Ajker Patrika

উল্লাপাড়ায় ৩ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে প্রাণী সম্পদ উপকেন্দ্র

হোসাইন ময়নুল, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) 
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২৩: ১০
উল্লাপাড়ায় ৩ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে প্রাণী সম্পদ উপকেন্দ্র

প্রান্তিক খামারিদের কথা চিন্তা করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাণী সম্পদের আওতায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ ইউনিয়নে প্রাণী সম্পদ উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ ৩ বছর ধরে এটি বন্ধ থাকায় অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে রয়েছে। এতে করে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় খামারিরা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি না থাকায় সরকারি সম্পদটির বেহাল দশা। বর্তমানে অফিসটি লাকড়ির স্তূপ এবং পাবলিক টয়লেট হিসেবে ব্যবহার হয়। সলপ ইউনিয়নে প্রাণী সম্পদ উপকেন্দ্রটিতে গবাদিপশুর চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যেই এটি স্থাপন করা হয়।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের তথ্য অনুয়ায়ী, সলপ ইউনিয়নে মোট গবাদিপশুর মধ্যে গরুর সংখ্যা রয়েছে ৮ হাজার ৬৮৮ টি, ছাগল রয়েছে ৩ হাজার ২৭ টি, ভেড়া রয়েছে ৯৯১ টি, মুরগি ৬৮ হাজার, হাঁস ৭ হাজার ২৯২ টি, কবুতর রয়েছে ৪ হাজার ৭১৯ টি। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসক না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটিতে অনেক দিন পুরোনো তালা ঝুলছে। অফিসের সামনে লতাপাতা শুকানো হচ্ছে। ৩ বছর ধরে অফিসে কর্মচারী না থাকায় ভবনটির এখন বেহাল অবস্থা।

স্থানীয় সলপ গ্রামের খামারি রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের খামারি হওয়ায় সরকার আমাদের কথা চিন্তা করে দীর্ঘ আনুমানিক ৩০ বছর আগে প্রাণী সম্পদের আওতায় সলপ গ্রামে এই ভবনটি নির্মাণ করে। বর্তমানে ৩ বছর ধরে ফিল্ড সরকারি তৌহিদুল ইসলাম অফিস না করায় ভবনটির বেহাল অবস্থা। এখন আমাদের গরু অসুস্থ হলে অনেক দূরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দিয়ে নিয়ে আসতে হয়। এতে করে আমাদের খরচ বেড়ে যায় এবং ভোগান্তির শিকার হতে হয়। আর এখানে অফিস থাকা সত্ত্বেও যদি আমাদের দূরে নিয়ে গিয়ে যদি গবাদিপশুর চিকিৎসা দিতে হয় তাহলে আমাদের বাড়ির পাশে এই অফিস থেকে লাভ কী? তাই দ্রুত কেন্দ্রটি চালু করার দাবি জানাই।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই জানান, দীর্ঘদিন ধরে গবাদিপশুর চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম অফিস না করায় ভবনটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এ ছাড়াও এই সব অঞ্চলের খামারিদের অফিসে গবাদিপশু নিয়ে এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়। ব্যবহার না হওয়ার কারণে ভবনটি এখন প্রায় ধ্বংসের পথে। আর ডাক্তার তৌহিদুল ইসলাম সরকারি অফিস না করে তার নিজ এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয় খামারিরা। অন্যদিকে গবাদিপশু পালনে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন এই সব অঞ্চলের খামারিরা। তাই অফিস চালু করাসহ নিয়মিত চিকিৎসক বসার জোর দাবি জানান তাঁরা।

অভিযুক্ত ফিল্ড সহকারী তৌহিদুল ইসলামের মোবাইলে অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমার ২ বছর ট্রেনিং থাকার কারণে আমি অফিস করতে পারি নাই। এ ছাড়া ওখানকার লোকজন বস্তি টাইপের। আমি স্থানীয় মেম্বারদেরকেও জানিয়েছি। আমি অফিস থেকে সরে আসলে স্থানীয়রা ময়লা আবর্জনা রাখে এবং সেখানে পায়খানাও করে।’

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শামিম আক্তার বলেন, ‘আমি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নতুন জয়েন করেছি। এ বিষয়ে আমার তেমন জানা ছিল না। আমি আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিয়ের আসরে কনে বদল, মেয়ের জায়গায় মা

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

বদলির পর ঠাকুরগাঁওয়ের ওসির পোস্ট: ‘বুঝলে বুঝ, না বুঝলে খেয়ে নে তরমুজ’

এক ফ্যাসিস্ট নেত্রীর পাল্লায় পড়ে পুলিশ খারাপ হয়েছিল: এসপি

কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত