Ajker Patrika

বাঙ্গালী নদীর ভাঙনের মুখে শতাধিক বিঘা জমি

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রবিতলী গ্রামে বাঙ্গালী নদীতে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। বুধবার বিকেলে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রবিতলী গ্রামে বাঙ্গালী নদীতে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। বুধবার বিকেলে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রবিতলী গ্রামে বাঙ্গালী নদীর ভাঙনে কৃষকের ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ বিঘা জমি। হুমকির মুখে পড়েছে আরও শতাধিক বিঘা জমি, ১৫টিরও বেশি বসতবাড়ি ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। টানা এক মাস ধরে নদীভাঙন চললেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় কৃষক রুবেল আহমেদ ও আব্দুল জলিল জানান, প্রায় এক মাস আগে উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবল স্রোতের কারণে নদীতে ভাঙন শুরু হয়। পানি কমে গেলেও ভাঙন থামেনি। ধীরে ধীরে জমির মাটি দেবে যাচ্ছে, ফাটল ধরছে এবং একে একে ফসলি জমি নদীতে চলে যাচ্ছে। তাঁরা জানান, গ্রামের অন্তত ৩০ জন কৃষকের জমি এখন সরাসরি হুমকির মুখে, আর মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ থেকে ৪০ বিঘা জমি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিতলী গ্রামের উত্তর পাশে ভাঙনের মুখে রয়েছে অন্তত ১৫টি বসতবাড়ি। আর ভাঙন এলাকা থেকে মাত্র ১৫০ ফুট দূরে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যা নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রবিতলী গ্রামে বাঙ্গালী নদীতে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। বুধবার বিকেলে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রবিতলী গ্রামে বাঙ্গালী নদীতে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। বুধবার বিকেলে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, ১০ বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে এই নদীভাঙন নিয়মিত হয়ে উঠেছে। তবে এবারের ক্ষতি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে গ্রামটির আরও দুই থেকে আড়াই শ বিঘা জমি নদীতে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘এই গ্রামের প্রায় প্রতিটি পরিবার কৃষিকাজে নির্ভরশীল। জমি হারালে তারা নিঃস্ব হয়ে যাবে। নদীভাঙনের বিষয়টি আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি।’

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের শেরপুর অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী নিবারণ চক্রবর্তী বলেন, ‘বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া মাত্র জরুরি ভিত্তিতে প্রতিরোধমূলক কাজ শুরু করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কৌশলে বিনিয়োগ সরাচ্ছে বহুজাতিক কোম্পানি

বিমান বিধ্বস্ত: এক ঘণ্টা পর উদ্ধার হন পাইলট, তখনো বেঁচে ছিলেন

‘ওসি হয়েও আমার কম দামি ফোন, দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই’, ভুক্তভোগীকে মোহাম্মদপুরের ওসি

মোহাম্মদপুর থানায় ভুক্তভোগীকে হেনস্তা: চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার, ৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

এনসিপির পদযাত্রা উপলক্ষে ‘স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত’, প্রধান শিক্ষকের দুই রকম বক্তব্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত