সঙ্গে কোনো বিরোধে তো আমি জড়াব না। সালাহউদ্দিন বিশ্বাস যে অভিযোগ করছেন, সেসব সঠিক নয়। এসি ল্যান্ড ওই চালককে ধরেছিলেন। পাশে আমি খেলছিলাম। দেখে এগিয়ে যাই। তারপর আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিয়েছেন এসি ল্যান্ড। আমার কিছু করার ছিল না।’ 

অভিযোগের বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান বলেন, ‘অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করা ছিল বলে আমি ওই চালককে ধরি। পাশেই ছিলেন ইউএনও। তিনিও আসেন। তারপর সাজা দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত কোনো আক্রোশের বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি ওই আইনজীবীকে কালকেই চিনেছি। আমার সঙ্গে তাঁর কোনো ঝামেলা নেই। ইউএনওর সঙ্গে থাকলে থাকতে পারে।’ 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গোদাগাড়ী নাগরিক কমিটির সভাপতি শান্ত কুমার মজুমদার, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মজিবর রহমান, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক রাহাত হোসেন, রাজশাহী বার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, আইনজীবী লুৎফর রহমান, খুরশীদ আলম বাবু, রায়হান কবীর প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত