Ajker Patrika

তেলের টাকা বকেয়া, শিবগঞ্জে ৩ মাস ধরে বন্ধ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স সেবা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২০: ৩১
Thumbnail image

বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় পেট্রলপাম্প কর্তৃপক্ষ বাকিতে তেল দিচ্ছে না। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। তাতে দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা।

এদিকে যাদের সামর্থ্য আছে, তারা বেশি টাকা খরচ করে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করছে। যাদের সামর্থ্য নেই, তারা গুরুতর হলেও এ হাসপাতালেই চিকিৎসা সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছে।

এ এলাকার প্রায় ৭ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসা শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সব মিলিয়ে প্রতিদিন ৪৫০ থেকে ৫০০ রোগী এখানে চিকিৎসাসেবা নিতে আসে। ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রায় প্রতিদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও ঢাকায় রোগী পাঠানো হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসার মান নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন রোগী ও স্বজনেরা। তাঁরা বলছেন হাসপাতাল থেকে স্যালাইন দেওয়া হলেও অন্য কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে না। তা ছাড়া আউটডোরে চিকিৎসকের অভাবে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন গর্ভবতী নারী ও সাধারণ মানুষ।

সীমান্তবর্তী সাহাপাড়া এলাকার গর্ভবতী নারী ইয়াসমিন খাতুন বলেন, প্রায় ১৫ কিলোমিটার অটোরিকশায় হাসপাতালে এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যান তিনি। তাঁর অভিযোগ, লাইনে মাত্র ১০ রোগী থাকলেও চিকিৎসক সেবা না দিয়েই চেম্বার ত্যাগ করলেন। বারবার বলার পরও চিকিৎসা দিতে রাজি করানো গেল না।

স্থানীয় যুবক রনি মিয়া বলেন, প্রায় তিন মাস ধরে হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি বন্ধ রয়েছে। গ্যারেজবন্দী রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। তাতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ সেবাপ্রার্থীদের।

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শাশুড়িকে নিয়ে দুদিন ধরে হাসপাতালে অবস্থান করছেন আমেনা খাতুন। তাঁর অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে স্যালাইন ছাড়া আর কোনো ওষুধ দেওয়া হয় না। সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে।

চিকিৎসক সংকট ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা দ্রুত নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে বলে জানান হাসপাতালের এই কর্মকর্তা। তাঁর দাবি, দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়রা খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত ৪ নভেম্বর থেকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রয়েছে। অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ না পেলে অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা সম্ভব হবে না। পর্যাপ্ত ওষুধসহ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত